লালগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকার দখল নিল দলমা থেকে আসা ১০০টিরও বেশি হাতি, ঘুম ছুটল মানুষের

বন্যপ্রাণ রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মন্ডল                                          ছবি-বাপন ঘোষ

Published on: সেপ্টে ১৩, ২০১৮ @ ২২:৩০

এসপিটি নিউজ, ঝাড়গ্রাম, ১৩ সেপ্টেম্বরঃ আগে থেকেই রয়েছে লালগড়ের বেশ কয়েকটি রেসিডেন্সিয়াল হাতি। এছাড়াও দলমার কিছু হাতি আছে। তাদের তান্ডবে নাজেহাল মানুষ। এর মধ্যে ফের নতুন করে আরও ১০০টিরও বেশি হাতির দল ঢুকে পড়ল লালগড়ের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায়। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এখন চলছে তাদের বিচরণ। মানুষজন এখন কার্যত ঘরবন্দি। এলাকার দখল নিয়েছে হাতির দল। কপালে ভাঁজ পড়েছে বন দফতরের। ঘুম ছুটে গেছে মানুষের। রাত জেগে চলছে পাহারা দেওয়া।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে দলমার দিক থেকে প্রায় শতাধিক হাতির দল ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড়ে ঢুকে পড়ে। বেলপাহাড়ি হয়ে বিনপুর থানার মালবতীর জঙ্গল দিয়ে কংসাবতী নদী পেরিয়ে হাতির দলটি লালগড়ের জঙ্গলে ধুকে যায়।এরপর হাতিগুলে মাঠে গিয়ে ধান-সবজির ক্ষেত নষ্ট করে দেয়। খেয়ে নেয় সবজি ও ধান। এক সঙ্গে এত হাতি দেখে গ্রামবাসীরা কেউ ঘর থেকে বের হওয়ার ঝুঁকি নিতে চায়নি। কিভাবে এই হাতির দলকে তারা সামলাবে তা ভেবেই দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সকলে।

পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ আকার নিয়েছে যে রাতে যদি ঐ বিশাল সঙ্খ্যক হাতির দল লোকালয়ে হানা দেয় তাহলে পরিণতি কতটা সাঙ্ঘাতিক হয়ে উঠতে পারে তা চিন্তা করে অস্থির হয়ে পড়েছেনতারা। বন দফতর যে কোনও কম্মের নয় সেটা তারা অনেক আগেই বুঝে গেছেন। তাই ঐ দফতরের উপর আর আস্থা রাখার কথা ভাবছেই না তারা। এখন পালা করে রাত জেগে যতটুকু সম্ভব ঘরবাড়ি পাহারা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন তারা। হাতিগুলে যে কোনও মুহূর্তে লালগড়ের জঙ্গল লাগোয়া গুড়গুড়িপাল ও শালবনী থানার গ্রামগুলিতে হানা দিতে পারে। সেক্ষত্রের বেশ কিছু কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যেভাবে হাতির দল গ্রামের দখল নিতে শুরু করেছে সেই আশঙ্কা আরও বেশি করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।

মেদিনীপুর বন বিভাগের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা জানান, দলমা থেকে আসা হাতির পালের উপর নজরদারি রাখছে বনকর্মীরা। তবে নতুন করে ১০০টির বেশি হাতিকে নিয়ে তাদের চিন্তা যে বেড়ে গেছে তা বলাই বাহুল্য।

Published on: সেপ্টে ১৩, ২০১৮ @ ২২:৩০


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

72 − 63 =