‘রুটিন মাফিক’ হাতির কর্মসূচি অব্যাহত-দেখে নিন আজ সারা দিনে কোথায় কি করল দাঁতালরা

Main বন্যপ্রাণ রাজ্য
শেয়ার করুন

হাতি এই তাণ্ডব লীলা চালিয়েছে গোয়ালতোড়ের কেড়ুমারা ও ধরমপুরে।
Published on: সেপ্টে ৭, ২০২০ @ ২১:৪৭
Reporter: Biswajit Panda

এসপিটি নিউজ,  পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ সেপ্টেম্বর:  রোজ যদি একই ঘটনা ঘটে তাহলে তা আর খবর হয় না। সেটা হয়ে যায় রুটিন অনুযায়ী কাজ। জঙ্গলমহলে প্রতিদিন হাতি যা করছে তা এখন আর খবর নয় তা হয়ে দাঁড়িয়েছে রুটিন অনুযায়ী তাদের রোজকার কর্মসূচি। গ্রামবাসীরা যতই ক্ষোভ দেখাক বন দফতর যতই চেষ্টা করুক না কেন হাতি আছে হাতির মতোই। তাদের রুখবে এত হিম্মত কার আছে, আর তাই তারা রুটিন মতোই রোজকার তাণ্ডব কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। আজ কোথায় কি করেছে একবার তাহলে দেখে নেওয়া যাক।

বুকের পাঁজর ভেঙে হাসপাতালে ভর্তি

আজ দাঁতালের হামলায় আহত হয়ে বুকের পাঁজর ভেঙে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক ব্যাক্তি। জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে গোয়ালতোড়ের কেড়ুমারা গ্রামের বিশ্বনাথ মাহাত (৬৫) সাইকেলে করে জঙ্গল পথে সিংলা যাচ্ছিলেন৷ মাঝ রাস্তায় হাতির মুখামুখি হতেই তার উপরে হামলা চালায় হাতিটি৷ হাতির হামলায় তার বুকের পাঁজরে এবং পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কেওয়াকোল হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে তাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত একটি কাঁচা বাড়ি ও বয়লার ফার্ম

একই দিনে ভোরে হাতির হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় একটি কাঁচা বাড়ি ও একটি বয়লার ফার্ম। জানা যায়, ধরমপুরের জঙ্গল থেকে সোমবার ভোরের দিকে একটি হাতি খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে স্থানীয় ইন্দ্রজিৎ মাহাতোর মাটির বাড়ি ভাঙচুর করে। সেখানে কিছু না পেয়ে কিছুটা দুরে আদিত্য মাহাতোর বয়লার ফার্মে হামলা চালায়। সেখানে দেওয়াল ভেঙে মুরগির খাবার খেয়ে ছড়িয়ে একাকার করে দেয়। পরে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে হাতিটিকে জঙ্গলে ফেরৎ পাঠায়।

বীট অফিস ঘিরে বিক্ষোভ

হাতির এই তাণ্ডবের জেরে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকা বাসী৷ তাদের অভিযোগ বনদফতরের উদাসীনতার কারণেই এই রকম ঘটনা ঘটছে বারবার। বনকর্মীরা নিজেরাও হাতি তাড়াচ্ছে না আর স্থানীয়দের হাতি তাড়ানোর জন্য তেল, বাজি হুলাও দিচ্ছে না। ফলে দিনের পর দিন হাতি একই স্থানে রয়ে যাচ্ছে আর তার ফল ভুগছি আমরা। তাই আমরা বীট অফিস ঘিরে এই বিক্ষোভ দেখাই৷ হয় হাতি তাড়াতে হবে নয় হাতি তাড়ানোর সরঞ্জাম দিতে হবে। পরে বনদফতরের পক্ষ থেকে স্থানীয়দের তেল হুলা ইত্যাদি সরঞ্জাম দেওয়ার পাশাপাশি হাতি তাড়ানোর আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়।

Published on: সেপ্টে ৭, ২০২০ @ ২১:৪৭


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 + 8 =