রামনগরে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা, পুলিশ বলছে এসব তাদের জানা নেই

রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: সেপ্টে ১০, ২০১৮ @ ২২:৪৯

এসপিটি নিউজ, রামনগর, ১০ সেপ্টেম্বরঃ শাসক দলের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জিতে যাওয়ায়ই এখন কাল হয়েছে উত্তর বাধিয়া গ্রামের বাসিন্দা পুষ্পিতা গিরির।জেতার পর থেকে সমানে তাঁর ও তাঁর স্বামী অশোক গিরির উপর হামলা সমানে চলছে।পঞ্চায়েত ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকে সেই যে শুরু হয়েছে রবিবার পর্যন্ত তা অব্যাহত। এদিনও তাদের পান ও স্টেশনারি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। মারধরও করা হয় তাদের। এখানেই শেষ নয় স্থানীয় আরও এক বিজেপি সমর্থক পরিবার খোকন ও তাঁর স্ত্রী বাসন্তী জানাও আক্রমণের শিকার হয়। যদিও পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “এই ঘটনাটি আমার জানা নেই।তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।”

জানা গিয়েছে, মীরগোদা গঞ্জ বাজারে চন্ডী মন্দিরের পাশে দীর্ঘদিন ধরে উত্তর বাধিয়া গ্রামের বাসিন্দা অশোক গিরির একটি পান ও ষ্টেশনারি দোকান রয়েছে।আর সেই দোকান চালিয়ে সামান্য অর্থ উপার্জন করে অশোকবাবু সংসার চালান।চলতি বছরে পঞ্চায়েত ভোটে এবার উত্তর বাধিয়া গ্রামসভা থেকে অশোকবাবুর স্ত্রী পুষ্পিতা গিরি বিজেপির হয়ে ভোটে লড়েন।তিনি ওই গ্রামসভা থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভও করেন।তখন থেকেই ওই দোকানদার অশোকবাবু-সহ তাঁর অনুগামীরা শাসকদল তথা তৃণমূলের চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন।

অভিযোগ, রবিবার রাত প্রায় সাড়ে ন’টা নাগাদ দোকানে থাকা অশোকবাবুর উপর অতর্কিতে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।পাশাপাশি তার পান ও ষ্টেশনারি দোকান ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ বিজেপির।স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা ঘটনাস্থলে ছুটে এলে রক্ষা পায় তারা।

এরপর ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। মীরগোদা গঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে খোকন জানা ও বাসন্তী জানা নামে দুই বিজেপি সমর্থক আক্রান্ত হন। অভিযোগ, অস্তা গ্রামের কাছে তৃণমূল আশ্রিত বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাদের উপর হামলা চালায়।দুষ্কৃতীরা বাসন্তীদেবীর শ্লীলতাহানি করে বলেও অভিযোগ।তিনি বাধা দিলে দুষ্কৃতীরা তাঁর হাত কামড়ে দেয়।পাশাপাশি বিজেপি সমর্থক খোকন জানাকে ওই দুষ্কৃতীরা বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।তারপর তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।চিৎকার শুনে দলীয় কর্মী সহ স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে,তারা ছুটে পালিয়ে যায়।স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের দু’জনকে উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

রামনগর থানার পুলিশকে ঘটনাটি ফোনে বহুবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি বিজেপির।কিন্তু এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “এই ঘটনাটি আমার জানা নেই।তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।”

কিন্তু যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।রামনগর-১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নিতাই চরণ সার বলেন,”আমার কাছে কোন খবর নেই।রামনগর-১ ব্লক এলাকা অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়।যদি এই ধরনের ঘটনা কেউ ঘটিয়ে থাকে তাহলে দলগতভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কারন তৃণমূল এই ধরনের ঘটনা কোনওভাবেই বরদাস্ত করে না।”

কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি তপন মাইতি বলেন, “তৃণমূলের মৃত্যুর ঘন্টা বেজে গেছে।২০১৯ এর লোকসভা ভোটে তৃণমূল ছারখার হয়ে যাবে।তখন পুলিশকে সামলে চলতে হবে।” বিজেপি ক্ষমতায় এলে তৃণমূল সহ পুলিশ প্রশাসনকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন এই বিজেপি নেতা।

Published on: সেপ্টে ১০, ২০১৮ @ ২২:৪৯


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 42 = 50