রাতে পারদ নামল ২ ডিগ্রিতে, এই মরশুমে কুণ্ডু স্পেশালই ৩০জন বাঙালিকে দিল সারাহানে মা ভীমাকালী দেবী দর্শনের অভিনব অভিজ্ঞতা

আবহাওয়া দেশ ভ্রমণ
শেয়ার করুন

Published on: এপ্রি ১০, ২০১৮ @ ০০:১৭

এসপিটি নিউজ, সারাহান, ৯ এপ্রিলঃ ভ্রমণের জগতে কেন কুণ্ডু স্পেশাল বিশেষ জায়গা অধিকার করে তা তারা ফের প্রমাণ করে দিল। তাদের চিন্তাভাবনা, তাদের পরিকল্পনা, তাদের বিশেষত্ব, তাদের ব্যবস্থাপনা, সর্বোপরি তাদের ভ্রমণ সম্পর্কে দূরদর্শিতা ঐতিহ্যশালী এই ভ্রমণ প্রতিষ্ঠানটিকে বর্তমান এক বিশেশ জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। কলকাতার বেশিরভাগ ট্যুর অপারেটর হিমাচল প্রদেশের ভ্রমণ বলতে শিমলা, কুলু আর মানালি খুব বেশি হলে রোটাংপাস করাচ্ছে সেখানে কুণ্ডু স্পেশাল ৩০জন বাঙালিকে এই গ্রীষ্মের মরশুমে এক অসাধারণ শীতের অনুভূতি পাওয়ার সুযোগ করে দিল। সোমবার তারা ঐ বাঙালি পর্যটকদের নিয়ে গেল ৫১ সতীপীঠের এক পীঠ মা ভীমাকালী দেবীর মন্দিরে। রাত্রিবাসের জন্য ব্যবস্থা করল পাহাড়ে ঘেরা মন্দিরের নিজস্ব রেস্ট হাউসে।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭৫৮৯ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত হিমাচল প্রদেশের ছোট্ট গ্রাম সারাহান। সেই গ্রামেই অবস্থিত দেবীর ৫১ সতীপীঠের এক পীঠ মা ভীমাকালী দেবীর মন্দির। আপেল বাগানে ঘেরা এই মন্দিরকে ঘিরে অনেক ইতিহাস জড়িয়ে আছে। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত হেমন্ত শর্মা বলছিলেন, মা ভীমাকালী হলেন এখানকার রাজ পরিবারের কুলদেবী। ১৯৬০ সালের পরে এই মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের হাতে চলে আসে। সোমবার মন্দিরে পৌঁছে দেখা গেল সেখানে কাজ চলছে। মন্দিরের একদিকে যেমন আছে শ্রীখণ্ড পাহাড় ঠিক তেমনই আর এক দিকে মাথ তুলে দাঁড়িয়ে আছে বসিল পাহাড়। প্রধান পুরোহিত বলছিলেন মা এখানে শান্তির রূপে আছেন। বিগ্রহে সেটাই দেখা যায়। তবে, মা-কে কালিকা রূপেই পুজো করা হয়ে থাকে।

এই জায়গাটি নিয়ে বাঙালি ভ্রমণ সংস্থগুলির মধ্যে ঠিক সেভাবে হুড়োহুড়ি নেই। তাদের মধ্যে হিমাচল প্রদেশের সিমলা-কুলু-মানালি নিয়ে যে উৎসাহ দেখা যায় সেটা কিন্নর-কল্পা নিয়ে সচরাচর দেখা যায় না। এখানেই বাঙালি অন্যান্য ভ্রমণ সংস্থাকে ছাপিয়ে নিজেদের উৎকর্ষতাকে তুলে ধরতে সফল হয়েছে কুণ্ডু স্পেশাল।

এবার শিমলা আসার পথে কালকা মেলে যে কটি ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে কথা হল, তাতে জানা গেল সবার গন্তব্য সিমলা-কুলু-মানালি। আর এখানেই বাংলার আর পাঁচটা ট্যুর অপারেটরদের ছাপিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে প্রাচীন এই ভ্রমণ সংস্থাটি। যেখানে ৩০জন বাঙালিকে নিয়ে চলেছে কিন্নর-কল্পার দেশে। যেখানে এখনো তাপমাত্রা মাইনাস কিংবা তার কাছাকাছি।

সোমবার তারা মা ভীমাকালী দেবীর মন্দিরে নিয়ে এল। ৩০ জনের মধ্যে বেশিরভাগই বয়স্ক। তাদের শুধু মন্দির দর্শনই করাল না সেইসঙ্গে বয়স্ক ওই বাঙালি পর্যটকদের রাত্রিবাসের জন্য মন্দিরের নিজস্ব রেস্ট হাউসে থাকার সুযোগও করে দিল। সেটা এমন এক দিনে যেদিন রাতে তাপমাত্রার পারদ নেমে গেল মাইনাসের কাছাকাছি।

এমন বিরল অভিজ্ঞতার অনুভূতিতে আপ্লুত ভ্রমণে আসা সেইসব পর্যটকরা। তারা তো বলেই দিচ্ছেন, এজন্যই তো আমরা কুণ্ডু স্পেশালকে পছন্দ করি। আমরা তো বহু জায়গায় ঘুরি, কিন্তু মায়ের একান্ন সতীপীঠের এক পীঠে এমন সুন্দর অনুভূতি কুণ্ডু স্পেশাল ছাড়া আর কে দিতে পারবে বলুন তো!

এবার কুণ্ডু স্পেশাল-এর ট্যুর ম্যানেজার হয়ে এসেছেন রাজেশ কর ও তাঁর সহকাড়ি হিসেবে এসেছেন পুষ্পেন্দু মিত্র । তাঁরা দু’জনে যেভাবে ভ্রমনার্থীদের দলটিকে পরিচালনা কর চলেছে যেভাবে তাদের সুষঠু পরিষেবা প্রদান করে চলেছেন তা নিয়ে এই ট্যুরের প্রত্যেক ভ্রমনার্থী খুশি। একদিন আগে থেকেই ম্যানেজার রাজেশবাবু জানিয়ে দিচ্ছেন কোথায়, কখন পৌঁছবে, খাবার দেওয়া হবে, কি দেখা যাব এমনন কত খুঁটিনাটি। রাজেশবাবু তো বলেই দিলেন, এসব আমাদের সংস্থার সঠিক পরিকল্পনার ফসল। তাছাড়া কুণ্ডু স্পেশালএর এমন সাফল্য অনেক আছে। তিনি তো বলেই দিলেন, এসবের পিছনে রয়েছেন আমাদের সংস্থার মালিকরা।

মালিক সৌমিত্র কুণ্ডু, সুভাষ কুণ্ডুর সক্রিয়তা তো আছেই। তবে এই মালিকরা যার উপর দায়িত্ব দিয়েছেন সেই নিতাই সেনগুপ্তর কৃতিত্ব কিন্তু কম নয়। সেটা এর আগে সংবাদ প্রভাকর টাইমসের প্রতিবেদনে উল্ল্যেখ করা হয়েছিল। সেটাই এবার চাক্ষুষ করল সংবাদ প্রভাকর টাইমস।

Published on: এপ্রি ১০, ২০১৮ @ ০০:১৭


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 + 1 =