রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিরডি বন্ধ থাকবে শুধুমাত্র এই কারণে

Main দেশ ধর্ম
শেয়ার করুন

  • মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে পাথরিকে সাইবাবার জন্মস্থান বলে অভিহিত করেছিলেন, যা নিয়ে স্থানীয়রা আপত্তি জানিয়েছিলেন।
  • শনিবার গ্রামে এই বিষয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। ট্রাস্টের মতে, সনাতন মন্দিরে দর্শনে প্রভাব ফেলবে না।

Published on: জানু ১৭, ২০২০ @ ২৩:৪৪

এসপিটি নিউজ ডেস্ক:  রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিরডি বন্ধ থাকবে। শিরডির বাসিন্দারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের কারণ হ’ল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বক্তব্য। যেখানে তিনি পাথরিকে সাইবাবার জন্মস্থান হিসাবে বর্ণনা করেছেন। উদ্ধব বলেছিলেন যে পাথরিতে সাইয়ের জন্মস্থান হিসাবে উন্নয়নের জন্য ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। তিনি বলেছিলেন শিরডি হল সাইবাবার কর্মভূমি এবং পাথরি জন্মস্থান।

শিরডির বাসিন্দারা এই বিবৃতিতে আপত্তি জানিয়েছেন এবং তাই তারা রবিবার থেকে শিরডি বন্ধ রাখবে। শিরডির লোকেরা বলেছেন যে সাইবাবা নিজেই তাঁর পুরো জীবদ্দশায় তাঁর জন্মস্থানটির কথা উল্লেখ করেননি। তিনি সর্বদা নিজেকে সমস্ত ধর্মের বিশ্বাসী এবং একটি পরিবার পর্যবেক্ষক হিসাবে বিশ্বাস করতেন। সাই সচ্চরিত্রে সাইয়ের জন্মস্থান বা বর্ণের উল্লেখ নেই।

শনিবার গ্রামে সভা ডাকা হয়েছিল

সাইবাবা সনাতন ট্রাস্টের সদস্য ভাউসাহেব বাখুরে বলেন – সাইবাবা সম্পর্কে গুজবের (জন্মস্থান সম্পর্কে বিবৃতি) বিরুদ্ধে শিরডি বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। শনিবার গ্রামে এই বিষয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। ট্রাস্টের মতে, সনাতন মন্দিরে দর্শনে প্রভাব ফেলবে না। ভক্তদের কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না। প্রসাদালয় ও ধর্মশালার কাজ যথারীতি চলবে।

সাই সচ্চরিতের ৮ম সংস্করণে পাথরির উল্লেখ আছে

এখন অবধি সাইবাবার জীবন নিয়ে হেমদপন্থ দাভোলকরের রচিত সাই সচ্চরিত্রের 36 খণ্ড প্রকাশিত হয়েছে। এই বইয়ের অষ্টম সংস্করণে উল্লেখ করা হয়েছে যে সাইবাবার জন্ম পাথরিতে। শিরডির লোকেরা অভিযোগ করেছেন যে ১৯৮৪-৯৮ সালে পাথরির সীতারাম ধনু ও বিশ্বাস খের শিরডির ট্রাস্টি ছিলেন। তিনি গোপনে পাথরির নাম সাই সচ্চরিতে সাথে যুক্ত করেন। এখন পাথরিতে জন্মস্থান মন্দিরটি বিকাশের দাবি করা হচ্ছে।

শিরডির গ্রামসভা বৈঠকে কৌশলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে

শনিবার শিরডিতে গ্রামসভার একটি সভা ডাকা হয়েছে। এতে কৌশল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অন্যদিকে, পাথরির লোকেরাও সাইবাবার জন্মস্থান মন্দিরটি উন্নয়নের কথা বলছেন। শিরডির গেজেটিয়ার লেখক প্রমোদ আহের বলেছেন, সাইবাবার বাবা-মায়ের জন্মস্থান সম্পর্কে তামিলনাড়ু, গুজরাট, জেরুজালেম (ইজরায়েল), পাথরিসহ ৮ থেকে ১০ টি জায়গা থেকে দাবি এসেছে। শুধু তাই নয়, সাইবাবা সম্পর্কেও অনেক দাবি করা হয়েছিল, তবে সত্যের ভিত্তিতে একটিও সত্য প্রমাণিত হয়নি।

সাইবাবা তাঁর ধর্মকে বর্ণের পর্যবেক্ষক কবির বলে বর্ণনা করেছিলেন

সাইবাবা নিজে আদালত কমিশনের সামনে প্রমাণ উপস্থাপনের সময় কবির (সর্বশক্তিমান) এবং বর্ণবাদী (ঈশ্বর-আল্লাহ) হিসাবে তাঁর নিজের ধর্ম প্রকাশ করেছিলেন। ব্রিটিশ শাসনেও সাইবাবার নাম, জন্মস্থান সন্ধানের চেষ্টা করা হলেও কোনও ফল পাওয়া যায়নি।

Published on: জানু ১৭, ২০২০ @ ২৩:৪৪


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 + = 12