রঙ বা আবির নয়, কৃষ্ণ নামেই মায়াপুর ইসকন মন্দিরে মহাপ্রভুর আবির্ভাব দিবসে দোল উৎসবে মাতবেন কৃষ্ণানুরাগীরা

রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ফেব্রু ২৮, ২০১৮ @ ২১:৩৮

এসপিটি নিউজ, মায়াপুর (নদিয়া), ২৮ ফেব্রুয়ারিঃ কৃষ্ণ নামেই মেলে আনন্দ, কৃষ্ণ নামেই মেলে মুক্তি, কৃষ্ণ নামেই মনে জাগে শান্তি। আর তাই দোল উৎসবকে নিজেদের মতো করে মানিয়ে নিতে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে জমায়েত হয়েছেন দেশ-বিদেশের কৃষ্ণানুরাগীরা। ইতিমধ্যে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর ৫৩৩তম শুভ আবির্ভাব উপলক্ষ্যে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। চলবে ২ মার্চ পর্যন্ত।এদিনই মহাপ্রভুর আবির্ভাব দিবস। ঐ দিন দোল পূর্ণিমা বসন্ত উৎসব।রং আর আবিরের রঙে নয় কৃষ্ণানুরাগেই রঞ্জিত হয়েই দোল উৎসবে মেতে উঠবেন হাজার হাজার কৃষ্ণানুরাগীরা।

মায়াপুর ইসকন-এর জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান, ২ মার্চ শুক্রবার শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাব দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হবে। ওই দিন বসন্ত উৎসব। দোল পূর্ণিমাও।সর্বত্র রঙ আর আবিরের ছড়াছড়ি।কিন্তু ইসকন মন্দিরে রঙ আর আবিরের খেলা হয় না। বাহ্যিক রঙে না রাঙিয়ে কৃষ্ণানুরাগে রঞ্জিত হওয়ার জন্য চলে সাধনা। সন্ধ্যায় শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাব সময়ে দেওয়া হয় পুষ্পাঞ্জলি এবং প্রার্থনা করা হয় বিশ্ব শান্তি ও বিশ্ব কল্যাণের।

এ বছর ১০০ দেশ থেকে প্রায় ৫০০০ ভক্ত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে মনে করছেন ইসকন কতৃপক্ষ। এজন্য ইসকন মন্দির চত্বর আলোকমালায় সাজানো হয়েছে।সর্বত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য। কৃষ্ণ নাম ও কৃষ্ণ প্রেমে মায়াপুর এখন মুখরিত। জনসংযোগ আধিকারিক জানান, এই উৎসবকে সার্থক করে তুলতে তৎপর তারা। এজন্য যাত্রী নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হয়েছে।মায়াপুর মিনি ওয়ার্ল্ডে পরিণত হয়েছে।

এক মাস ধরে অনুষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিশ্ব বৈষ্ণব সম্মেলন, নবদ্বীপ মণ্ডল পরিক্রমা (৭২কিমি), বিশ্ব শান্তি যজ্ঞ, নৌকা বিহার, রথযাত্রা, বিভিন্ন ভাষায় ভাগবত পাঠ, সেমিনার, নাটক, সঙ্গীত, গঙ্গা পুজো, রাধামাধবকে হাতির পিঠে আরোহন করিয়ে মন্দির চত্বর পরিক্রমা সহ আরও অনেক কিছু।

Published on: ফেব্রু ২৮, ২০১৮ @ ২১:৩৮


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

79 − 74 =