যুদ্ধবিরতি চায় ইউক্রেন- রাশিয়াকে চাপে ফেলল ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বন্ধ করল আকাশপথ

Main বিদেশ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ
শেয়ার করুন

Published on: ফেব্রু ২৮, ২০২২ @ ১৯:৫৩

এসপিটি নিউজ ডেস্ক:    ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। এরই মধ্যে আজ দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শুরু হয়েছে। রাশিয়া যেমন ইউক্রেনের আত্মসমর্পন চায় ঠিক তেমনই ইউক্রেন আবার যুদ্ধবিরতি এবং রুশ সেনা প্রত্যাহার চায়। তবে এরই মধ্যে আবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ান বিমানের জন্য ইউরোপের আকাশপথ বন্ধ করে চাপ সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি ইউরপের বিভিন্ন দেশ ইউক্রেঙ্কে যুদ্ধে সহায়তা করতে অস্ত্র সরবরাহ করছে। ভারত তাদের শিক্ষার্থীদের ইউক্রেন থেকে সরিয়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশ দিয়ে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়কে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে আজ ইউক্রেনের একটি প্রতিনিধি দল রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনার জন্য বেলারুশিয়ান সীমান্তে পৌঁছেছে।রাশিয়ার সাথে আলোচনার মূল লক্ষ্য হল অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং রাশিয়ান সেনা প্রত্যাহার।

Airbnb CEO  রয়টার্সকে বলেছেন Airbnb এবং airbnb. org তার হোস্টদের সাথে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা 100,000 শরণার্থীকে বিনামূল্যে থাকার জন্য কাজ করছে।

রয়টার্স সূত্র বলছে- ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন যে তিনি নতুন বিশেষ পদ্ধতির অধীনে অবিলম্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের জন্য বলেছেন।

ভারতে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ডঃ ইগর পোলিখা জানিয়েছেন যে গতকাল রাশিয়ার বিমানের জন্য ইউরোপের আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার অর্থনীতি দিন দিন পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। রাশিয়া একেবারে নজিরবিহীন হতাহতের ঘটনা ঘটছে। প্রায় 5,300 রুশ সৈন্য প্রাণ হারিয়েছে।

আমরা অনেক বেসামরিক হতাহতের শিকার হচ্ছি। আমাদের মন্ত্রকের সরকারী তথ্য অনুসারে, রাশিয়ান শান্তি-যুদ্ধ অভিযানের ফলে ইতিমধ্যেই 16 জন শিশু বোমা হামলা, গোলাগুলি এবং আরও অনেক কিছুতে নিহত হয়েছে। জানিয়েছেন ডঃ ইগর পোলিখা, ভারতে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত।

তিনি আরও জানিয়েছেন- “ভারতীয় কর্মকর্তাদের কাছেও আমার কাছে একই তথ্য রয়েছে। ভারতের অগ্রাধিকার হল ছাত্রদের সরিয়ে নেওয়া, আমাদের অগ্রাধিকার হল যুদ্ধ বন্ধ করা এবং রাশিয়ার উপর চাপ প্রয়োগ করা। আমি ভারতীয় কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছি, উভয় দেশ শান্তি চায়।”

ডঃ ইগর পোলিখা, জানিয়েছেন-“ইউক্রেনের শরণার্থীর সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়েছে। যুদ্ধ বন্ধ না হলে সংখ্যা ৭০ লাখে পৌঁছাতে পারে। সীমান্তে অনেক লম্বা সারি। লক্ষাধিক ইউক্রেনীয়রা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে, সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করছে।”

রয়টার্স সূত্র জানাচ্ছে,  ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে ক্রেমলিন বলেছে- ইইউ আমাদের প্রতি শত্রুতামূলক আচরণ করছে, যোগ করেছে, “ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বিপজ্জনক এবং অস্থিতিশীল।”

Published on: ফেব্রু ২৮, ২০২২ @ ১৯:৫৩


শেয়ার করুন