“মূক” নিয়ে মুখর হল প. ব. প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়

প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-ডা. সৌমিত্র পন্ডিত

Published on: জানু ৪, ২০১৯ @ ১২:০৯

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ৪ জানুয়ারিঃ পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় যে এখন আরও বেশি পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে তা কিন্তু ইদানীংকালের কাজের ধারাতেই প্রকাশ পেয়ে চলেছে। এর মূলে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বসচেতন অধ্যাপক পূর্ণেন্দু বিশ্বাসের ইতিবাচক চিন্তাধারা কাজ করে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। একের পর এক অসাধারণ কাজ করে তিনি যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করে চলেছে ঠিক একইভাবে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনাকে আরও বেশি করে গুরুত্ব দিয়ে সারা দেশের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এক সম্মানজনক স্থানে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। তারই আর এক নবতম সংযোজন হল “মূক”। নতুন এই অ্যাপ তৈরি করে তারা এবার আরও বেশি করে মুখর হয়ে উঠল।

২রা জানুয়ারি, ২০১৯ নতুন ইংরাজি বছরটা পশ্চিমবঙ্বাসীর কাছে নতুন খবর নিয়ে হাজির অর্থাৎ আবারও শিরো্নামে পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাভাষায় বিজ্ঞানচর্চা করতে কোন বাঙালি ভাল না বাসে বলুন তো! আবার সেটা যদি বাড়ির পোষ্য বা পাখি অথবা অবলা যে কোন প্রাণী বিষয়ের হয়। তাই সকলের কথা মাথায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য অধ্যাপক পূর্ণেন্দু বিশ্বাসের অনুপ্রেরনায় এবং গবেষণা, সম্প্রসারণ ও খামার অধিকরনের অধিকর্তা অধ্যাপক অরুণাশীষ গোস্বামীর সম্পাদনায় প্রকাশিত হল মূক (MUUK) -এই ‘অ্যাপ’টি। বর্তমানে স্মার্ট ফোন ছাড়া আমরা ভাবতেই পারি না। এই পরিষেবাকে আরও উপযোগী করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া সংযোজন এই ‘অ্যাপ’- যেখানে প্রাণীপালন-চিকিৎসা, দোহ বিজ্ঞান বিভাগ, মৎস্য বিজ্ঞান, কৃষি ও উদ্যান বিভাগ, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র, পঠনপাঠন, পরিষেবা, সমস্যা ও প্রতিকার, ভবিষ্যৎ কর্মসূচি প্রভৃতি বিষয়ে ‘বাংলা’-ইয় এই অ্যাপ আশা করি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে।

এটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউন লোড করার পর ফোন নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে নথিভুক্ত করার পর খুব সহজে এই ‘অ্যাপ’টি আত্মস্থ হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য, অধ্যাপক পূর্ণেন্দু বিশ্বাস আশাবাদী যে এই অ্যাপ মানুষের মন জয় করবে এবং আগামী দিনে আরও নানান বিষয় ভিত্তিক ‘অ্যাপ’ তৈরি করা যায় কিনা সে বিষয়েও ভাবনাচিন্তা করার কথা উল্ল্যেখ করেন।

অধ্যাপক অরুণাশীষ গোস্বামী সকল প্রকার সহযোগিতা আ আগামীতে আরও বেশি করে নতুন নতুন প্রযুক্তির সংযোজনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকান্ড মানুষের দোরগোরায় পৌঁছনোর কথা বলেন। আরও বেশি প্রাণীপালনের সঙ্গে মানুষকে যুক্ত করে তাদের সঠিকভাবে প্রতিপালনের মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নতি হোক এটা করার সকল প্রয়াস তিনি করবেন বলেও এদিন জানান।

Published on: জানু ৪, ২০১৯ @ ১২:০৯


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

34 + = 43