সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল ছবি-বাপন ঘোষ
Published on: ডিসে ২, ২০১৮ @ ২৩:৫৬
এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ২ডিসেম্বরঃ যে কাজ অনেক আগে হতে পারত সেই কাজ এতদিনে করা শুরু করল। ‘শুরু করল’ এই দুটি শব্দ এ কারণে ব্যবহার করলাম যে একদিনে তো জেলার সব চোলাই-এর ঠেক ভেঙ্গে দেওয়াসম্ভব নয় এজন্য হাতে সময় দরকার যা এত অল্প সময়ে সম্ভব নয়। তারা এতদিনে যে কাজটা শুরু করল তার মূল কারণ বলুন, ভয় বলুন- তা হল, মুখ্যমন্ত্রীর সফর। যা আবগারী দফতরের কর্তাদের কাছে ভোকাল টনিকের মতো কাজ করেছে। আজ যদি মুখ্যমন্ত্রীর সফর না হত তাহলে হয়তো এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় চোলাই মদের ঠেক ভাঙার অভিযানে নামতে দেখা যেত না আবগারী দফতরকে।
আগামিকাল জেলায় মুখ্যমন্ত্রী আসছেন। তাই আর দেরী নয়, ভেঙে ফেলা হোক জেলার চোলাই মদের ঠেকগুলি। সেই মতো শুরু হয় এদিনের অভিযান। আবগারী দফতর একটা জিনিস ভালোমতোই বুঝেছে যে মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে এসে যখন জিজ্ঞাসা করবেন আপনারা কতবার অভিযান চালিয়েছেন? তখন তারা কি জবাব দেবেন? মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখে পড়ে ধমক খাওয়া ছাড়া দ্বিতীয় কোনও গতি থাকবে না।
সেটা যাতে না হয় তার জন্য আজ রবিবার তড়িঘড়ি জেলা আবগারি দফতরের সুপারিনটেনডেন্ট একলব্য চক্রবর্তী বিশাল দল নিয়ে অভিযান চালান। আজ সকাল থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমা শিলাবতী নদীর চর সংলগ্ন হুগলি জেলার সীমানা এলাকাতে একের পর এক জায়গাতে চোলাই মদের ঠেকে হানা দেয়। অভিযানে ঘাটালের হরিশপুরের চোলাইয়ের ঠেক খুঁজে পেলেও ঠেকে চোলাই মদ উদ্ধার করতে পারেনি আবগারি দফতর। কিন্তু অভিযানে পরিষ্কার যে সেখানে চোলাই মদ তৈরি হতো । এরপর নদী পেরিয়ে আবগারি দফতরের আধিকারিকরা হুগলি জেলার সীমানা এলাকায় অভিযান চালায়। সেইখানে নদীর চরে ঝোপের মাঝ থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ চোলাই মদ।
Published on: ডিসে ২, ২০১৮ @ ২৩:৫৬