মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই জনতার দরবারে হাজির ঝাড়গ্রামের সাংসদ

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল                ছবি-রামপ্রসাদ সাউ

Published on: ফেব্রু ২৭, ২০১৮ @ ২২:২২

এসপিটি নিউজ, ঝাড়গ্রাম, ২৭ ফেব্রুয়ারিঃ এই সরকার মা-মাটি-মানুষের সরকার। মানুষের পাশে থেকে মানুষের কাজ করে যাওয়াই এই সরকারের একমাত্র লক্ষ্য।জঙ্গলমহলে সভা করতে এসে সেকথা বলে গেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়ে গেছিলেন এখানকার মানুষ যেন তার প্রিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। সেটা দেখার জন্য তিনি সেদিন প্রশাসনিক সভায় বেলপাহাড়ির পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও বিনপুরের বিধায়ককে ধমক দিয়েছিলেন। সেই ঘটনার তদারকি করতে কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই মঙ্গলবার সকালে ঝাড়গ্রামের সাংসদ উমা সোরেন পৌঁছে গেছিলেন জনতার দরবারে। প্রশাসনিক কর্তা-ব্যক্তিদের নিয়ে করলেন ক্যাম্প। সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে জমা নিলেন তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।

ঝাড়গ্রাম জেলার বেলাপাহাড়ির প্রত্যন্ত গ্রামীন এলাকায় সরকারী পরিষেবা পাচ্ছেন কি না তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে জনতার দরবারে হাজির হয়েছিলেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ ডঃ উমা সরেন। মঙ্গলবার বেলপাহাড়ির চাকাডোবাতে সরকারি পরিষেবা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা নেওয়ার একটি ক্যাম্প করেছিলেন সাংসদ ও তার প্রতিনিধিরা।

উল্লেখ্য চলতি মাসের গত ১৫ এবং ১৬ তারিখ জঙ্গলমহলের বেলপাহাড়ি ও ঝাড়গ্রাম সফরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৬ তারিখ ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপারের মিটিং হলে প্রশাসনিক বৈঠকে বেলপাহাড়িতে ঠিকঠাক সরকারি পরিষেবা পাচ্ছে না বলে ক্ষুব্ধ হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বংশী বদন মাহাত ও বিনপুরের বিধায়ক খগেনন্দ্র নাথ হেম্ব্রমকে ধমক দিয়েছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রীর জঙ্গলমহল সফরের এক সপ্তাহ পার হতে না হতেই ঝাড়গ্রামের সাংসদ উমা সরেন এদিন জঙ্গলমহলের ভুমিপুত্র ডাক্তার, অধ্যাপক, ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে বেলপাহাড়ির প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে ঘুরে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কাগজপত্র জমা নেন।

এর আগে গত দু-দিন ধরে সাংসদের প্রতিনিধিরা বেলপাহাড়ির আমলাশোল, ছুরিমারা, চাকাডোবা সহ বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মানুষজনদের অভাব অভিযোগের কথা শোনেন এবং যারা সরকারের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা নেন।

এদিন বেলপাহাড়ি পাহাড়, জঙ্গলঘেরা প্রায় ১৭ থেকে ১৮ কিলোমিটার জঙ্গল পথ অতিক্রম করে বহু মানুষ সাংসদের সাথে দেখা করতে এসেছিলেন চাকাডোবাতে। সাংসদের এই ধরনের উদ্যোগে ব্যাপক খুশি এলাকার সাধারণ মানুষজন।

Published on: ফেব্রু ২৭, ২০১৮ @ ২২:২২


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

88 + = 92