পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ইসকন মন্দির দর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, করলেন আরতিও

রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ফেব্রু ১২, ২০১৮ @ ১৬:১৬

এসপিটি নিউজ, মায়াপুর, ১২ ফেব্রুয়ারিঃ পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার দুপুরে স্বল্প সময়ের জন্য মায়াপুর ইসকন মন্দির পরিদর্শনে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি মায়াপুর ইসকন মন্দিরে পা রাখলেন।ইসকনের ইতিহাসে এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক বিরল কৃতিত্বের অধিকারী হলেন। রাধামাধব ও তাঁর অষ্টসখির মন্দিরে যান। সেখানে তিনি আরতি করেন। এদিন তাঁকে স্বাগত জানান মন্দিরের অন্যতম কর্তা অ্যালফ্রেড ফোর্ড ও অন্যান্যরা।

এর আগে এই মাসের প্রথমে মায়াপুর ইসকনে যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু জরুরী কাজ পড়ে যাওয়ায় তাঁর সেই সফর বাতিল হয়ে যায়।কিন্তু, তিনি একবার যাকে কথা দেন সেই কথা তিনি রাখেন। এই সুনাম তাঁর আছে। আর তাই মায়াপুর ইসকনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কাছ থেকে দেখতে পেলেন। কিছু সময়ের জন্য হলেও তাঁরা তাদের কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে পারলেন।

এদিন অ্যালফ্রেড ফোর্ড যার এখন নাম হয়েছে অম্বরীশ দাস তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। হেলিকপ্টারে চেপেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মায়াপুর ইসকনে নামেন।সেখান থেকে তিনি সোজা চলে যান মন্দিরে। ইসকন কতৃপক্ষ এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্য প্রার্থণা করেন। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, মায়াপুর ইসকনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এজন্য রাজ্যের সহযোগিতা কাম্য। মুখ্যমন্ত্রী একথা শোনার পর জানিয়ে দেন-রাজ্য সরকার তাদের সহযোগিতা করবে। রাজ্য পাশে আছে।

এরপর মুখ্যমন্ত্রী চৈতভ্য মহাপ্রভুর মন্দির ও নৃসিংহদেবের মন্দিরেও যান। সেখানেও তিনি আরতি করেন। এদিনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক ছিল মুখ্যমন্ত্রী প্রদীপ হাতে নিয়ে রাধামাধবের সামনে দাঁড়িয়ে আরতি করছেন। মায়াপুর ইসকনের সমস্ত উচ্চ পদস্থ সন্ন্যাসীরা সেই দৃশ্য দেখেন।

এদিন বিদায় নেওয়ার মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অ্যালফ্রেড ফোর্ড-কে রাজ্যে বিনিয়োগ করারও প্রস্তাব দিয়ে আসেন।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওনারা তো অন্য রাজ্যেও বিনিয়োগ করেছেন। আমাদের এই রাজ্যেও করুন। রাজ্য আপনাদের সরকমের সহযোগিতা করবে। আপনাদের স্বাগত। এরপর মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে যান কৃষ্ণনগরের উদ্দেশ্যে।

ছবি ফেসবুকের সৌজন্যে

Published on: ফেব্রু ১২, ২০১৮ @ ১৬:১৬

 

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 3 = 7