রাত থেকে নিখোঁজ এক স্বনির্ভর যুবকের রক্তাক্ত দেহ রাস্তায়, খুন নিয়ে দানা বাঁধছে রহস্য

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা- সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

Published on: ফেব্রু ১২, ২০১৮ @ ২২:৪১

এসপিটি নিউজ, বারুইপুর, ১২ ফেব্রুয়ারিঃ পান-বিড়ির দোকান দিয়ে বেশ চলছিল তার জীবন। কিন্তু এক রাতের মধ্যে সব কিছু ওলোট-পালোট হয়ে গেল এক স্বনির্ভর যুবকের পরিবার। রাত ঠেকে নিওঁজ থাকার পর ভাইয়ের দেহ মিলল রাস্তার উপর। পাশে রক্ত মাখা গাছের ডাল। দোকানে ধার-বাকি দিত না সেই রাগেই কি কেউ খুন করে গেল নাকি এর পিছনে লুকিয়ে আছে আরও কোনও বড় রহস্য।

রবিবার রাত থেকে নিখোঁজ থাকার পর সোমবার সাত সকালে বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল। মৃতের নাম রফিক মিয়াঁ ওরফে রাজা (২৭)।দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হল তার সাইকেল, জুতো ও প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল।ঘটনাটি ঘটে বারুইপুর থানার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বৈদ্যপাড়া রোডে।এর জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

অভিযোগ,যুবককে নৃশংসভাবে মাথায় ও পিঠে ভারি জিনিস দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এদিন ভোরে রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় দেহ পড়ে থাকতে দেখে বারুইপুর থানার পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এলাকায় এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছ। পুলিশ রক্তাক্ত কাঠের লাঠি উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থলে যান বারুইপুর এসডিপিও অর্ক ব্যানার্জি।

ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে খবর, যুবক রফিক মিয়াঁর বারুইপুরের রাস মাঠের কাছে কুলপি রোডের ধারে পান-বিড়ির দোকান আছে। তারা দুই ভাই, দুই বোন। ভাইয়ের দোকানের পাশেই দাদা রশিদ মিয়াঁর আইস ক্রিমের দোকান।

এলাকায় সুপরিচিত রফিক, মিশুকে ছেলে বলে এলাকায় পরিচিত। এই প্রসঙ্গে দাদা রশিদ মিয়াঁ জানায়, “ভাই প্রতিদিন রাত করে দোকান থেকে ফেরে। ফিরতে রাত দুটো আড়াইটে হয়ে যায়। কাল আমি নিজে রাত একটায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরি। ভাই অনেক সময় দোকানেও ঘুমিয়ে পড়ত। আমরা ভেবেছিলাম আসেনি মানে দোকানে ঘুমিয়ে পড়েছে। এর পর ভোরে খবর পাই ভাইয়ের দেহ বাড়ির কাছেই রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্তায় পড়ে আছে।” রশিদ মিয়াঁ জানায়, ভাইয়ের কোনও শত্রু ছিল না। ভারি জিনিস দিয়ে মেরে ভাইকে খুন করা হয়েছে। কে বা কারা এই কাজ করল জানি না।

এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছে, রাতে লরি-বালি ফেলছিল রাস্তায়। চালকদের সাথে কি বচসা হয়েছিল এটাও ভাবাচ্ছে। রাস মাঠের আরও দোকানদাররা জানায় রফিক খুব ভালো ছেলে ছিল। কিন্তু মাঝে মধ্যে মাথা গরম করে ফেলত খদ্দেরদের সঙ্গে। টাকা বাকি রাখতে চাইত না।

রফিকের দিদি রসিদা বিবিও জানায়, ভাই দোকানে বসলেও কাউকে বাকিতে জিনিস দিত না।হিসাব বুঝে নিত। এর জন্য অনেকের রাগ ছিল। এর জন্য কেউ খুন করে দিয়েছে। ভাইয়ের খুনিদের শাস্তি চাই। আবার এক আত্মীয় জানায়, রফিকের কাছে কেউ টাকা ধার নিয়েছিল তা নিয়েও আগে ঝামেলা হয়েছিল। এর জেরে আক্রোশ বশতঃ কেউ খুন করেছে।

Published on: ফেব্রু ১২, ২০১৮ @ ২২:৪১

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 + 1 =