মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ থেকে সরে যাবেন না, তাঁকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাইলে মেদিনীপুর আসনটিও জেতাতে হবে-বললেন প্রার্থী

রাজ্য লোকসভা ভোট 2019
শেয়ার করুন

  • মানস ভুঁইয়া বললেন- “মমতা ব্যানার্জি লড়ছেন উন্নয়ন বাঁচাও , গণত্রন্ত্র বাঁচাও , জীবন জীবিকা বাঁচাও , কর্ম সংস্থান বাঁচাও এর জন্য।”

  • “আমদের কিছু ত্রুটির জন্য যে ফাঁক , ফোঁকর থেকে গেছে সেখান দিয়ে বিজেপি ঢুকে পড়েছে। তাদের বার করতে হবে।”

  • “যাঁরা দ্বন্দ্ব চায়, বিভেদ চায়, যাঁরা ধমের্র নামে ধর্মান্ধ রাজনীতি করতে চায় তাঁদের পাল্লায় পড়বেন না।”

সংবাদদাতা– বাপ্পা মন্ডল

ছবি-বাপন ঘোষ

Published on: এপ্রি ১৫, ২০১৯ @ ২২:৫০

এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ১৫ এপ্রিলঃ ইতিমধ্যেই বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ কেশিয়াড়িতে প্রচার সেরে ফেলেছেন। এবার সেখানে গেলেন তৃণমূলের প্রার্থী ডা. মানস ভুঁইয়া। সোমবার পয়লা বৈশাখের সকালে সেখানে ভোট প্রচারে গিয়ে তৃণমূল প্রার্থী করে ফেললেন একটা মস্ত বড় কাজ। সেটা হল-ভোটারদের ভালোভাবে বুঝিয়ে দেওয়া যে কেন তারা তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবেন। কারণটা হল- দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে চান তবে মেদিনীপুর আসনটি জেতাতেই হবে।সেই কথাই ভোটারদের ভিতর ভালোভাবে গেঁথে দিয়ে এলেন।

বিজেপি কি চায় তা নিয়ে নিজের মতামত দিলেন মানস ভুঁইয়া

1) “মোদি আর ফিরছেন না। মুরলি মনোহর জোশি , লালকৃষ্ণ আদবানীর মতো নেতাদের প্রার্থী না করায় দলে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। এরাজ্যেও নতুন পুরাতন দ্বন্দ্ব মাথচাড়া দিয়েছ।   তবু বিজেপি প্রার্থীরা ভোটে কোথাও কোথাও একটা লন্ডভন্ড কান্ড করতে চাইছেন।  যাঁরা দ্বন্দ্ব চায় , বিভেদ চায় , যাঁরা ধমের্র নামে ধর্মান্ধ রাজনীতি করতে চায় তাঁদের পাল্লায় পড়বেন না। ” ভোটারদের এ বিষয়ে সজাগ ও সচেতন থাকার পরামর্শ দিলেন মানস ভুইঁয়।

কেশিয়াড়িতে ভোট প্রচার

2) রবিবার কেশিয়াড়ির মন্দিরে মন্দিরে পুজো দিয়ে ভোট প্রচার সেরেছিলেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। সোমবার সেখানেই প্রচন্ড রোদ আর গরম উপেক্ষা করে গ্রামের মোরাম পথ পেরিয়ে ভোট প্রচার সারলেন তৃণমূল প্রার্থী ডাঃ মানস ভুইঁয়া। এদিন তিনি কেশিয়াড়ির ঘৃতগ্রাম , কুসুমপুর , সাঁতরাপুর এ প্রচার ও কর্মীসভা করে্। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল নেতা বিকাশ ভুইঁয়া , নির্মল ঘোষ , জগদীশ দাস , ফটিক পাহাড়ি , ব্লক সভাপতি পবিত্র শিট।

কেশিয়াড়িই পাখির চোখ

3) পঞ্চায়েত ভোটে কেশিয়াড়িতে ভালো ফল করেছে বিজেপি। ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি তাদের দখল। কর্র্মীদের উদ্দ্যশ্যে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ কোনো নেতার আচরণে আপনাদের ক্ষোভ, দুঃখ, অভিমান থাকতে পারে। আমিও ভুল করতে পারি। আমাকে শাস্তি দেবেন কিন্তু দল তো ভুল করেনি।’

তিনি মনে করিয়ে দেন, ” মমতা ব্যানার্জির পথ থেকে সরে যাবেন না। যিনি জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ৫২ টি প্রকল্প রাজ্যের মানুষের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন দেশের এই সঙ্কটে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাইলে মেদিনীপুর আসনটিও জিততে হবে। ”

কর্মী সমর্থকদের সচেতন করে বলেন,  “আমদের কিছু ত্রুটির জন্য যে ফাঁক, ফোঁকর থেকে গেছে সেখান দিয়ে বিজেপি ঢুকে পড়েছে। তাদের বার করতে হবে। প্রমাণ করে দিন কেশিয়াড়ি দ্বিগুন লিড দেবে। এই বিধানসভা তৃণমূল জিতলে এখানে উন্নয়নও দ্বিগুন হবে। ”

মমতাকে সামনে রেখে বিজেপিকে খোচা

4) “মমতা ব্যানার্জি লড়ছেন উন্নয়ন বাঁচাও , গণত্রন্ত্র বাঁচাও , জীবন জীবিকা বাঁচাও , কর্ম সংস্থান বাঁচাও এর জন্য এটা জানিয়ে বিজেপির সমালোচনা করে মানস বলেন , আর বিজেপি বলছে তুমি হিন্দু না মুসলিম ? তুমি রাম না রহিম ? তুমি মন্দিরে যাও না মসজিদে ? ”

Published on: এপ্রি ১৫, ২০১৯ @ ২২:৫০

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

55 − 51 =