মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেও হুঁশ ফেরে নাঃ দুই সাংবাদিককে রাস্তায় ফেলে পেটাল “সহনশীল” কর্মীরা

Main রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা– বাপ্পা মন্ডল                                                     ছবি-বাপন ঘোষ

Published on: ডিসে ৩, ২০১৮ @ ২০:৪১

এসপিটি নিউজ, কেশিয়াড়ি, ৩ ডিসেম্বরঃ “জানে না মানুষকে অসম্মান করলে মানুষ তার যোগ্য উত্তর দেয়।”

কেশিয়াড়ির সভায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলি বলেছিলেন আজ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজে যখন একথা বলছেন তখন তিন জানতে পারেননি যে খোদ তাঁর দলের কর্মীরাই এদিন দুই সাংবাদিককে পিটিয়েছে। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠে একটি পেট্রল পাম্পে তৃণমূলের “সহনশীল” কর্মীদের হাতে বেধড়ক পিটুনি খেলেন দুই সাংবাদিক। আহত অবস্থায় তারা জল চাইলেও দেওয়া হয়নি জলও।

আহত দুই সাংবাদিক মেদিনীপুর হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে এই ঘটনার জন্য সেই পেট্রল পাম্পে উপস্থিত তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আনেন। আহত দুই সাংবাদিক হলেন মৃন্ময় চক্রবর্তী ও শেখ ওয়ারেশ। তাদের অভিযোগ, “মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যাওয়ার জন্য বাসের তেল ভরাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে পেট্রোল পাম্প কর্মীদের গন্ডগোল বাধে। সেই খবর সংগ্রহ করতে গেছিলেন তারা। সেইসময় আক্রান্ত হন দুজনে।ছিনিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল, ক্যামেরা, ব্যাগ। ওয়ারেশ মৃন্ময় নিজেদের সংবাদ মাধ্যমের কর্মী পরিচয় দিলেও তাদেরকে ছাড়া হয়নি।”

অভিযোগ, “পুরো ঘটনার নেতৃত্ব দেন কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুভ্রা দে সেনগুপ্ত। তাঁর নির্দেশে দু’জনকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে প্রায় ৫০/৬০ জন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।” আহত অবস্থায় ঐ দুই সাংবাদিক জল চাইলেও তাদের পানীয় জল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। পরে মেদিনীপুর কোতওয়ালী থানার পুলিশ গিয়ে আহত দুজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। গুরুতর আহত ২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। জানা গেছে যে বাসের যাত্রীরা তাদের মারধর করেছে বাসটি কেশপুর থেকে আসছিল।

মুখ্যমন্ত্রী দলনেত্রী বারে বারে দলের কর্মী-সমর্থক-নেতাদের বলে চলেছেন- “আপনারা মানুষের সঙ্গে ব্যবহার ভাল করুন। সহনশীল হোন। মনে রাখবেন তৃণমূল কংগ্রেস দলটা একদিনে তৈরি হয়নি। অনেক ত্যাগ-তিক্ষা-লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে এই দলটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।” কিন্তু তাঁর এসব বানী আদৌ কি পৌঁছচ্ছে দলের কর্মী-সমর্থক-নেতাদের কানে। এসব কথা তার দলের “সহনশীল” কর্মীরা যে খুব বেশি আমল দিচ্ছে না সেটা এদিন আবারও প্রকাশ্যে চলে এল।

পশ্চিম মেদিনীপুরের সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রশ্ন- এই যে আপনার দলের কর্মীদের সহনশীলতার নমুনা হয় তাহলে আমরা কাজ করব কিভাবে? সাংবাদিকদের সঙ্গে যারা ন্যূন্তম ব্যবহার করতে পারেন না, তারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে কি ব্যবহার করবেন, বলতে পারেন দিদি?

Published on: ডিসে ৩, ২০১৮ @ ২০:৪১


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 + 2 =