মমতার সতর্ক বার্তা- সিপিএমের অত্যাচারীগুলোই বিজেপিতে নাম লিখিয়ে আপনাদের ভুল বোঝাচ্ছে

Main রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল

Published on: ডিসে ৩, ২০১৮ @ ১৯:২৮

এসপিটি নিউজ, কেশিয়াড়ি, ৩ ডিসেম্বরঃ পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির হাত শক্ত করছে সিপিএ্ম। এ কথা একাধিকবার বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ কেশিয়াড়িতে দাঁড়িয়েও সেকথার পুনরাবৃত্তি করলেন তিনি। কেশিয়াড়িতে তৃণমূলের বিপর্যয়ের পিছনেও যে সেই সিপিএমের হাত রয়েছে সেকথাও এদিন বলেন মমতা। তাঁর সতর্ক বার্তা-” যারা একদিন যেখানে সিপিএম করে অত্যাচার করত সেই অত্যাচারীগুলোই আজ বিজেপিতে নাম লিখিয়ে আপনাদের ভুল বোঝাচ্ছে।”

কেশিয়াড়ির সভায় দাঁড়িয়ে মমতা একই সঙ্গে স্বীকার করে নেন- দলের স্থানীয় কিছু নেতা মানুষকে বোঝাতে পারেনি। তাদের কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন- “কোনও কোনও নেতা এখানে নিশ্চয়ই দুষ্টুমি করেছে, তাদের আমরাও সরিয়ে দিয়েছি।”

” এমন একটা পার্টিকে আপনারা কিছু কিছু গ্রামসভায় জিতিয়েছে- হ্যাঁ, আপনাদের রাগ হতেই পারে। আমি আপনাদের রাগকে সমর্থন করি। আমি মানুষকে কখনও ভুল বুঝি না। আপনারা করেছেন- কেউ কেউ মিথ্যে কথা বলেছে বুঝিয়েছে। কিন্তু যাদের সরিয়ে যাদের নিয়ে এলেন তারা কতটা ডেঞ্জারাস আপনারা জানেন না। আপনাদের ভিটে-মাটি বিক্রি করে দেব। মাথায় রেখে দেবেন। কোনও কাজ করবে না।” বলেন মমতা।

মমতা বলতে থাকেন- সিপিএমের সেই অত্যাচারীগুলোই বিজেপিতে গিয়ে আপনাদের কাছে মিথ্যে কথা বলছে। আপনাদের কাছে কুৎসা করছে। আপনাদের কাছে অপপ্রচার করছে।আপনাদের কাছে চক্রান্ত করছে।

হনুমানের সঙ্গে দলিতদের বিজেপির তোলা প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন-“হনুমানের সঙ্গে দলিতদের তুলনা করছে। কত বড় নেতা। ঐতিহাসিক স্থান গুলির নাম বদল কএ দিচ্ছে। আরবিয়াই থেকে সিবিআই বিজেপি পার্টির সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আগে কখনও হয়নি। আজকে দলিতদের অপমান করার জন্য বলা হচ্ছে। হনুমান দলিত। অসম্মান করা হচ্ছে। পাড়ায় গিয়ে গিয়ে বলবে হিন্দু ধর্ম-মুসলমান ধর্ম আলাদা হয়ে যাও। বাংলায় বলুন তো কনকদুর্গার মন্দিরও যেমন আমরা করি আমরা ইদগার করে দি। আমরা দক্ষিনেশ্বর মন্দিরকে উন্নত করে স্কাইওয়াক করেদি। আমরা কালীঘাট মন্দিরও করেদি। আমরা তারাপীঠের মন্দিরও ভালো করে করে দি।”

কেশিয়াড়িতে বিজেপি জিতলেও উন্নয়নের প্রশ্নে তিনি যে কোনওভাবেই রাজনীতিকে প্রাধান্য দেবেন না সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন এদিনের জনসভায়। মমতা এদিন মঞ্চে উপস্থিত শুভেন্দু অধিকারীকে নির্দেশ দেন- আমি শুভেন্দুকে সে যেন এখানকার জেলা পরিষদের সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে কেশিয়াড়িতে রাজ্য সরকারের সমস্ত উন্নয়নে যেসব প্রকল্প আছে তা করে ফেলে।

“আমরা রামকৃষ্ণ মিশনের সাধুদের সম্মান করি, গঙ্গাসাগরের সাধুদের সম্মান করি। কিন্তু আমরা বিজেপিদের সম্মান করি না। তার কারন টোটালটাই নাটক। টোটালটাই রাবন যাত্রা। রাবন বধের জন্য রামচন্দ্র লড়াই করেছিল। রাবন বধ তো রাজনীতির মধ্যে দিয়ে করতেই হবে। আগামিদিন তার জন্য আমরা তৈরি। যারা দলিতদের হনুমান বলছে কবে অন্য কোনও জাতকে বলে দেবে ইঁদুর। কবে কাকে বিড়াল বলবে, কবে কাকে কুকুর বলবে। ইনস্টিটিউশন গুলোর নাম ভুলিয়ে দিয়েছে। এখন আবার মানুষের নামের সাথে পশু-পাখিদের নাম যুক্ত করে দিচ্ছে। জানে না মানুষকে অসম্মান করলে মানুষ তার যোগ্য উত্তর দেয়।” বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Published on: ডিসে ৩, ২০১৮ @ ১৯:২৮


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

53 − = 46