আমাদের প্রধান নেত্রী মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে এবং প্রিয় নেতা অভিষেক ব্যানার্জির নির্দেশে আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব

Main দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

সম্রাট তপাদার

কোনও বিশ্লেষক বা তাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞ নেই যিনি বা যারা নির্বাচনী ফলাফলের পূর্বাভাস দিতে পারে, আমি বলতে পারি যে এই চলমান গুজরাট নির্বাচনে কোনওভাবে শাসক বিজেপি দ্বারা হিন্দু ও অ-হিন্দুদের মধ্যে মেরুকরণের প্রসার ঘটানো হয়েছে যা একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক প্রক্রিয়া এবং এভাবেই ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের মৌলিক কাঠামোর উন্নয়নে ফাঁক রয়ে যাচ্ছে ও চাকুরি দেওয়ার ক্ষেত্রেও ব্যর্থতা চোখে পড়ছে , আর তখনি  বিজেপি ধর্মীয় অনুভূতি ও আবেগ নিয়ে অনৈতিকভাবে নির্বাচন করে চলেছে।।

আমরা সর্বদা শিখেছি যে ‘সমস্ত ভারতীয় আমার ভাই ও বোন এবং আমরা ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করি না’ তবে বিজেপি দেখাচ্ছে যে তাদের কাছেই শুধু মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি আছে আর অন্যান্যদের কাছে তা নেই।

এমনকি বিজেপি নেতাদের মুখে নিরপেক্ষ নজরদারির কথা বলা হয়, অথচ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষেত্রে তা এক নীরব শূন্যতা ছাড়া আর কিছুই নয়, যা দেখা গেছে গুজরাট অথবা উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে। যেখানে আমরা দেখেছি, ভোটের দিন নির্বাচন কমিশনকে পরোয়া না করেই প্রধানমন্ত্রী রোড শো করেছেন, আবার কিভাবে ইভিএম পরিচালিত হয়েছে তাও সামনে এসেছে।

তবে ২২ বছর ধরে গুজরাট শাসন করার পরও বিজেপি যে পিছনে পড়ে থাকতে পারে এবং প্রধানমন্ত্রীকে ঢালাও বিকাশের পরিবর্তে যে ধরনের বানানো গল্প সাজাতে হয়েছে তা কিন্তু মোটেই কাম্য নয়।আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু এমনটা হয়নি। আমাদের এখানে সবাই মিলেমিশে বাস করেন। এখানে আমরা কোনো ভেদাভেদ করি না।…আমরা আমাদের প্রধান নেত্রী দিদি মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে এবং আমাদের প্রিয় নেতা অভিষেক ব্যানার্জির নির্দেশে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব এবং তাদেরকে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামো আর আমাদের ভাই-বোনদের আবেগ নিয়ে খেলতে দেব না।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

77 − 68 =