মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমনের লক্ষ্য ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী- কিন্তু সভাস্থলই তো রয়ে গেল ফাঁকা, শুনলো ক’জন

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মন্ডল                                                      ছবি-বাপন ঘোষ

Published on: ফেব্রু ৬, ২০১৯ @ ২১:৩৮

এসপিটি নিউজ, খড়্গপুর, ৬ ফেব্রুয়ারিঃ ইদানীং বিজেপি বলে বেড়াচ্ছে বাংলায় তাদের যে সভাগুলি হচ্ছে সেখানে ভিড় উপচে পড়ছে। আর তা দেখে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা ভয় পেয়ে গেছে। সত্যি তারা কতটা ভয় পেয়েছে সেটা বলা সংবাদ মাধ্যমের কাম্য নয়। তবে বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে এসে মধ্যপ্রদেশের বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহানের সভাস্থলের চেহারা যে এমন হবে তা কিন্তু অনেকেই আশা করেননি। যার ফলে বক্তারা আক্রমনের লক্ষ্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়কে করলেও সেইসব কথা শোনার লোক যে একেবারেই ছিল না তা কিন্তু সভাস্থলের ছবি বলে দিয়েছে।যার ফলে বক্তারা নিজেদের বক্তব্য দীর্ঘায়িত করেননি।আর এমন সভা দেখে সত্যি তৃণমূল নেতৃত্বের ভয় হবে না স্বস্তি হবে সেটাও বিচার করবে সাধারণ মানুষই।

তৃণমূল কংগ্রেস ঠিক করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাংলার যেখানে যেখানে সভা করবে সেখানেই দু’দিন বাদেই তারাও সভা করে বিজেপির কথার জবাব দেবে।খড়্গপুরের মোহনপুরে মাতকাতপুর যুব সংঘের মাঠে এদিন সভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। যেখানে মূল বক্তা ছিলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

সমাবেশ দুপুর একটা নাগাদ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও লোক সমাগম না হওয়ায় তা শুরু হয় বেলা তিনটে নাগাদ। সভার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ সনাবেশ। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে লাগাতর প্রচার চালালেও এদিনের সমাবেশের চেহারা কিন্তু বিজেপির নেতৃত্বকে খুশি করতে পারেনি। বক্তারা যখন বলছিলেন তখন সভাস্থলে পেতে রাখা বসার স্থানগুলি ছিল ফাঁকা। এমনকী দেখা গেছে ব্যারিকেডের বাইরে অনেকে দাঁড়িয়ে বক্তব্য শুনছেন কিন্তু ফাঁকা জায়গায় এসে তারা বসেননি। যা বিজেপি নেতৃত্বের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

এরই মধ্যে বিজেপির প্রদেশ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন-“রাজ্যে এখন যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আমাদের যুদ্ধের ময়দানে নামানো হয়েছে। আমাদের নেতা-মন্ত্রীদের হেলিপ্যাড ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি। সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। বাংলায় নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ, শিবরাজ চৌহানরা আসতে পারবেন না। কিন্তু সিমি, জামাত, আল্কায়দা, রোহিঙ্গারা আসতে পারবে।” এর পাশাপাশি দিলীপ ঘোষের হুঙ্কার-“লোকসভার নির্বাচনে ভোট লুঠ হলে তৃণমূলের গুণ্ডাদের গায়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর লাঠি পড়বে।”

মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান বক্তব্য রাখতে ওঠার সময় দেখা যায় সভাস্থলে ভিড় নেই। বসার স্থানগুলি অনেক জায়াগায় ফাঁকা পড়ে আছে। তারই মধ্যে তিনি আক্রমনের নিশানা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বলেন-“আমি বাংলার মানুষের মঙ্গল চাই। কল্যান চাই। কিন্তু মমতাদিদি যতদিন থাকবেন ততদিন বাংলার মঙ্গল হবে না। কল্যান হবে না। তাই মমতাদিদিকে হঠাতে হবে। এখানে সিন্ডিকেট রাজ চলছে। গুন্ডারাজ চলছে। পুলিশকে বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীকে ছুটতে হচ্ছে। ধরনায় বসতে হচ্ছে। এর জবাব চাইছে সারা দেশ।” একই সঙ্গে তিনি নিজের রাজ্যে উৎখাত হওয়ার কারণ দর্শাতে গিয়ে বলেন-“১৭টি আসন কম পাওয়ায় ক্ষমতায় ফিরতে পারেনি তাঁর দল বিজেপি। কিন্তু কংগ্রেসের থেকে তারা ভোট বেশি পেয়েছে।” তবে লোকসভায় মধ্যপ্রদেশে তারা কংগ্রেসের চেয়ে বেশি আসন পাবে বলে ফাঁকা সভায় দাঁড়িয়ে ভবিষ্যদ্বানী করে যান মধ্যপ্রদেশের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

Published on: ফেব্রু ৬, ২০১৯ @ ২১:৩৮


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

91 − 83 =