বেলজিয়াম-ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা ম্যাচের আগে কি খেতে পছন্দ করেন জানেন

খেলা বিদেশ
শেয়ার করুন

মার্শের তৈরি রান্না হাতে বেলজিয়ামের কেভিন ডি ব্রাইনি।ছবি-বিবিসি

Published on: জুন ২৮, ২০১৮ @ ২১:৫৮

এসপিটি স্পোর্টস ডেস্কঃ বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়রা নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন। তিনি যে খেলার সঙ্গেই যুক্ত থাকুন না কেন। আমরা আগেই জেনেছি ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি ক্রিকেট সিরিজ চলার সময় আগে ও পরে কি ধরনের খাবার খেয়ে শরীরকে চাঙ্গা রাখেন। এবার রাশিয়ায় বিশ্বকাপেও কিন্তু প্রতিটি দল তাদের সঙ্গে শেফ রেখেছে। যিনি খেলোয়াড়দের পছন্দ মতো খাবার তৈরি করে দেন।বেলজিয়াম-ইংল্যান্ড দলে এমন অনেক খেলোয়াড় আছেন যাঁদের খাবারের তালিকা একটু ভিন্ন। আর তাঁদের শেফ হলেন একই ব্যক্তি।বিবিসি তুলে ধরেছে সেই অজানা তথ্য।

ইংল্যান্ডের ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার (জার্সি নম্বর-২) ও গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ড (জার্সি নম্বর-১) এবং বেলজিয়ামের দুই মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রাইনি (জার্সি নম্বর-৭) ও মারোয়ান ফেলাইনি(জার্সি নম্বর-৮) । এদের মধ্যে একটা মিল আছে-তা হল এই চারজন সকলেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়। এর মধ্যে আবার কেভিন ও কাইল ম্যাঞ্চেস্টার সিটির খেলোয়াড়। আজ তারা একে অপরের বিরুদ্ধে নামতে চলেছে। জর্ডান এভার্টন ও ফেলাইনি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের খেলোয়াড়। এদেঁর সকলের শেফ কিন্তু একই ব্যক্তি। তিনি হলেন ইংল্যান্ডের জনি মার্শ।তিনি শুধু এই চারজন নয় বিশ্বের অনেক নামি-দামি খেলোয়াড়ের রান্না করে দেন। এখানে সেই তালিকা দীর্ঘায়িত করছি না, কারণ আজ বেলজিয়াম-ইংল্যান্ডের খেলা। আমাদের নজর তাই এই দুই দলের খেলোয়াড়দের দিকেই থাকছে।

এখন দেখে নেওয়া যাক জনি মার্শ এইসব খেলোয়াড়দের কি ধরনের খাবার রেঁধে দেন। ইংল্যান্ডের তারকা খেলোয়াড় কাইল ওয়াকারের পছন্দের খাবারের তালিকায় সবার উপরে আছে স্প্যাগেতি -বোলোনেজ। অনেকেই হয়তো ভাবছেন, এ বার কি খাবার!জনি মার্শ জানাচ্ছেন-এই খাবারটি হল ইতালিয়ান খাবার। গরুর কিমা এবং টম্যাটো সস দিয়ে বানিয়ে সিদ্ধ স্প্যাগেতি বা পাস্তার সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। যার নাম স্প্যাগেতি-বোলোনেজ। তবে শেফ জনি বিবিসিকে বলেন-কাইল এই ডিশটি একটু অন্যরকমভাবে চান। তাই তাঁর চাহিদা মতো পাস্তা সহ খাবারটিকে বিটরুটের রসে সিদ্ধ করা হয়, যাতে বিটরুটের আয়রন ও নাইট্রেট পাস্তার মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। এর ফলে কাইলকে মাঠে পরিশ্রম করতে বাড়তি উদ্যম যোগাতে সাহায্য করবে।

তবে বেলজিয়ামের কেভিনের পছন্দ একটু ভিন্ন। তিনি ম্যাচের আগে সবসময় হালকা খাবার পছন্দ করেন। ম্যাচের পর তাঁর চাই মাংস। জনির কথায়, শেষবার তিনি ম্যাচের আগে কেভিনের জন্য যে খাবারটি বানিয়েছিলেন তার নাম বারবি-কিউ-চিকেন টাকো। এটি আবার মেক্সিকান খাবার। রুটির ভিতর বারবি-কিউ কররার চিকেনের টুকরোর সঙ্গে লেটুস পাতা, টম্যাটো এবং তার সঙ্গে অ্যাভোকাডো ফলের সরু ফালি দিয়ে বানানো হয় বারবি-কিউ-চিকেন টাকো নামের এই মেক্সিকান খাবারটি। এতে শর্করার পরিমান বেশি থাকে। যা কেভিনকে মাঠে সতেজ ও চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। এর সঙ্গে তিনি কেভিনকে পরিবেশন করছিলেন গাজর ও বাধাকপির স্যালাড।

গোলকিপারদের খাবের তালিকা আবার ভিন্ন। কারণ, তাদের মাঠে সেভাবে পরিশ্রম করতে হয় না। ছুটতেও হয় অন্য খেলোয়াড়দের চেয়ে অনেক কম। তাই তারা একটু অন্য ধরনের খাবার পছন্দ করেন। ইংল্যান্ডের গোলকিপার জর্ডান যেমন শর্করা কিংবা বেশি প্রোটিন যুক্ত খাবারের দরকার পড়ে না।

মার্শ  বলছিলেন-অনেক সময় এইসব খেলোয়াড়রা একটু-আধটু ফাস্ট ফুড কিংবা মসলাদার টার্কি বার্গার পছন্দ করে থাকেন। অনেকে আবার মিস্টি খেতে চান। ম্যাচের পরে এদের অনেকেই পুডিং খেতে চান। তাই তাদের জন্য “অ্যাভোকাডো-চকোলেট মুসা” বানিয়ে দিই। এতে খেলোযাড়দের শরীরে যেমন প্রোটিন যোগায় আবার তাদের দ্রুত ক্লান্তিও দূর করে দেয়।

Published on: জুন ২৮, ২০১৮ @ ২১:৫৮

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 3 = 6