বিশ্বের দীর্ঘতম যাত্রীবাহী ট্রেনের রেকর্ড গড়েছে সুইজারলান্ড, লম্বায় প্রায় ২ কিলোমিটার

Main বিদেশ ভ্রমণ রেল
শেয়ার করুন

Published on: নভে ৪, ২০২২ @ ২০:২৬

এসপিটি নিউজ: এক বিশাল লম্বা ট্রেন এঁকেবেঁকে চলেছে পাহাড়ি পথ ধরে। সে এক অপূর্ব দৃশ্য। ট্রেনের এক দিক যদি পাহাড়ের উপরে থাকে তবে আর এক দিকে রয়েছে নীচের দিকে। ট্রেনের যাত্রীরা ভিতরে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করছেন। হ্যাঁ, এমনই দৃশ্য দেখা যায় ইউরোপের এই দেশে। দেশটির নাম সুইজারল্যান্ড। তারা দাবি করছে যে সারা বিশ্বের দীর্ঘতম যাত্রীবাহী ট্রেনের রেকর্ড তাদের দখলে আছে। তারা ভেঙে দিয়েছে পুরনো রেকর্ড। সুইস রাইতিয়ান রেলওয়ে এই দাবি করেছে।

সম্প্রতি সুইস আল্পসের মধ্য দিয়ে প্রায় ২৫ কিলোমিটার অর্থাৎ ১৫.৫ মেইল পথ ভ্রমণ করেছিল ট্রেনটি।রাইতিয়ান রেলওয়ের পরিচালক রেনাটো ফ্যাসিয়াটি বলেছেন যে রেকর্ড প্রয়াসের উদ্দেশ্য ছিল সুইজারল্যান্ডের কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং অর্জন তুলে ধরা এবং ইউরোপীয় দেশের রেলপথের ১৭৫ বছর উদযাপন করা।

কত লম্বা এই ট্রেনটি

সুইস রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, ট্রেনটি ১.৯ কিলোমিটার লম্বা। ট্রেনটিতে ১০০টি বগি আছে, ২,৯৯০ টন। ট্রেনটি প্রিডা থেকে বার্গুন পর্যন্ত আলবুলা/বার্নিনা রুটে ভ্রমণ করেছে।ইউনেস্কো এই রুটটিকে ২০০৮ সালে একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে মনোনীত করে। ট্রেনটি ২২টি টানেলের মধ্য দিয়ে যায়। যার মধ্যে কয়েকটি আবার পাহাড়ের মধ্য দিয়ে সর্পিল ভাবে গিয়েছে। আছে বাঁকা ল্যান্ডসওয়াসার ব্রিজ সহ ৪৮টি সেতু।

 

ট্রেন লাইন সম্পর্কে কিছু কথা

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একটি বিশ্ব-বিখ্যাত মাস্টারপিস, থুসিস এবং সেন্ট মরিৎজের মধ্যে ৬২-কিলোমিটার লাইনটি ৫৫টি সেতু এবং ৩৯টি টানেলের প্রয়োজন সত্ত্বেও নির্মাণে মাত্র পাঁচ বছর সময় লেগেছে। ১৯০৪ সালের জুলাইয়ে এর সমাপ্তির আগে, দর্শনার্থীরা ঘোড়ায় টানা গাড়ি বা স্লেজগুলিতে রুক্ষ ট্র্যাক ধরে ১৪-ঘন্টার ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রার মুখোমুখি হয়েছিল।লাইনের কেন্দ্রবিন্দু হল ৫,৮৬৬-মিটার দীর্ঘ আলবুলা টানেল, যা রাইন এবং দানিউব নদীর মধ্যবর্তী জলাশয়ের তলদেশে গভীরভাবে চলে।

আগে যাদের দখলে এই রেকর্ড ছিল

বিশ্বের দীর্ঘতম যাত্রীবাহী ট্রেনের রেকর্ডের পূর্ববর্তী অর্জনকারীরা – বেলজিয়াম এবং এর আগে, নেদারল্যান্ডস — তাদের সুবিধার জন্য সমতল ল্যান্ডস্কেপের মাধ্যমে স্ট্যান্ডার্ড গেজ রেলপথ ব্যবহার করেছিল। যাইহোক, আরএইচবি ইভেন্টের কয়েক মাস আগে প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল, যাতে অনন্য ট্রেনটি নিরাপদে চালানো যায় তা নিশ্চিত করার জন্য পরীক্ষা চালানো সহ।ছবিঃ ট্যুইটার

Published on: নভে ৪, ২০২২ @ ২০:২৬


শেয়ার করুন