বিশ্বের দীর্ঘতম উড়ান যাত্রাঃ অস্ট্রেলিয়ার কোয়ান্টাস এয়ারলাইন্স গড়ল নয়া রেকর্ড

Main বিদেশ ভ্রমণ
শেয়ার করুন

  • 19 ঘণ্টা 16 মিনিটের বিরামহীন উড়ানযাত্রায় ১৬ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নিউ ইয়র্ক থেকে সিডনি নিরাপদেই পৌঁছে গেল।
  • বোয়িং 787-9 ড্রিমলাইনার 49 জন যাত্রী নিয়ে নিউইয়র্ক থেকে সিডনি উড়ে গেছিল।

Published on: অক্টো ২১, ২০১৯ @ ২৩:৫০

এসপিটি নিউজ ডেস্ক:  এর আগের রেকর্ড ছিল 18 ঘণ্টা 25 মিনিট-এর উড়ান যাত্রা- সিঙ্গাপুর থেকে নিউ ইয়র্ক, টানা 15 হাজার 344 কিলোমিটার পথ। যা ছিল এতদিন সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের দখলে। এবার তা টপকে গেল অস্ট্রেলিয়ান কোয়ানটাস এয়ারলাইন্স। 19 ঘণ্টা 16 মিনিটের বিরামহীন উড়ানযাত্রায় 16 হাজার 200 কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নিউ ইয়র্ক থেকে সিডনি নিরাপদেই পৌঁছে গেল। বিমানযাত্রার ইতিহাসে এক নয়া রেকর্ড স্থাপিত হল।

অস্ট্রেলিয়ান কোয়ানটাস এয়ারলাইন্স এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘতম বিরামহীন যাত্রী বিমান চালিয়েছে, যাকে আন্তর্জাতিক বিমান খাতে যুগান্তকারী ঘটনা বলে অভিহিত করা হচ্ছে। ‘প্রকল্প সানরাইজ’ নামক এই দীর্ঘতম দূরত্বে বিমান ভ্রমণের মাধ্যমে ক্রু এবং যাত্রীদের উপরের প্রভাবের মূল্যায়নও করা হয়েছিল। বোয়িং 787-9 ড্রিমলাইনার 49 জন যাত্রী নিয়ে নিউইয়র্ক থেকে সিডনি উড়ে গেছিল।

গবেষণার জন্য বিমানযাত্রা

  • এখন পর্যন্ত কোন বাণিজ্যিক বিমানের পক্ষে সব আসনে যাত্রী এবং মালামাল নিয়ে এত দূরের পথ পাড়ি দেয়া সম্ভব নয়।কোয়ানটাস এয়ারলাইন্সের এই ফ্লাইটে তাই খুব কম যাত্রী নেয়া হয় এবং মালামালও নেওয়া হয় কম। যাতে করে বিমানটিতে অনেক বেশি জ্বালানি বহন করা যায়।আর তাই শুধুমাত্র 49 জন যাত্রী নিয়েই বিমানটি উড়ে গেছিল। যাদের বেশিরভাগই কোয়ানটাসের ক্রু এবং কর্মী ছিলেন। পুরো যাত্রা জুড়ে, তারা যোগব্যায়াম করেছেন এবং অনুশীলন করেছেন, ক্যাফিন খেয়েছেন এবং রাতে সাধারণ খাবারের পরিবর্তে মশলাদার খাবার উপভোগ করেছেন।
  • নিউ ইয়র্ক থেকে সিডনি পর্যন্ত দীর্ঘ বিরামহীন যাত্রা হয়েছিল শুধুমাত্র এক গবেষণার জন্য। কোয়ানটাস এয়ারলাইন্স সামনের মাসে একই ধরণের দূরপাল্লার একটি ফ্লাইট চালাবে লণ্ডন থেকে সিডনি পর্যন্ত।কোয়ানটাস আশা করছে, এসব রুটে তারা নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনার ব্যাপারে এ বছরের শেষ নাগাদ একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবে।২০২২ বা ২০২৩ সাল নাগাদ এরকম আরও উড়ান চালুর কথা ভাবছে কোয়ানটাস।

 ঘুমের জন্য যা করা হয়েছিল

যাত্রীরা যখন বিমানে ওঠেন তখন তাদের ঘড়ির সময় সিডনির সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া হয়। এরপর তাদের জাগিয়ে রাখা হয় সেই সময় পর্যন্ত যখন পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায় সন্ধ্যা নামে। ছয় ঘন্টা পরে, যাত্রীদের একটি উচ্চ শর্করাযুক্ত খাবার দেওয়া হয়েছিল,যাতে করে তারা জেটল্যাগ কমানো যায়। এরপর বিমানের ভিতরের আলো কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল যাতে করে তারা ঘুমোতে পারেন। বিমানের পাইলট ও ক্রুদের ব্রেনোয়েভ মনিটর করা হয়েছিল। এতগুলো টাইমজোন পাড় হলে শরীরে কি ধরনের পরিবর্তন ঘটে সেটাও দেখা হয়েছিল।

ক্রমবর্ধমান অঞ্চল

আন্তর্জাতিক এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) এর মতে, বার্ষিক বিশ্বব্যাপী বিমান ভ্রমণকারীদের সংখ্যা বর্তমানে 4.6 বিলিয়ন। 2037 সালের মধ্যে এটি 8.2 বিলিয়ন হবে বলে অনুমান করা হয়।

পাইলট ও ক্রু

পুরো যাত্রার জন্য চারজন পাইলট মোতায়েন করা হয়েছিল। যাঁরা ধারাবাহিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতেন। এ ছাড়া আরও দু’জন পাইলট মোতায়েন করা হয়েছিল। এই বিমান চালকদের তাদের মস্তিষ্কের গতিবিধি পরিমাপ করার জন্য বিশেষ হেডব্যান্ড দেওয়া হয়েছিল। ককপিটে থাকা ক্যামেরাগুলি পাইলটের আলোকিতকরণ করেছিলেন।

Published on: অক্টো ২১, ২০১৯ @ ২৩:৫০

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 54 = 56