বিশ্বমানের গ্যাস্ট্রোনমি গন্তব্য হিসাবে থাইল্যান্ডকে তুলে ধরতে নয়াদিল্লিতে বিশেষ অনুষ্ঠান

Main দেশ বিদেশ ভ্রমণ
শেয়ার করুন

Published on: আগ ৫, ২০২২ @ ২১:৩৫
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে ভিন্ন স্বাদের রকমারী খাবারের দেশ বললে উঠে আসবে সবার আগে থাইল্যান্ডের নাম। দেশটিতে এত সুন্দর খাবারের সুবন্দোবস্ত আছে যা আপনি সেখানে একবার না গেলে বুঝতেই পারবেন না। এই সুনামকে আরও বাড়িয়ে নিয়ে যেতে দেশটি এবার আরও এক পরিকল্পনা করেছে। গত ১ আগস্ট নয়া দিল্লিতে থাইল্যান্ড ট্যুরিজম কর্তৃপক্ষ গ্যাস্ট্রোনমি অর্থাৎ উত্তম ভোজনবিলাসকলার গন্তব্য হিসেবে থাইল্যান্ডকে তুলে ধরতে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। যার নাম দেওয়া হয়- ‘অ্যামেজিং নিউ চ্যাপ্টারস: থাইল্যান্ড গ্যাস্ট্রোনমি এক্সপেরিয়েন্স নেটোয়ার্কিং লঞ্চ’।

কেন এই আয়োজন

থাইল্যান্ডের পর্যটন কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য একটি বিশ্বমানের গ্যাস্ট্রোনমি গন্তব্য হিসাবে থাইল্যান্ডের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যেখানে ঘুরতে এসে মানুষ এক উত্তম ভোজনবিলাসের অপূর্ব অভিজ্ঞতা নিয়ে নিজের দেশে ফিরে যাবে।ভ্রমণের সঙ্গে তারা থাইল্যান্ডের অসাধারণ খাবারের স্বাদও আস্বাদন করবেন। এটাই চায় থাইল্যান্ড ট্যুরিজম কর্তৃপক্ষ।আর সেই জন্যই তারা এই আয়োজন করে।

আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন যারা

নয়া দিল্লিতে ১ আগস্ট, ২০২২ তারিখে থাইল্যান্ড পর্যটন কর্তৃপক্ষ সহ থাই এয়ারওয়েজ ইন্টারন্যাশনাল পিএলসি লিমিটেড, অংশীদার খাও গ্রুপ এবং হায়াত রিজেন্সি সুকুমভিট ব্যাংকক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে থাইল্যান্ড প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন তানেস পেটসুওয়ান ডেপুটি গভর্নর, আন্তর্জাতিক বাজার (এশিয়া ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল), থাইল্যান্ডের পর্যটন কর্তৃপক্ষ। উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক বীর সংঘভি ও সীমা গোস্বামী, গুরমেট প্ল্যানেটের মিস্টার সনি ওয়ালিয়া, শিবানী ওয়াজির পাসরিচ প্রমুখ।

কি কি ছিল খাবারের মেনুতে

ইভেন্টে হায়াত রিজেন্সি সুখুমভিট ব্যাংকক-এ অবস্থিত মিশেলিন স্টার রেস্তোরাঁ-মার্কেট ক্যাফে-এর খাও-এর খাঁটি থাই খাবার প্রদর্শন করা হয়েছে, যেখানে চার কোর্সের খাবার রাখা হয়, যেখানে কিছু জনপ্রিয় থাই খাবার ছিল।

এই নেটওয়ার্কিং ইভেন্টের উদ্দেশ্য

এই নেটওয়ার্কিং ইভেন্টের উদ্দেশ্য ছিল গ্যাস্ট্রোনমি ট্যুরিজমের জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য হিসেবে থাইল্যান্ডকে প্রচার করা এবং প্রদর্শন করা যা শীর্ষ মানের বিশ্ব রন্ধনসম্পর্কীয় অভিজ্ঞতা প্রদান করে, সেইসাথে খাঁটি থাই খাবার এবং স্বাদ উদযাপন করা। থাই রন্ধনপ্রণালী তার সংস্কৃতির মতোই সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময়। সব স্বাদের প্রতি আপীল করার জন্য অনন্যভাবে তৈরি, থাই খাবার সেরা স্বাদ, টেক্সচারের রঙ এবং উপস্থাপনার সমন্বয় করে।

২০১৭ সাল থেকে, TAT ব্যাংকক, ফুকেট, ফাং এনগা এবং চিয়াং মাই কভার করে Michelin গাইড তৈরি করতে বিখ্যাত Michelin গাইডবুকগুলির সাথে যৌথভাবে কাজ করেছে। এটি থাই শেফদের গুণমান এবং মানকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে এবং বিশ্বের অন্যতম প্রধান গ্যাস্ট্রো পর্যটন গন্তব্য হিসেবে রাজ্যের মর্যাদা বাড়াতে সাহায্য করেছে।

এ প্রসঙ্গে একটা জেনে রাখা আবশ্যক যে সারা বিশ্বে থাই খাবারের কিন্তু বেশ সুনাম আছে। বিশেষ করে রন্ধনপ্রনালীতে দেশটির শেফদের সুনাম সর্বজনবিদিত।

Published on: আগ ৫, ২০২২ @ ২১:৩৫


শেয়ার করুন