বিভিএসি: কলকাতা ও বাংলাদেশের জন্য আমরা গর্বিত- বললেন ডিইউ ডিজিটাল গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট রাজ্জি রাই

Main দেশ বাংলাদেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

 Published on: ডিসে ২৪, ২০২১ @ ১৮:১৭
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৭ ডিসেম্বর: সম্প্রতি কলকাতায় বাংলাদেশের প্রথম ভিসা অ্যাপলিকেশন সেন্টারের উদ্বোধন হয়েছে। নিউ টাউনের সেক্টর ফাইভে অবস্থিত অসাধারণ এই ভবনটির আউটসোর্সিং-এর অফিসিয়াল দায়িত্ব পেয়েছে ডিইউ ডিজিটাল গ্লোবাল কোম্পানি। তারা ভিএফএস-এর সঙ্গে টাই আপ করে পেশাদার সহায়তা নিয়েছে। ডিইউ ডিজিটাল গ্লোবালের কর্ণধার তথা প্রেসিডেন্ট ‘ট্রাভেল আইকন’ রাজ্জি রাই সংবাদ প্রভাকর টাইমস-কে বলেছেন কলকাতায় এমন একটা অফিস করতে পারার জন্য তারা কলকাতা এবং বাংলাদেশের জন্য গর্বিত। সারা দেশের মধ্যে এটাই সবথেকে বড় ভিসা সেন্টার। ট্রাভেল এজেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি বলেছেন- কলকাতায় বাংলাদেশ ভিসা অ্যাপলিকেশন সেন্টারের উদ্বোধন হওয়ার জন্যে সমস্ত ট্রাভেল এজেন্ট থেকে শুরু করে বাংলাদেশের ভ্রমণকারীরা এর পূর্ণ সুবিধা পাবে। এমন একটা সেন্টারের খুব প্রয়োজন ছিল।

গতকাল সংবাদ প্রভাকর টাইমস-এর পক্ষ থেকে নিউটাউনের সেক্টর ফাইভে অবস্থিত অসাধারণ বাংলাদেশ ভিসা অ্যাপলিকেশন সেন্টার পরিদর্শনের সুযোগ হয়েছিল। সেন্টারের আউটসোর্সিং-এর দায়িত্ব প্রাপ্ত ডিইউ ডিজিটাল গ্লোবাল কোম্পানির কর্ণধার রাজ্জি রাই-এর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছিল। মূলতঃ তাঁরই আমন্ত্রণে ১৩ হাজার বর্গফুটের এমন বিশাল ঝা চকচকে অফিসটি ঘুরে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। গোটা অফিসটি ঘুরে দেখতে সহায়তা করেন কোম্পানির দুই আধিকারিক সুনীল অরোরা ও সরফরাজ আনোয়ার।

কলকাতায় ঝা চকচকে উন্নতমানের ভিসা সেন্টার

সত্যি নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করা যাবে না যে এমন সুন্দর আর উন্নত মানের ভিসা অফিস কলকাতায় আর একটাও আছে কিনা! বিশেষ করে বাংলাদেশ ভ্রমণকারীদের কাছে তো এটা তো একটা বড় পুরস্কার। কারণ, বছরের পর বছর ধরে বেকবাগানে অবস্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের অফিস থেকেই এতদিন ভিসা করতে যেতে হত ভ্রমণকারীদের। ভোর রাত থেকে রাস্তায় রোদ-ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে কষ্ট স্বীকার সহ্য করে ভিসা নিয়ে আসতে হত সাধারণ ভ্রমণকারীদের। অবশেষে তাদের সেই কষ্টের দিন ফুরিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের চেষ্টায় অবশেষে কলকাতার বুকে অত্যাধুনিক এমন সুন্দর এক ভিসা অ্যাপলিকেশন সেণ্টারের ব্যবস্থা করেছেন তারা। আর তার আউটসোর্সিং-এর দায়িত্ব পেয়েছেন ডিইউ ডিজিটাল গ্লোবাল কোম্পানি। ভিসার জগতে যাদের সুনাম সুপরিচিত। ভিএফএস ভারত-এর সাথে টাই আপ করে তারা পেশাদারি সহায়তা নিয়েছে।

কিভাবে কাজ করবে ডিইউ ডিজি্টাল গ্লোবাল

ডিইউ ডিজিটাল গ্লোবাল-এর কলকাতার অফিসের পক্ষে সরফরাজ আনোয়ার এসপিটিকে জানালেন- বাংলাদেশে ভ্রমণকারী মানুষদের ভিসা সহায়তা দেওয়ার জন্য তারা কাজ করছে। বাংলাদেশ সরকার তাদের আউটসোর্সিং-এর কাজ করার অনুমতি দিয়েছে। এই অফিসে অর্থাৎ বাংলাদেশ ভিসা অ্যাপলিকেশন সেন্টারে এসে ভ্রমণকারীদের কোনও কষ্ট করতে হবে না। এখানে অ্যাপলিকেশন ফর্ম ফিল-আপ করার লোক আছে। সেখান থেকে প্রিন্ট-আউট বের করে তারা নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিতে পারেন। এখানে আছে সোনালি ব্যাঙ্কের কাউন্টার। টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও কাজ সহজ হয়ে গিয়েছে। আছে ফটো কপি করার সুবিধা। এছাড়াও মা ও শিশুর জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ ঘরের ব্যবস্থা।আছে প্রার্থণার ঘর। ব্যবস্থা করা হয়েছে ক্যাফেটেরিয়ার। আছে প্রিমিয়াম লাউঞ্জও। যেখানে বসে ভ্রমণকারীদের কিছু সময় কাটাতে পারবেন। নিজেদের মধ্যে আলোচনা সেরে ফেলতে পারবেন। আবেদনকারীদের স্বাচ্ছন্দ্য আরও বাড়িয়ে তুলতে এই ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে থাকছে – ভিসার আবেদনপত্র পূরণে সহায়তার জন্য হেল্প ডেস্ক, ফটো ডেস্ক, ফটোকপি পরিষেবা, ইলেকট্রনিক কিউইং মেশিন, ফ্রি ওয়াই ফাই, ইলেকট্রনিক পেমেন্ট ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত পার্কিং সুবিধা ইত্যাদি। অর্থাৎ এক কথায় একই ছাদের নিচে একাধিক সুবিধা প্রদান করছে ডিইউ ডিজিটাল গ্লোবাল।

কোথায় অবস্থিত এই বাংলাদেশ ভিসা অ্যাপলিকেশন সেন্টার

শিয়ালদা, বিধাননগর, বারাসত কিংবা গড়িয়াহাট যেদিক থেকেই আসুন না কেন আপনাকে সেক্টর ফাইভে কলেজ মোড় থেকে আরএস সফটওয়্যারের স্টপেজে নামতে হবে কিংবা আসতে হবে। এরপর ঠিক উলটো দিকে সিপি ব্লক ধরে মিনিট দুয়েক হাঁটা পথে পৌছে যাবেন বাংলাদেশ ভিসা অ্যাপলিকেশন সেণ্টারে। সেখানে এসে দু’তলায় ডিইউ ডিজিটাল গ্লোবালের অফিস। ভিসার আবেদন গ্রহণের সময় সকাল ন’টা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত। ১৩ হাজার বর্গফুটের সুবিশাল অত্যাধুনিক এই অফিসে আপনি একই ছাদের তলায় ভিসার আবেদন করার সমস্ত সুযোগ পাবেন। এমনকি, বাড়িতে ভিসা পৌঁছে দেওয়ারও ক্যুরিয়ার পরিষেবা নিতে পারেন নির্দিষ্ট অর্থ পরিশোধের বিনিময়ে, যার জন্য আপনাকে অযথা চাপ নিতে হবে না।ডিইউ ডিজিটালই করে দেবে সেই সুযোগ।এখানে আবেদন জমা দিতে এসে কাউকে আর বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। কারণ, একই ছাদের নীচে বাতানুকুল ঘরে এক সঙ্গে প্রায় ৫০০ মানুষের বসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

টাফি’র চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি এসপিটি’কে বলেন- কলকাতায় রাজ্জি রাইএর দিল্লি ভিত্তিক কোম্পানি ডিইউ ডিজিটাল-এর সঙ্গে এই চুক্তি হয়েছে, তারা এর জন্য ভিএফএস ভারতের সাথে টাই আপ করে পেশাদার সহায়তা নিয়েছে। এমন একটি অফিসের খুব প্রয়োজন ছিল। এই অফিস হওয়ার ফলে বাংলাদেশে যাওয়া ভ্রমণকারীদের এখন আর কষ্ট করে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে না। তাদের পরিশ্রম আর সময় দুইই বাঁচবে। ট্রাভেল এজেন্টরাও যথা সময়ে ভিসা প্রদানে ভ্রমণকারীদের আরও বেশি করে সহায়তা দিতে পারবে।

দেখে নিন বাংলাদেশ ভিসা অ্যাপলিকেশন সেন্টারের কিছু ছবি।

Published on: ডিসে ২৪, ২০২১ @ ১৮:১৭


শেয়ার করুন