বিনয়-অনিতকে মুখ্য পরামর্শদাতা করে জিটিএ-র নয়া কমিটি গঠন করে দিলেন মমতা

Main রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-কৃষ্ণা দাস

 Published on: সেপ্টে ৪, ২০১৮ @ ২০:৫৯

এসপিটি নিউজ, দার্জিলিং, ৪ সেপ্টেম্বরঃ সমতল ও পাহাড় দুই জায়গার মানুষই তাঁর কাছে সমান। তিনি চান দুই জায়গাতেই সমানভাবে উন্নয়ন হোক। আর তার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে একাধিকবার দার্জিলিং ছুটে গেছেন। কিন্তু তাঁর সেই প্রয়াসকে কেউ কেউ থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। শেষে মুখ্যমন্ত্রীর অদম্য জেদের কাছে সেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার দার্জিলিং-এর উন্নয়নের রথকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। সেই পথকে আরও সুগম করতে এদিন তিনি মুখ্যসচিব মলয় দে-কে দিয়ে জিটিএ-এর নয়া কমিটি গড়ে দিলেন। যে কমিটিটিতে দার্জিলিংযের বিধায়ক অমর সিং রাইকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। তবে কমিটির মাথায় মুখ্য পরামর্শদাতা হিসেবে রাখা হয়েছে বিনয় তামাং ও অনিত থাপাকে।

জিটিএ-এর কাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, ” জিটিএ খুব ভালো কাজ করছে। আমরা যাবতীয় সব প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেছি। রাজ্য সরকার পাহাড়ের উন্নয়নে সব্রকমের সাহায্য করবে।” একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, “দার্জিলিংকে নয়া দার্জিলিং হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ আরো নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পাশাপাশি সার্বিক উন্নয়নের দিকে লক্ষ্য রেখেই এই নতুন কমিটি গড়া হয়েছে।”

প্রসঙ্গতঃ পাহাড়ে টানা ১০৫দিন বনধ থাকার পর মুখ্যমন্ত্রীর চেষ্টায় পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসে। সেইসময় মুখ্যমন্ত্রীকে যারা শান্তি স্থাপনে বিশেষভাবে সাহায্য করেছিলেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিনয় তামাং ও অনিত থাপারা। এদের জন্যই মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে নতুন করে উন্নয়নের রথকে এগিয়ে যেতে পারছেন। গত কয়েক মাসে যেভাবে জিটিএ-র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে বিনয় ইয়ামাং তাঁর দায়িত্ব সামলে পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়ন তরান্বিত করেছেন তার জন্য এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিনয় তামাং-এর প্রশাংসাও করেন। আর তার ফল হিসেবে পাহাড়ে নয়া বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠছে।

এদিনের জিটিএ-র প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, দার্জিলিংকে কিভাবে আরও বেশি আকর্ষণীয় করতে কি কি করা দরকার তা নিয়ে এই কমিটি ছ’মাসের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেবে। একাধিক জায়গায় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন গড়ে তোলা হবে ঠিক তেমনই আরো নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। সে কারণে কমিটিকে জমি থেকে শুরু করে যাবতীয় তথ্য সরকারকে জানাতে বলেন। এদিনের পর্যালোচনা বৈঠকে সিঙ্কোনা সহ, কৃষি, শিক্ষা সহ পর্যটন নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য জিটিএ গত এক বছরে কী কী কাজ করেছে তার খতিয়ান নেন। পাশাপাশি পাহাড়ের মানুষের উন্নয়নের জন্য আর কী কী কর্মসূচি নেওয়া উচিত জিটিএর বর্তমান প্রশাসনিক কর্তা এবং সদস্যদের কাছ থেকে তাও শোনেন। ইতিমধ্যেই জিটিএর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিনয় তামং জানিয়েছেন, পাহাড়ের স্বাস্থ্যব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থা এবং সড়কের দিকেই বিশেষ জোর দিচ্ছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ। পাহাড়ের বিভিন্ন স্কুল এবং কলেজের নানান সমস্যার বিষয়গুলি জিটিএর তরফ থেকে তুলে ধরা হবে বলেও জানান তিনি।

Published on: সেপ্টে ৪, ২০১৮ @ ২০:৫৯

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 68 = 71