বিজ্ঞান কংগ্রেসে সেরা বিজ্ঞানীর পুরস্কার জিতে নিলেন প.ব. প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক

প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান রাজ্য স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান
শেয়ার করুন

Published on: ডিসে ২৭, ২০১৮ @ ১১:৪৮

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৭ ডিসেম্বরঃ বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণারত গবেষকদের কাছে নিজেকে তুলে ধরার একটা বড় মাধ্যম হল এই বিজ্ঞান কংগ্রেস।  তিন বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে এটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। গত ১৮ থেকে ১৯শে ডিসেম্বর কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল তৃতীয় দক্ষিণাঞ্চল আঞ্চলিক বিজ্ঞান ও জৈব প্রযুক্তি বিজ্ঞান কংগ্রেস ২০১৮।দায়িত্বে ছিল পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও জৈব প্রযুক্তি বিজ্ঞান দফতর ও বিধাননগর মহাবিদ্যালয়। এখানে পশ্চিমবঙ্গের নানা জেলার প্রায় ১৫টি বিজ্ঞান বিষয়ের প্রায় ৫০০টিরও বেশি গবেষণা পত্র উপস্থাপিত হয়।এর মধ্যে প্রাণী বিজ্ঞান বিষয়ে ৩০টি গবেষণা পত্রের মধ্যে সেরা পাঁচটি বেছে নিয়ে হয়।এই পাঁচজনকে এই বিভাগে শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীর শিরোপা দেওয়া হয়। যার মধ্যে দু’জনই হলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তাঁরা হলেন-ধ্যাপক পরেশনাথ চ্যাটার্জি ও অধ্যাপক ডা. সৌমিত্র পন্ডিত।

এছাড়াও এখানে রসায়ন থেকে শুরু করে পদার্থ, জৈব, ভূ-বিদ্যা পরিবেশ বিদ্যা বিষয়ক গবেষণা পত্রও উপস্থাপিত হয়।বর্তমানে গ্রামীণ মানুষের প্রাণের বিজ্ঞান তথা প্রাণী চিকিৎসা বিজ্ঞান, মৎস্য বিজ্ঞান বিষয়ের ছাত্র-শিক্ষক-গবেষকগণও এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেন। এই বিভাগে প্রায় ৩০টির বেশি গবেষকপত্র উপস্থাপিত হয়। বর্তমান বিজ্ঞানের যে ধারা তার হাত ধরে নতুন নতুন চিন্তাধারা ও গ্রামীণ মানুষের কাজে লাগে এমন গবেষণা যা আর্থিকভাবে মানুষকে উন্নতির পথ দেখাবে তা তুলে ধরেন প্রাণী বিজ্ঞানীরা। কৃষি, মৎস্য সঙ্গে প্রাণী বিজ্ঞানের এই শাখায় -পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৮জন গবেষক ও ছাত্র প্রতিযোগী ছিলেন।

এই পর্বে গর্বের সঙ্গে পাঁচটি শ্রেষ্ঠ গবেষণাপত্র বাছাই করা হয়।যার মধ্যে দুটির দাবিদার প্রাণী চিকিৎসা বিজ্ঞানের দু’জন অধ্যাপক। প্রথম স্থান অধিকার করেন প্রাণী পুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক পরেশনাথ চ্যাটার্জি- যাঁর গবেষণার মূল বক্তব্য ছিল “ন্যানো সায়েন্সের প্রয়োগ করে মুরগির উৎপাদন বৃদ্ধি ও জিঙ্ক-এর প্রভাব” “সিন্থেসিস অফ ডায়েট্রি ন্যানো-জিঙ্ক ফর অপটিমাইজিং হেলথ অ্যান্ড প্রোডাকশান অফ ডিজাইনার মিট”-যা আগামিদিনে গবেষণার মানোন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মাংস উৎপাদন ও স্বাস্থ্যের দিকটি ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।

অপর আর এক প্রাণী চিকৎ্সক ও প্রাণী বিজ্ঞানী ডা. সৌমিত্র পন্ডিত-অধ্যাপক, প্রাণী পরজীবী বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক চতুর্থ স্থান দখল করেন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল- “সুন্দরবনের গাড়োল ভেড়ার স্বাস্থ্য ও মাংস উৎপাদনের ওপর পরজীবীর প্রভাব”। তিনি জানান, সুন্দরবন ব-দ্বীপ অঞ্চলে “বাংলার কালো ছাগল”-এর সঙ্গে এই ‘গাড়োল ভেড়া’ চাষিরা পালন করেন। কিন্তু সচেতনতার অভাবে তাদের পরিচর্যা ঠিকঠাক না হওয়ার জন্য লাভের পরিমাণ কম হয়- তাই প্রাণী চিকিৎসা বিজ্ঞানের কিছু জ্ঞান সঙ্গে নিয়ে যদি এদের পালন করা হয় তাহলে প্রাণী স্বাস্থ্যের সঙ্গে মাংস উৎপাদনও বেশি হবে-যার ফলস্বরূপ অর্থনৈতিক উন্নতিও ঘটবে।

দুই অধ্যাপকের সাফল্যের খবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য অধ্যাপক পূর্ণেন্দু বিশ্বাস খুবই খুশি এবং তিনি বলেন-“আগামিদিনে আরও ভাল গবেষণা করতে হবে যা সত্যিকারের গ্রামীণ মানুষের অর্থনৈতিক গ্রামীণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে-দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে।”

Published on: ডিসে ২৭, ২০১৮ @ ১১:৪৮


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 32 = 42