সংবাদদাতা-ডা. সৌমিত্র পন্ডিত
Published on: ডিসে ২৯, ২০১৮ @ ১৬:৩৪
এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৯ ডিসেম্বরঃ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় একটা কথা বলে থাকেন- বাংলার ছেলে-মেয়েরা বিশ্ব জয় করুক। সারা পৃথিবী জুড়ে তাদের নাম ছড়িয়ে পড়ুক। দেশ- ও দশের সুনাম বৃদ্ধি করুক তারা। আর তাই তাঁর ইচ্ছাকে সামনে রেখে রাজ্যের নবীন বিজ্ঞানীদের জনসমক্ষে তুলে ধরতে উদ্যোগ নিয়েছে এই সরকার। এবার নিয়ে তিন বছর তারা বিজ্ঞান কংগ্রেসের আয়োজন করে আসছে। এতদিন যা কেউ ভাবতেই পারেনি আজ সেই অসামান্য কাজটা করে দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১৮ ও ১৯শে ডিসেম্বর বিধাননগর মহাবিদ্যালয়ে হয়ে গেল দক্ষিনাঞ্চলিক তৃতীয় আঞ্চলিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কংগ্রেস -২০১৮।
এই কংগ্রেসের মূল উদ্দেশ্য- “মাতৃভাষা তথা বাংলাভাষার মাধ্যমে বিজ্ঞানচর্চা এবং বাংলার কোনায় কোনায় লুকিয়ে থাকা বিজ্ঞান ও নতুন উদ্ভাবনিকে খুঁজে বের কররার মহৎ প্রচেষ্ঠা”-আগামী ২৪শে ফেব্রুয়ারি ও ১লা মার্চ ২০১৯-এ সায়েন্সসিটিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে “রাজ্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও জৈব প্রযুক্তি কংগ্রেস-২০১৯”। ওই অনুষ্ঠানে প্রায় ১৫টিরও বেশি বিজ্ঞানের মূল শাখার যেমন কৃষি, প্রাণীপালন, মৎস্য, রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, ভূ-বিজ্ঞান, প্রকৃতি বিজ্ঞান প্রভৃতি। প্রায় ৫০০টিরও অধিক গবেষণাপত্র দু’দিন ধরে আলোচনা করাআ মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়।
বিধাননগর কলেজের অধ্যক্ষা ও বিজ্ঞান কংগ্রসের সম্পাদিকা অধ্যাপিকা মধুমিতা মান্না বলেন-“বিজ্ঞানীদের প্রতিভাকে খুঁজে বের করতে বা ‘যুগান্তকারী আবিষ্কারের বীজ’ সুপ্ত অবস্থা থেকে মহীরুহ অবস্থা হওয়ার জন্য উপযুক্ত মঞ্চ ও পরিবেশ দরকার তাই এই মহান উদ্দেশ্য-যেখানে নতুন নতুন মুখ বিজ্ঞান-বিজ্ঞানীদের খুঁজে বের করে আনবে। তিনি সেখানে উপস্থিত বিধায়ক রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী শ্যামল রায়, রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য অধ্যাপক বাসব চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানান।
বাংলার বিজ্ঞান চর্চা নিয়ে নিজের মত পোষণ করতে গিয়ে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন-“একসময় পৃথিবীতে বাংলা কিংবা বাঙালি বিজ্ঞানীরা নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশ্ববরেণ্য হয়েছেন- সে জগদীশ চন্দ্র বসু থেকে প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের মতো মনীষীরা বাংলার নামোজ্জ্বল করেছেন। কিন্তু বর্তমানে বাংলায় বিজ্ঞান চর্চায় “ভাঁটার টান” কেন-যদিও দু’একজনের নাম শোনা যায় তাও সে বিদেশের মাটিতে। আচার্য্য জগদীশ চন্দ্র বসুর “অব্যক্ত” বইটিতে বিজ্ঞানীর খেদ তথা তাঁর পিতৃদেব সারা জীবন বিজ্ঞান চর্চা করেও কোন সুনাম তিনি পাননি- কিন্তু কোনওদিন বিজ্ঞান বিমুখ হননি। তাই গু্নীর গুণকে মান দেওয়ার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস হল বিজ্ঞাব কংগ্রেস।সরকারি প্রচেষ্টায় সারা বাংলা জুড়ে নবীন বিজ্ঞানীদের জনসমক্ষে তুলে ধরার সঙ্গে সঙ্গে মান দেওয়ার যে কর্মসূচি মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় চলেছে তা তিনি তুলে ধরেন।
বিজ্ঞানী শ্যামল রায় “উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী-স্মারক বক্তৃতা” উপস্থাপিত করেন। তিনি বলেন-“উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারীর যুগান্তকারী আবিষ্কার তথা কালাজ্বরের ওষুধ “ইউরিয়া স্টিবামাইন”-এর উদ্ভাবনী ও তার ব্যবহার জনসমক্ষে তুলে ধরেন। তিনি জানান-এই আবিষ্কার নিয়ে যে ধরনের আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছিল তা কেবল বাঙালি বলেই হেনস্থা হতে হয়েছিল-এটা কাম্য ছিল না।”
Published on: ডিসে ২৯, ২০১৮ @ ১৬:৩৪