বাংলাদেশ ও ভারতের কাছে আশার কিরণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান – ঢাকায় বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

Main দেশ বাংলাদেশ বিদেশ ভ্রমণ
শেয়ার করুন

Published on: মার্চ ২৬, ২০২১ @ ২১:২১

এসপিটি নিউজ, ঢাকা, ২৬ মার্চ: বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সম্মানীয় অতিথির ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উপর জোর দেন। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের জাতির পিতা বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন- বাংলাদেশ ও ভারতীয়দের জন্য বঙ্গবন্ধু হলেন এক আশার কিরণ।

শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন- “সকল ভারতীয়ের পক্ষ থেকে আমি আপনাদের সকলকে, বাংলাদেশের সকল নাগরিককে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যিনি বাংলাদেশ ও এখানকার মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন তাকে আমি শ্রদ্ধা জানাই।””একই সঙ্গে আজ আমি মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের ভাই-বোনদের সাথে দাঁড়িয়ে থাকা ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেই সমস্ত সাহসী সৈন্যদেরও অভিনন্দন জানাই। যারা মুক্তিযুদ্ধে রক্ত ​​দিয়েছেন, আত্মত্যাগ করেছেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে খুব বড় ভূমিকা রেখেছিলেন।”

‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেওয়া আমার জীবনের প্রথম আন্দোলনের অন্যতম ছিল’

প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন- “আমি এখানকার তরুণ প্রজন্মকে আমার ভাই-বোনদের আরও একটি কথা গর্বের সাথে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেওয়া আমার জীবনের প্রথম আন্দোলনের অন্যতম ছিল।আমি এবং আমার আরও অনেক সহকর্মীরা বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনতার জন্য সত্যাগ্রহ করেছিলাম তখন আমার বয়স ২০-২২ বছর হবে। বাংলাদেশের সেই আন্দোলনে আমি গ্রেফতারও হয়েছিলাম।বাংলাদেশের আন্দোলনের ডেউ যতটা এখানে ছিল ঠিক ততটাই ওখানেও ছিল।”

“এখানকার মানুষ এবং আমরা ভারতীয়দের জন্য একটি আশার রশ্মি – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।বঙ্গবন্ধুর চেতনায় তাঁর নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে কোনও শক্তিই বাংলাদেশকে দাস করে রাখতে পারবে না।” বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

‘দুই দেশের জন্যই একবিংশ শতাব্দীর পরবর্তী ২৫ বছরের যাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’

“এটি একটি আনন্দের কাকতালীয় বিষয় যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর একসাথে এসেছে।আমাদের দুই দেশের জন্যই একবিংশ শতাব্দীর পরবর্তী ২৫ বছরের যাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।আমরাও আমাদের উন্নয়ন ভাগ করে নিচ্ছি।” আজ, ভারত ও বাংলাদেশের উভয় সরকারই এই সংবেদনশীলতা অনুধাবন করছে এবং এ দিকে অর্থবহ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।আমরা দেখিয়েছি যে প্রতিটি সমাধান পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহযোগিতার মাধ্যমে পৌঁছতে পারে।আমাদের স্থলসীমা চুক্তিও এর সাক্ষী। বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

জঙ্গিবাদের বিষয়েও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে-মোদি

“আমাদের স্মরণে রাখতে হবে যে ব্যবসা ও উদ্যোগের মতো একই রকম সম্ভাবনা আছে। তবে জঙ্গিবাদের বিষয়েও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের দুই দেশের কাছেই গণতন্ত্রের শক্তি আছে। এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য আছে। ভারত ও বাংলাদেশ এক সঙ্গে এগিয়ে চলুক। এই গোটা উপ-মহাদেশে উন্নয়নের জন্য। আর সেদিকে তাকিয়ে ভারত ও বাংলাদেশ এই সংবেদনশীলতাকে মাথায় রেখে এই দিশায় সার্থক প্রয়াস করে চলেছে।”

“করোনার সময় আমাদের দুই দেশের মধ্যে দারুন বোঝাপড়া ছিল। আমার ভারতের ভ্যাকসিন বাংলাদেশের ভাই-বোনের ক্ষেত্রে কাজে এসেছে।”

‘বাংলাদেশ তাদের ভুল প্রমাণিত করেছে’

“আমি খুশি যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ সারা বিশ্বে তাদের নিজেদের সাফল্যকে দেখিয়ে দিয়েছে। যাদের বাংলাদেশের গঠনের উপর অসন্তোষ ছিল, যাদের বাংদেশের অস্তিত্বের উপর সন্দেহ ছিল- বাংলাদেশ তাদের ভুল প্রমাণিত করেছে।”

Published on: মার্চ ২৬, ২০২১ @ ২১:২১


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 + 3 =