বন্যার ফলে মহালক্ষ্মী এক্সপ্রেস জলের মধ্যে আটকে আছে, ট্রেন রয়েছে ৪০০যাত্রী

আবহাওয়া দেশ
শেয়ার করুন

Published on: জুলা ২৭, ২০১৯ @ ১৫:০৭

এসপিটি নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে বেশ কিছু এলাকায় প্রবল বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মুম্বই থেকে ১০০ কিমি দূরে বদলাপুর-ওয়াঙ্গনির মাঝে বন্যার ফলে শুক্রবার রাত ১২টা থেকে মহালক্ষ্মী এক্সপ্রেস আটকে আছে। এই ট্রেনে যাত্রা করা ৭০০জন যাত্রীর মধ্যে ৩০০জনকে ট্রেন থেকে বের করে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে।রাত থেকে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করতে হেলিকপ্টার ও নেভির উদ্ধারকারী দল সেখানে পৌঁছে গেছে। সেরকমই মুম্বইতেও প্রবল বর্ষণের ফলে বহু এলাকা জলমগ্ন হওয়ার পাশাপাশি বন্যা পরিস্থিতিরও তৈরি হয়েছে। এখানে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১৮ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সুনীল উদাসী জানিয়েছেন-“আমরা যাত্রীদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যে তারা যেন ট্রেন থেকে না নামে। ট্রেন সুরক্ষিত স্থানে দাঁড়িয়ে আছে। রেলের স্টাফ, আরপিএফ এবং স্থানীয় পুলিশ সুযোগ মতো পৌঁছে গেছে। দয়া করে এনডিআরএফ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করুন।”

৭টি উড়ান বাতিল, ৯টি অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে

শনিবার ছত্রপতি শিবাজী ইণ্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট-এর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক-এর কথা অনুযায়ী ৭টি উড়ান বাতিল হয়েছে, পাশাপাশি ৯টি অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য উড়ান ৩০ মিনিট দেরীতে চলছে। ঠিক একইভাবে কল্যান থেকে কার্যত সমস্ত ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।

পুলিশ যাত্রীদের সমুদ্র থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে

মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে- “আমরা যাত্রীদের অনুরোধ করছি তারা যেন জল পরিপূর্ণ এলাকা থেকে দূরে থাকে। সমুদ্র থেকে তারা যেন দূরে থাকে। যে কোনও পরিস্থিতিতে মুম্বইবাসী যেন আমাদের ১০০ নম্বর-এ ফোন করে।বিমানবন্দরের আধিকারিক জানিয়েছেন- খারাপ আবহাওয়ার কারণে দৃশ্যমানতা কম থাকায় উড়ান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটেছে।

মুম্বই, নেভি, থানে এবং পালঘরে রেড অ্যালার্ট জারি

আবহাওয়া বিভাগ আগামী ২৪ ঘণ্টায় রায়গড়, সিন্ধুদূর্গ, রত্নাগিরিতে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করেছে। মুম্বই, নেভি মুম্বই, থানে, পালঘরে 26 এবং 28শে জুলাই রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। আগামী চার ঘণ্টায় থানে, রায়গড় এবং মুম্বইতে ৫০-৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গোটা মুম্বই সেদিন জলে ডুবে গেছিল

২০০৫ সালের ২৬শে জুলাই প্রবল বর্ষণে ৪০জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।বিমানবন্দর ও বন্দর সহ বেশ কিছু জায়গা বেশ কিছুদিন বন্ধ রাখা হয়েছিল। গোটা শহর সেদিন জলে ডুবে গেছিল। প্রায় ৫৫০কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছিল।

Published on: জুলা ২৭, ২০১৯ @ ১৫:০৭


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 2 = 2