বজ্রপাতে ১৮টি হাতি মারা গেল, স্থানীয়রা জানাল শ্রদ্ধা

Main দেশ বন্যপ্রাণ
শেয়ার করুন

Published on: মে ১৩, ২০২১ @ ২১:০৫

এসপিটি নিউজঃ  সাম্প্রতিককালে এক সঙ্গে এতগুলি হাতি মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। বুধবার রাতে বজ্রপাতে মারা গেল ১৮টি হাতি। ঘটনাটি ঘটে আসামের নাগাঁও জেলার কাঠিয়াটোলি রেঞ্জের কুন্ডোলির প্রস্তাবিত রিজার্ভ ফরেস্টের একটি পাহাড়ে। সেখানেই দু’টি দলে হাতিগুলি মৃত অবস্থায় পড়ে ছিল।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই আসামের প্রধান বন সংরক্ষক (বন্যপ্রাণী) অমিত সহায়কে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে- বুধবার রাতে আসামের নাগাঁও জেলার কাঠিয়াটোলি রেঞ্জের কুন্ডোলির প্রস্তাবিত রিজার্ভ ফরেস্টের একটি পাহাড়ে এই ঘটনা ঘটে। সেখানেই বজ্রপাতে আঠারোটি হাতি মারা গিয়েছে।

“অঞ্চলটি খুব প্রত্যন্ত এবং আমাদের দল বৃহস্পতিবার বিকেলে সেখানে পৌঁছে হাতিগুলির মৃতদেহ লক্ষ্য করে। দেখা গেছে যে দুটি দলে মৃতদেহ পড়ে ছিল। চোদ্দোটি পাহাড়ের ওপরে শুয়ে ছিল এবং চারটি হাতিকে পাহাড়ের নীচে পাওয়া যায়। জানান ওই আধিকারিক।

অমিত সহায় আরও বলেন, নাগাঁও জেলার চিফ ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন এবং ডিএফও (জেলা বন কর্মকর্তা) কেও এই অঞ্চলে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা 18 টি বন্য হাতির মৃত্যুর কারণ কী হয়েছিল তা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত করবেন, বলেছেন সহায়।

মৃত হাতিগুলির প্রতি স্থানীয় বাসিন্দাদের শ্রদ্ধা জানাতেও দেখা গেছে।

কাঠিয়াটোলি রেঞ্জের বজ্রপাতে ১৮টি বন্য হাতির মৃত্যুর ঘটনায় অসমের বনমন্ত্রী পরিমল সুকলাবৈদ্য শোক প্রকাশ করেছেন। মন্ত্রী সুকলাবৈদ্য বলেন যে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার নির্দেশে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে শুক্রবার সকালে তিনি পিসিসিএফ (বন্যপ্রাণী) এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে সাইটটি পরিদর্শন করবেন।

২০১৭ সালের আদমশুমারি অনুসারে কর্ণাটকের পরে আসামেই ভারতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক হাতি রয়েছে। আসামে হাতির জনসংখ্যা ২০০২ সালে ৫,২৪৬ থেকে বেড়ে ২০১৭ সালে ৫,৭১৯ হয়েছে।

আসাম রাজ্যের বন্য হাতিগুলি শিকার, ট্রেন সম্পর্কিত দুর্ঘটনা, বিষ এবং এমনকি বিদ্যুতের শিকার হয়েছে। সংসদে উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে আসামে প্রায় ১০০ টি হাতি অপ্রাকৃত কারণে মৃত্যু হয়েছে।

Published on: মে ১৩, ২০২১ @ ২১:০৫


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

87 + = 89