মহা্রাষ্ট্র রোড-শো ২০২৩: দেশের অন্যতম সেরা পর্যটন গন্তব্যের আকর্ষনীয় দিকগুলি তুলে ধরল

Main দেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: জুলা ১৪, ২০২৩ @ ০৩:০৭
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৩ জুলাই: কলকাতায় ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম ফেয়ার শুরুর আগেই কলকাতাবাসীর কাছে পর্যটনের এক নয়া দিগন্ত তুলে ধরল মহারাষ্ট্র ট্যুরিজম। কেনিলওয়ার্থ হোটেলে বৃহস্পতিবার তারা এক অসাধারণ মহা রোড-শো-এর আয়োজন করে। সেখানে তারা মহারাষ্ট্র পর্যটনের আকর্ষনীয় দিকগুলি তুলে ধরেন।ভারতের পশ্চিম অংশে অবস্থিত মহারাষ্ট্র প্রাচীন মন্দির, ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্মৃতিস্তম্ভ, সৈকত, হিল স্টেশন, বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং আরও অনেক কিছু থেকে শুরু করে বিভিন্ন আকর্ষণের জন্য পরিচিত। দেশের অর্থনৈতিক রাজধানী, মুম্বাই এর জমজমাট টিনসেল শহর সহ, ভারতে প্রধান আকর্ষণ হিসাবে মহারাষ্ট্রের আকর্ষণকে আরও যুক্ত করেছে।

মহারাষ্ট্রের ডাইরেক্টরেট অব ট্যুরিজমের ট্যুরিজম কনসালটেন্ট প্রীতি ভানাগে পাওয়ার, ডেপুটি ডাইরেক্টর মিস সুপ্রিয়া কর্মারকর তাতার, মহারাষ্ট্র ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের রিজিওনাল ম্যানেজার জগদীশ ঘনশ্যাম চাভান সহ আরও অনেকেই এদিন প্রদীপ জ্বালিয়ে রোড-শো-এর সূচনা করেন।

মহারাষ্ট্র পর্যটন এখন ডবল ইঞ্জিনে চলছে-ডেপুটি ডাইরেক্টর মিস সুপ্রিয়া কর্মারকর তাতার

মহারাষ্ট্র ট্যুরিজমের ডেপুটি ডাইরেক্টর মিস সুপ্রিয়া কর্মারকর তাতার এদিন মহারাষ্ট্র পর্যটনের বিষয়ে বলেন যে এখন মহারাষ্ট্র পর্যটন ডাইরেক্টর অব ট্যুরিজম এবং মহারাষ্ট্র ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন বা এমটি ডিসি অর্থাৎ ডবল ইঞ্জিনে চলছে। এখন আরও অনেক শক্তিশালী মজবুত মহারাষ্ট্র পর্যটন। তিনি আরও বলেন- অনেকেই ভাবছেন, কেন মহারাষ্ট্র টিটিএফ-এ আসছে না, ফ্যাম ট্রিপ করছে না তাহলে কি তারা পর্যটন শিল্পকে বেচতে চায় না! অবশ্যই চায়। সেজন্যই তো এত আয়োজন, বলেন মহারাষ্ট্র পর্যটনের এই আধিকারিক। আমাদের মহারাষ্ট্র পর্যটকদের কাছে এক সীমাহীন গন্তব্যের জায়গা।ডাইরেক্টরেট অব ্ট্যুরিজমের কাজ পলিসি মেকিং এনং প্রমোশোন।একই সঙ্গে রিসর্ট অপারেশ্ন, রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বে থাকছে এমটিডিসি। বাংলা আর মহারাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। অনেক দিনের পুরনো সম্পর্ক। আমরা আরও যেদিকের উপর জোর দিয়েছি তা হল অফ বিট ট্যুরিজম।

মহারাষ্ট্র পর্যটনের এক ঝলক তুলে ধরেন ট্যুরিজম কনসালটেন্ট প্রীতি ভানাগে পাওয়ার

মহারাষ্ট্রের ডাইরেক্টরেট অব ট্যুরিজমের ট্যুরিজম কনসালটেন্ট প্রীতি ভানাগে পাওয়ার তুলে ধরেন মহারাষ্ট্র ট্যুরিজমের বিভিন্ন দিক। তিনি মহারাষ্ট্র পর্যটনের এক ঝলক তুলে ধরেন। বলেন- এখানে অসাধারণ বন্যপ্রাণ, চোখ ধাঁধানো হিল স্টেশন। এখানে ৭২০ কিলোমিটার উপকুলীয় সীমারেখা রয়েছে আরাবিয়ান সমুদ্রের ধারে। খুবই জনপ্রিয় কোঙ্কন অঞ্চল। সেখানে ৯২টি বিচ আছে। মহারাষ্ট্রে ৪৯টি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য, ৬টি জাতীয় উদ্যান, ৭টি কনজারভেশন রিজার্ভ আছে। ওয়েস্টার্ন ঘাটে পশ্চিম ভারতের অসাধারণ হিল স্টেশন আছে। সেখানে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরজমের দারুন সুযোগ আছে। ভারতে সবচেয়ে বেশি বেশি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট আছে। রাজ্যে ১৪টি এয়ারপোর্ট আছে। যার মধ্যে চারটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে। এখানে সর্ববৃহত জাতীয় সড়ক আছে। ১৮টি ন্যাশনাল হাইওয়ে আছে। এখানে সীমাহীন সুযোগ কাজে লাগানো হয়।

রোড-শো উপস্থাপনা করেন কলকাতার মেয়ে গার্গী সেনগুপ্ত  

এদিন রোড-শো উপস্থাপনা করেন কলকাতার মেয়ে গার্গী সেনগুপ্ত। অনুষ্ঠান শুরুর প্রথমেই তিনি অসাধারণ উপস্থাপনার মাধ্যমে মহারাষ্ট্র রোড-শো’কে উপস্থিত সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেন। মহারাষ্ট্র অর্থাৎ মারাঠাদের প্রাণ পুরুষ দেশের সেনাদের জনক মারাঠা পতি মহারাজ শিবাজির কথা তুলে ধরেন। এরপরই তিনি সকলকে মনে করিয়ে দেন যে মহারাষ্ট্র মানেই শুধু মুম্বই নয়। এখানে আরও অনেক কিচভু রয়েছে। পর্যটকদের কাছে মহারাষ্ট্র খুবই আকর্ষনীয় গন্তব্য। সেখাএ অনেক হোটেল, রিসর্টস, হোম স্টে রয়েছে। মহারাষ্ট্র ট্যুরিজমের প্রধান ফোকাস হল- স্থাপত্য, মন্দির, গুহা, অরণ্য। বিশেষ করে পাখিরালয়, টাইগার সিটি তো আছেই। এক মহান রাজ্য মহারাষ্ট্র। এখানে শুধু মুম্বই, নাসিক, পুনেই নয় আরও অনেক জায়গা আছে যেখানে আপনি ঘুরতে যেতে পারেন। গার্গী সেই কথাই তুলে ধরেন। সেখানে বহু ঐতিহাসিক জায়গা আছে। প্রথমেই বলতে হয়- অজন্তা-ইলোরা গুহা, এটা বৌদ্ধ সংসস্কৃতির এক অসাধারণ স্থাপত্য। সেখানে ধর্মীয় ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে সেইসময়ের ভারতের।

Published on: জুলা ১৪, ২০২৩ @ ০৩:০৭


শেয়ার করুন