বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরলেন এই চার বিশিষ্ট ব্যক্তি কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনের আলোচনা সভায়

Main দেশ বাংলাদেশ
শেয়ার করুন

  • বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এই বছর ৪৯ বছরে পা দিয়েছে।
  • কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে সেই উপলক্ষ্যে গত ৭ মার্চ হয়ে গেল এক আলোচনা সভা।
  • তাঁকে স্মরণ করে বক্তব্য রাখলেন- উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, সাংবাদিক পঙ্কজ সাহা, অধ্যাপক সৌমিক বন্দোপাধ্যায়, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।

Published on: মার্চ ১১, ২০২০ @ ১৬:২৯

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১১ মার্চ: বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালির চিন্তায়-মননে-ভাবনায় জুড়ে আছে এই মহান মানুষটির নাম। তাঁর নেতৃত্বে মাত নয় মাসে বাংলাদেশ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল। তাঁর দূরদর্শিতা, মহানুভবতা, বিচারবোধ, নেতৃত্বের দক্ষতা আজও বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে চলেছে।তাঁর ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এই বছর ৪৯ বছরে পা দিয়েছে। কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে সেই উপলক্ষ্যে গত ৭ মার্চ হয়ে গেল এক আলোচনা সভা। সেখানে উপস্থিত চার বিশিষ্ট ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠত্বের দিক তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত ছিলেন

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৌমিক বন্দোপাধ্যায়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননাপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক পঙ্কজ সাহা, বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান বি এম জামাল হোসেন এবং কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) শেখ শফিউল ইমাম।

চার বিশিষ্ট ব্যক্তি যা বললেন

সভাপতির বক্তব্যে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণ্না করতে গিয়ে বলেন- “বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে অত্যন্ত সচেতনভাবে গণতাতন্ত্রিক মূল্যবোধ ও অসাম্প্রদায়িক এবং যুদ্ধের কৌশল সম্পর্কে পরিস্কার ভাষায় যে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন সে মোতাবেক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিসমাপ্তি হয়েছে।”

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননাপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক পঙ্কজ সাহা অবশ্য এবারেও তাঁর জীবনের এক উজ্জ্বল মুহূর্তের কথা স্মরণ করে বলেন- “বঙ্গবন্ধুর কথা রেকর্ড করার জন্য আমি দমদম বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু তখন জানলাম, তিনি তাঁর দেশের জনগণের সাথে আগে দেখা করবেন তারপর কলকাতায় আসবেন। একজন দেশদরদী মহান নেতার আদর্শ এমনই হওয়া উচিত যা বঙ্গবন্ধু করেছেন।”

আলোচনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৌমিক বন্দোপাধ্যায় একইভাবে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শীতার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘বাঙালির লক্ষ স্থির রাখার জন্য যে ধরণের বার্তা দেওয়া প্রয়োজন বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে তাঁর দেশের জনগণকে খুব গভীরভাবে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ নেতৃত্বের কারণে মাত্র নয় মাসে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।”

বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ তাঁর আলোচনায় বলেন, “বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের একটি বক্তব্যে বিশ্বের মানচিত্র বদলে দিয়েছিলেন। গণতান্ত্রিক চিন্তাধারায় নিমজ্জিত বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের সকল নির্দেশনা দিয়ে গিয়েছিলেন।”

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন

  • বাংলাদেশের কলকাতার উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব (প্রেস)মোঃ মোফাকখারুল ইকবাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান- এদিনের আলোচনার শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এরপর এ উপ-হাইকমিশনের কাউন্সেলর (কন্স্যুলার) মোঃ বশির উদ্দিন মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী এবং প্রথম সচিব (প্রেস) মোঃ মোফাকখারুল ইকবাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান।”পরিশেষে সতীনাথ মুখোপাধ্যায় ও মুনমুন মুখার্জি কবিতা পাঠ করেন যা দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন, এ উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-১) সানজিদা জেসমিন।

Published on: মার্চ ১১, ২০২০ @ ১৬:২৯


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 + 1 =