পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই ফের সরকার গড়বে তারা-সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন মোদি

দেশ লোকসভা ভোট 2019
শেয়ার করুন

  • মোদি বলেন- এখন সরকার শক্তিশালী তাই আইপিএল হয়েছে, রমজান চলছে, নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়
  • শাহ জানান- নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর কেউ যদি মাদের সঙ্গে হাত মেলাতে চান তবে তার জন্য আমাদের দরজা খোলা আছে।
  • রাহুল গান্ধীও এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন
  • রাহুল লাইভ প্রশ্ন করেন- রাফেল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি কেন সামনাসামনি বসে জবাব দিচ্ছেন না?
  • অমিত শাহ বলেন-সংসদে যেদিন প্রধানমন্ত্রী এই নিয়ে জবাব দেন সেদিন রাহুল সেখানে কেন অনুপস্থিত ছিলেন?

 Published on: মে ১৭, ২০১৯ @ ২৩:১১

এসপিটি নিউজ, নয়া দিল্লি, ১৭মে: শুক্রবার রাজধানীতে দলীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ সপ্তম দফার নির্বাচনের আগে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। যেখানে প্রধানমন্দত্রী মোদি বলেন-“ইতিবাচক ভাবে এটি এক চমৎকার নির্বাচন। আমরা বিশ্বাস করি যে আমরা পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই ফের সরকার গড়ব। পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই এই সরকার ফিরে আসবে এবং বহুদিন বাদে এমনটা ঘটতে চলেছে।”

মোদি বলেন, “ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র। তার সবচেয়ে বড় শক্তি কি? এটি কোন রাজনৈতিক দলের কাজ নয়। আমি বিশ্বাস করি যে আমাদের দেশকে সামনে নিয়ে যাওয়া উচিত। ২০০৯  এবং ২০১৪এর নির্বাচন এমন ছিল যে আইপিএল প্রতিযোগিতা বিদেশে নিয়ে যেতে হয়েছিল। সরকার সক্ষম হলে আইপিএল হয়েছে, রমজান চলছে, শিশুদের পরীক্ষাও হচ্ছে, নবরাত্রিও হয়েছে।”

২০১৪ সালের ১৭ই মে ইমানদারির শুরু-মোদি

প্রধানমন্ত্রী বলেন-“১৬ই মে গতবার ভোটের ফলাফল বেরিয়েছিল। ১৭ই মে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছিল। ফাটকাবাজরা ওইদিন কোটি টাকার ক্ষতি করেছিল। প্রথমে যে ফাটকা বাজার চলছিল সেটা কংগ্রেসের ১৫০টি আসন নিয়ে এবং বিজেপির-র ১১৮ এবং ১২০ আসন নিয়ে। যদিও ওই ১৭ই মে বিশ্বাসযোগ্যতার শুরু হয়েছিল।”

ফের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই আসবে সরকার

এর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রেস কনফারেন্সে ভাষণ দেন। তিনি বলেন,  ‘বিশ্বের সামনে গণতন্ত্রের শক্তি তুলে ধরা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের এই বৈচিত্র্য পূর্ণ গণতন্ত্র দিয়ে বিশ্বকে প্রভাবিত করতে হবে। নির্বাচন ইতিবাচক, সুন্দর ছিল। পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার পাঁচ বছরে ফের জয়লাভ করে আসবে, সম্ভবত দেশে, এটি কয়েক দশক পরে ঘটতে চলেছে। এনডিএ সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত জনতা নিজেরাই নিয়েছে।’

বাংলায় কেন এত হিংসা

অমিত শাহ প্রশ্ন তোলেন- বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে কেন এত হিংসা হচ্ছে? সেখানে আমাদের ৮০জন কার্যকর্তা খুন হয়েছে। অন্য কোথাও তো এত হিংসা নেই। গত নির্বাচনে আমাদের ৯ কোটি কার্যকর্তা ছিল, এবার তা বেড়ে হয়েছে ১১ কোটি টাকা।তিনি দাবি করেন- ‘বিজেপি একাই ৩০০-র বেশি আসনে জিতবে। দেশের প্রধানমন্ত্রী ফের মোদি হবেন এবং এনডিএ সরকার গঠন হবে।’

মিথ্যা জঙ্গি মামলার অভিযোগ থেকে প্রজ্ঞাকে মুক্ত করতেই আমাদের সত্যাগ্রহ-শাহ

বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেন-“প্রজ্ঞা ঠাকুরকে মিথ্যা জঙ্গির অভিযোগের থেকে মুক্ত করতেই আমদের সত্যাগ্রহ ছিল। কংগ্রেসের কাছে আমাদের প্রশ্ন-সমঝো্তা এক্সপ্রেসে প্রথমেই কিছু লোককে আটক করা হয়েছিল। যারা লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত ছিল। বিদেশি সংস্থাও বলেছিল যে আটক হওয়া লোকদের সঙ্গে এলইটি-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। কিছু কিছু লোককে ৫ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এসব সেইসময় কংগ্রেস সরকারই করেছিল। এ যে ঘটনা ঘটেছিল এজন্য কংগ্রেস সভাপতির দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।”

‘স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় নির্বাচন’

অমিত শাহ বলেন-‘আজ এক দীর্ঘ, পরিশ্রমী, সফল এবং বজয়ী নির্বাচনী অভিযানের পর সাংবাদিক সম্মেলন করছি। স্বাধীনতার পর দেশে যতগুলি নির্বাচন হয়েছেতার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় নির্বাচনী অভিযান। জনতা আমাদের এগিয়ে রেখেছে। মোদি সরকারকে ফের নিয়ে আসার জন্য জনতা পরিশ্রম করেছে।’ এরই মধ্যে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও সাংবাদিক সম্মেলন করে। সেইসময় তিনি প্রশ্ন করেন- ‘আমি আপনাদের লাইভ প্রশ্ন করতে চাই, রাফেল নিয়ে প্রশ্নের উত্তর কেন দিচ্ছেন না?’

অমিত শাহ বলেন-‘আমাদের সরকার ৫ বছর পূর্ণ করে এসেছে নরেন্দ্র মোদির শাসন জনতা স্বীকার করেছে। আমি বিশ্বাসের সঙ্গে বলতে চাই যে গত নির্বাচনের থেকে অনেক বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকার ফের গঠন হতে চলেছে।

 Published on: মে ১৭, ২০১৯ @ ২৩:১১

 

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

54 + = 55