- এয়ারবাস এ-321 বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করে দিল্লি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমান চালিয়েছিল। বিমানটিতে 180 জন যাত্রী এবং ক্রু ছিলেন।
- পুনেতে 222 কিলোমিটারেরও বেশি গতিবেগে রানওয়েতে হরতাল চালিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানের পাইলটরা তাদের একটি জিপ ও একজনকে লক্ষ্য করে অকাল এবং জরুরি অবস্থা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করে।
- এয়ার ইন্ডিয়াকে তার বিশ্লেষণের জন্য ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর) অপসারণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Published on: ফেব্রু ১৮, ২০২০ @ ২৩:৩৬
এসপিটি নিউজ ডেস্ক: আজ সকালে পুনেতে 222 কিলোমিটারেরও বেশি গতিবেগে রানওয়েতে হরতাল চালিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানের পাইলটরা তাদের একটি জিপ ও একজনকে লক্ষ্য করে অকাল এবং জরুরি অবস্থা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করে। যদিও একটি বড় বিপর্যয় এড়ানো গিয়েছিল, এর ফলে লেজ রানওয়ের পৃষ্ঠকে আঘাত করেছিল এবং ফিউজলেজকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছিল।
দিল্লি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমান চালিয়েছিল
এয়ারবাস এ-321 বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করে দিল্লি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমান চালিয়েছিল। বিমানটিতে 180 জন যাত্রী এবং ক্রু ছিলেন। ঘটনাটি এখন বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী, সিভিল এভিয়েশন ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজিসিএ) দ্বারা তদন্ত করা হচ্ছে এবং তদন্ত শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত উভয় পাইলটকে ডি-রোস্টার করা হয়েছে।
পাইলটরা সচেতন ছিলেন কি না তা বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে
পাইলটরা কেন জরুরি অবতরণ করতে পুনে ফেরার পরিবর্তে দিল্লিতে ফ্লাইট নিয়ে যেতে বেছে নিয়েছিলেন তা এই পর্যায়ে অস্পষ্ট। রানওয়ে দিয়ে বিমানের রিয়ার ফিউজলেজ কী পরিমাণ প্রভাব ফেলেছিল তা পাইলটরা সচেতন ছিলেন কি না তা বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই বিমানটিতে একটি ‘টেল-স্ট্রাইক’ সেন্সর বসানো হয়েছিল কিনা তা বর্তমানেও স্পষ্ট নয় যে বিমানটি যখন জরুরি অবস্থা অবলম্বন করেছিল তখন রানওয়ে দিয়ে পাইলটদের প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করে দেয়।
চিত্রগুলি বিমানের ফিউজলেজের ক্ষতির পরিমাণ দেখায় যা এখন পরিষেবা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃক নিয়ন্ত্রকের কাছে জমা দেওয়া একটি নথি বলেছে, “ফিউজলেজ ত্বক এবং [বায়ু] ফ্রেমে ক্ষতি লক্ষ্য করা গেছে।”
ডিজিসিএ ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের রেকর্ডিং সংরক্ষণ করতে বলেছে
পুনে বিমানবন্দরটিও দেশের অন্যান্য বিমানবন্দরগুলির মতো একটি ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিমানক্ষেত্র, যেখানে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত ক্রিয়াকলাপ চালায়। ডিজিসিএ ভারতীয় বিমানবাহিনীকে এয়ার ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের রেকর্ডিং সংরক্ষণ করতে বলেছে। এদিকে, এয়ার ইন্ডিয়াকে তার বিশ্লেষণের জন্য ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর) অপসারণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, বিমানটি দিল্লিতে নামার পরে ডিজিসিএর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বিমান বাহিনীও এয়ার ইন্ডিয়া পাইলটদের দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেছে যে কোনও সার্ভিস গাড়ি রানওয়ের কাছেই ছিল বিমান চালকদের বিমানের প্রথম দিকে যাত্রা শুরু করার জন্য।
এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট টেকঅফ রোলে ছিল
“ভোরের সময় পুনে এয়ারফিল্ডে রানওয়েতে একটি পরিষেবাবাহী রুটিন কাজের জন্য সাফ করা হয়েছিল, এটি এমন সময় রানওয়ের কাছাকাছি পৌঁছেছিল যখন এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট টেকঅফ রোলে ছিল। রানওয়েয়ের কাছে গাড়ির উপস্থিতির কারণে বিমানের ক্রুদের পরিকল্পনার চেয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটকে আগে ঘুরতে হয়েছিল। এয়ার ইন্ডিয়া বিমানটি দিল্লিতে নিরাপদে অবতরণ করেছে। আইএএফ তদন্তাধীন এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছে, “বিমান বাহিনী জানিয়েছে।”
এই ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত সম্পর্কে সচেতন একজন ডিজিসিএ কর্মকর্তা বলেছেন, “তদন্তের জন্য বিমানটি পরিষেবা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রানওয়েতে কোনও চিহ্ন সনাক্ত করার জন্য এয়ার ইন্ডিয়াকে পুনে এটিসি (বিমান ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ) এর সাথে সমন্বয় করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। । ”
এয়ার ইন্ডিয়ার একজন মুখপাত্র যা বলেছেন
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে এয়ার ইন্ডিয়ার একজন মুখপাত্র বলেছেন, “এ321 বিমান যেটি এআই 825 (দিল্লি থেকে শ্রীনগরে) চালানোর জন্য নির্ধারিত ছিল, তা সাম্রাজ্যের ক্ষেত্রের দিকে নির্দিষ্ট চিহ্ন রয়েছে। এই বিমানটি এআই 852-এ পুনে থেকে এসেছিল। বিমানটিকে বিশদ তদন্তের জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছে। সিভিআর এবং এসএসএফডিআর (কঠিন রাষ্ট্রের ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার) পাঠানো হবে এবং অনুসন্ধানগুলি যথাযথভাবে ভাগ করা হবে। ”
পুনে বিমানবন্দর রানওয়েতে চিহ্নিত চিহ্নগুলি, যদি থাকে তবে, তা অনুসন্ধানের জন্য তদন্তকালে এয়ার ইন্ডিয়াকে পুনে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) এর সাথে সমন্বয় করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Published on: ফেব্রু ১৮, ২০২০ @ ২৩:৩৬
