Published on: ডিসে ১৫, ২০১৮ @ ২৩:২৮
এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ হাতিরাও যে এমন সুন্দর ভাবে দাঁড়িয়ে সঙ্গীতের সুর শোনে তা থাইল্যান্ডের এই অভয়ারন্যে না এলে বোঝা যাবে না। সত্যি, এ এক বিচিত্র দৃশ্য। ব্রিটিশ স্বেচ্ছাসেবক পল বার্টন গত ১০ বছর ধরে থাইল্যান্ড-মায়নামার সীমান্তের পশ্চিম থাই প্রদেশের কাঞ্চনাবুরি অভয়ারন্যে পিয়ানো বাজিয়ে বৃদ্ধ হাতিদের শান্ত রেখেছেন। এই সমস্ত হাতি পল বার্টন ও তাঁর চার বছরের ছোট্ট মেয়ে এমিলি বার্টন পিয়ানোয় সঙ্গীতের সুর বেঁধে হাতিগুলিকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করে চলেছেন। এ এক অসাধারন দৃশ্য।
৬৫ বছরের ল্যাম ডুয়ান এমনই এক বৃদ্ধ অন্ধ হাতি। যে প্রতিদিন মধ্যাহ্নভোজের সময় পিয়ানো শোনে আর নিঝুম রাতে পিয়ানোর মধুর শব্দে শান্ত থাকে।গত ১০ বছর ধরে ল্যাম ডুয়ানের মতো হাতিদের যারা অসুস্থ, বৃদ্ধ, নির্যাতিত, অসমর্থ তাদের থাইল্যান্ডের এই অভয়ারন্যে সঙ্গীতের ধ্বনির সঙ্গে পুনর্বাসিত করা হয়েছে।
থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ভারত, লাওস, নেপাল ও শ্রীলংকার পর্যটক স্থানগুলিতে প্রায় ৩ হাজার হাতির প্রায় ৮০ শতাংশ হাতি খাদ্যাভাব অতিরিক্ত কাজের মধ্যে খুব খারাপ অবস্থায় থাকে- এমনটাই জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড অ্যানিমাল প্রোটেকশন-এর পশু কল্যান বিভাগ।
বিশ্বে হাতিরা শারীরিক অসুস্থতার জন্য ভাল খাদ্য এবং চিকিৎসা পায় কিন্তু সঙ্গীত তাদের জন্য একটি অতিরিক্ত মাধ্যম, যার মাধ্যমে তাদের ভালবেসে শান্ত ও সুস্থ রাখা যায়।সপ্তাহে বেশ কয়েকবার, ৫৭ বছর বয়সী ব্রিটিশ শাস্ত্রীয় পিয়ানোবাদী পল বার্টন, অরন্যের পিছনদিকে পিয়ানো স্থাপন করেন এবং তার চতুষ্পদ বন্ধুদের জন্য পিয়ানো বাজাতে থাকেন। যা শোনার জন্য ল্যাম ডুয়ানরা চলে আসে।
লন্ডনের রয়্যাল অ্যাকাডেমি অব আর্টস-এ অধ্যয়নরত বার্টন বলেন, “হয়তো এই অন্ধ হাতিরা মাঝে মাঝে আরামদায়ক শাস্ত্রীয় সংগীতের কিছু অংশ শুনে সান্ত্বনা পায়।” তিনি যখন পিয়ানোয় সঙ্গীতের প্রতি মন দেন তখন সেখানে এসে হাজির হয় বৃদ্ধ ল্যাম ডুয়ান। সে সেখানে এস দাঁড়িয়ে যায়। এরপর সঙ্গীত শুনতে শুনতে শান্ত হয়ে যায়। তার মন তখন পিয়ানোয় মজে যায়। সে এক ভারী মজার দৃশ্য।
অন্য সঙ্গীত অধিবেশনে এও দেখা গেছে, পিয়ানোয় গান হওয়ার সময় হাতিগুলি সেই সুরের তালে তালে মাথা নাড়াতে থাকে এমনকী মাথা নাড়াতে নাড়াতে পিয়ানোর সামনে চলে আসে। বার্টনের তখন মনে হয় এই নির্জন অরন্যে এর চেয়ে ভাল শ্রোতা আর বোধ হয় পাওয়া যাবে না।
অভয়ারণ্যের মালিক, ৪৪ বছরের সামার প্রসিতপল বলেন, সঙ্গীত এই সমস্ত হাতিদের মনে শান্তি যোগায়। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন-“আমরা শারীরিকভাবে হাতি পুনর্বাসনের জন্য এখানে কাজ করে চলেছি।সঙ্গীতের ব্যবহার তাদের আত্মার পুনর্বাসনে আজ দরকারি হয়েছে।”
Published on: ডিসে ১৫, ২০১৮ @ ২৩:২৮