পাক সেনা, ISI -এর সব রকমের চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে বীর অভিনন্দনের উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের কাছে

দেশ বিদেশ
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-অনিরুদ্ধ পাল

Published on: মার্চ ২, ২০১৯ @ ১৮:৫১

এসপিটি স্পেশাল নিউজঃ  আজ সবাই আমরা আমাদের দেশের পরম দেশ ভক্ত বীর যোদ্ধা ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন ভর্তমানের জন্য গর্বিত। কিন্তু একটা কথা আমরা অনেকেই জানি না পাকিস্তানে কি ভয়ানক পরিস্থিতির মুখোমুখি তাঁকে পড়তে হয়েছিল। তা যে কতটা ভয়ঙ্কর ছিল সেটা শুধু অভিনন্দন ভর্তমানই জানেন। দেশটির নাম পাকিস্তান। তাদের হাতে বন্দি হলে ছাড়া পাওয়া অত সহজ নয়। এক্ষেত্রেও তেমনটা হত যদি না পাকিস্তান কতগুলি ছোট ভুল করত আর আমাদের বীর যোদ্ধা অভিনন্দন নিজের জায়গায় অবিচল থাকত।সঠিক সময়ে উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহস দেখিয়েছেন। পাকিস্তানি সেনা ও তাদের আইএসআই আধিকারিকরা সব রকমভাবেই অভিনন্দনের কাছ থেকে অনেক গোপন তথ্য জানার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু অভিনন্দন মাথা ঝোকাননি।হার মেনেছেন তারা। ভাবতে পারছেন- বাঘের গুহায় ঢুকে সেই বাঘ মেরে আসার মতো কাজের চেয়ে কোনও অংশে কম নয় অভিনন্দনের ভূমিকা।

আজ দিল্লিতে সেনার হসাপাতালে চলছে অভিনন্দনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা। দুপুরে তিনি আজ ইডলি সহ হালকা খাবার দিয়ে আহার সেরেছেন। এরপর সেখানে তাঁকে ভাল করে খতিয়ে দেখছেন সেনা হাসপাতালের ডাক্তাররা। সবচেয়ে আগে যেটা তারা করছেন তা হল পাকিস্তানে আমাদের অভিনন্দনকে কোনওভাবে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালানো হয়েছে কিনা। সেটা জানা খুব জরুরী।মনে রাখতে হবে পাকিস্তান এমন একটা দেশ যে দেশকে আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ মনে করে ওদের মতো “বেইমান” পৃথিবীতে আর একটাও আছে কিনা সন্দেহ।তাই তাদের শান্তির কথা বলা যা একেবারে নাটক আর অভিনন্দনকে ছাড়ার পিছনে যে তাদের কোনও ভুমিকাই নেই সেটাও এখন সারা বিশ্ব বুঝে গেছে। কতগুলি প্যাচে এবং জটে আটকে গিয়ে বাধ্য হয়েছে এই ভারতীয় যোদ্ধাকে ছেড়ে দিতে। কারণ, এ ছাড়া পাকিস্তানের হাতে আর কোনও রাস্তা খোলা ছিল না। এসব বুঝে তারা এখন শান্তির নাটকবাজি করে চলেছে।

অভিনন্দনকে ছাড়া এবং তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া নিয়েও কতটা ‘শয়তানি’ করেছে তারা এটাও ভারত বুঝে নিয়েছে। তাই আগে থেকেই বিটিং রিট্রিট না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। অভিনন্দনকে ছেড়ে দেওয়া যে তাদের কাছে একটা বড় পরাজয় সেটা পাকিস্তান এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। সেখানে আমাদের বীর যোদ্ধা অভিনন্দন যেভাবে নিজের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় শত্রুদের ডেরায় দাঁড়িয়ে রেখে এসেছেন তা নিয়ে পাকিস্তান আগামী কয়েক বছর ধরে এই আলোচনাই চালাতে থাকবে যে ভারতীয়দের বুদ্ধি আর সাহস আমাদের হারিয়ে দিয়ে গেল।

এখন যেটা বিশেষভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে পাকিস্তান আমাদের বীর অভিনন্দনের শরীরের ভিতর এমন কোনও চিপ ঢুকিয়ে দেয়নি তো, যা তাদের সাহায্য করতে পারে। আর সেটাই ভাল করে পরীক্ষা করে দেখছেন সেনা হাসপাতালের ডাক্তাররা। এই বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হলে তাঁর শারীরিক ও মানিসিক চিকিৎসা করা হবে। তা করে পুরোপুরি সুস্থ অর্থাৎ ফিট করে তোলা হবে।

এরপরই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হবে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হবে পাকিস্তানের বন্দি হয়ে সেদেশের সেনা, আইএসআই অফিসাররা কি কি প্রশ্ন করেছিল। তারা তাঁর সাথে কি ধরনের ব্যবহার করেছে। কোথায় কি রকম পরিবেশে তাঁকে রাখা হয়েছিল। এরকম নানা ধরনের প্রশ্নের জবাব জানতে চাওয়া হবে। যেখানে ভারতের সমস্ত গোয়েন্দা সন্সথা, আইবি, মেলিটারি ইন্টেলিজেন্স, বায়ুসেনা এবং বিদেশ মন্ত্রনালয়-এর আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন।

তবে অভিনন্দন যেভাবে গোটা পাকিস্তানকে ঘোল খিয়ে দিয়ে আসতে পেরেছেন সেটাই এখন মেনে নিচ্ছেন আমাদের দেশের কূটনীতিকরা। যে কঠিন পরিস্থির মধ্যে দাঁড়িয়ে হাতে চায়ের কাপ নিয়ে তাতে চুমুক দিতে দিতে পাক সেনা অফিসারদের প্রশ্নগুলিকে পাক্কা খেলোয়াড়ের মতো সামলে গেছেন তাতে অভিনন্দনের তারফ না করে উপায় নেই। সেটা মুখে স্বীকার না করলেও পাকিস্তান বেশ বুঝতে পারছে। আর এখানেই  অভিনন্দন নিজের বুদ্ধি আর সাহসে ভর করে পাকিস্তানেও ভারতের জাতীয় পতাকাকে তুলে ধরতে পেরেছেন-এটা আমাদের সমস্ত দেশবাসীর কাছে তো বটেই দেশের সব খেলোয়াড়দের কাছেও এক মস্ত বড় প্রেরণা। তাই সব শেষে আবারও বলতে হয়- অভিনন্দন, তোমায় স্যালুট।

Published on: মার্চ ২, ২০১৯ @ ১৮:৫১


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 80 = 87