পাঁচবারের জয়ী মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ হচ্ছেন পূর্ণমন্ত্রী, দিদির আস্থাকেই দেবেন মর্যাদা

Main রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: মে ১০, ২০২১ @ ০০:৩২

Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, মধ্যমগ্রাম, ১০ মেঃ সেই ২০০১ সাল। রাজ্যে তখন বাম ফ্রন্ট সরকার। তার মধ্যেও নিজের হাতে সংগঠন গড়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই করে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন বিধায়কের পদ। সেই শুরু একে একে পার করে এসেছেন ২০টা বছর। রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার গঠন হলেও মন্ত্রী করা হয়নি রথীন ঘোষকে। অবশেষে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর দেওয়া হল তাঁকে পূর্ণমন্ত্রীর সম্মান। আজ শপথ।

এক সময় এই মধ্যমগ্রাম ছিল বারাসত বিধানসভার অন্তর্গত। পরে মধ্যমগ্রাম আলাদা বিধানসভা হয়। তারও আগে মধ্যগ্রাম ছিল পঞ্চায়েত এলাকা। সেখান থেকে ১৯৯৪ সালে হয় পুরসভা। প্রথমে বামেদের দখলে থাকলেও রথীন ঘোষের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস পরবর্তীতে পুরসভা দখল করে। বাম আমলে সেরা পুরপ্রধানের সম্মানও আদায় করে এনেছিল রথীন ঘোষ। আশপাশের বাম পুরপ্রধানরাও একসময় রথীন ঘোষের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে আসতেন। পাশে বারাসত, নব বারাকপুর, পানিহাটি, উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম, রাজারহাট-গোপালপুর আরও কত পুরসভা। তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকেই রথীন ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসাবে মধ্যমাগ্রামের মানুষের পাশে থেকে কাজ করে গিয়েছেন। কখনও হাল ছাড়েননি। বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেননি দিদির উপর থেকে। অবশেষে সেই কাজের পুরস্কার পেলেন পূর্ণমন্ত্রীর তালিকায় স্থান পেয়ে।

অতীতে এর আগে মধ্যগ্রামের বাসিন্দা ফরওয়ার্ড ব্লকের সরল দেব ছিলেন বাম মন্ত্রিসভার সদস্য। কিন্তু তখন মধ্যমগ্রাম ছিল বারাসত বিধানসভার অন্তর্গত। সেই দিক থেকে দেখলে রথীন ঘোষই হলেন মধ্যমগ্রাম বিধানসভা থেকে জয়ী বিধায়ক হিসাবে প্রথম মন্ত্রী।তিনি সেই ২০০১ সাল থেকে জিতে আসছেন। মধ্যগ্রামের রূপকারও বলা হয়ে থাকে রথীন ঘোষকে। সারা রাজ্যের মধ্যে একটা মডেল পুরসভা হিসাবে তুলে ধরতে সফল হয়েছেন রথীন ঘোষ।

সংবাদ প্রভাকর টাইমসকে রথীন ঘোষ জানালেন- দিদির আস্থাকেই তিনি মর্যাদা দেবেন।পাশাপাশি মধ্যমগ্রামে একটা পলিটেকনিক কলেজ গড়ে তোলার তাঁর ইচ্ছা আছে। মধ্যমগ্রামে পাঁচ বেডের হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর দিকটাও দেখবেন। সেই সঙ্গে পানীয় জলের বিষয়টিও তিনি মাথায় রাখছেন। সব মিলিয়ে উন্নত মধ্যমগ্রামকে উন্নততর করে তোলার দিকে তাঁর নজর থাকবে। কারণ, মধ্যমগ্রামের মানুষই তাঁর মূল শক্তি। তাঁরা যেভাবে আস্থা রেখেছেন তার তো মর্যাদা দিতেই হবে- বলেন রথীন ঘোষ।

Published on: মে ১০, ২০২১ @ ০০:৩২


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 + 1 =