পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না, ঝাড়গ্রামে কটাক্ষ সেচমন্ত্রী রাজীবের

রাজ্য
শেয়ার করুন

পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না, ঝাড়গ্রামে কটাক্ষ সেচমন্ত্রী রাজীবের

 

সংবাদদাতা- বাপ্পা মণ্ডল

এসপিটি, ঝাড়গ্রামঃ সারা দেশে বিজেপি-র বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সরব হতে দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে একাই বিজেপির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে তাদের বিরুদ্ধে সারা দেশের মানুষ্কে ঐক্যবদ্ধ করে চলেছেন তা কিন্তু রাজনৈতিক মহলে এক আলোচনের বিষয় হইয়ে উঠেছে। নেত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে তৃণ্মূলের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক-সাংসদদেরও দেখা যাচ্ছে প্রতিটি সভায় বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হতে। আর পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসতে শুরু করেছে ততই যেন বেশি করে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। আজ যেমন দেখা গেল ঝাড়গ্রাম ব্লকের ৮ নম্বর চুবকা গ্রাম পঞ্চায়েতের চুবকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের এক সভায়।যেখানে হাজির ছিলেন রাজ্যের সেচ ও জলপথমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন ঝাড়গ্রামে এসেছিলেন বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন আর শিলান্যাস করতে।তেমনই এক সভায় দাঁড়িয়ে বিজেপির কড়া সমালোচনা করেন তিনি। কটাক্ষ করে বলেন-পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি-কে এ রাজ্যে দূরবীন দিয়েও খূঁজে পাওয়া যাবে না।

শুক্রবার ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন জায়গায় বন্যা প্রতিরোধ এবং সেচ ব্যবস্থার উন্নতি কল্পে সেচ ও জলপথ বিভাগ দ্বারা রূপায়িত কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস হয়। ঝাড়গ্রাম ব্লকের ৮ নম্বর চুবকা গ্রাম পঞ্চায়েতের চুবকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে।অনুষ্ঠানে রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণমন্ত্রী চূড়ামণি মাহাত, বিধায়ক দীনেন রায়, ডা.সুকুমার হাঁসদা, দুলাল মুর্মু সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন। ৩৪ বছর বামেরা ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও ক্যানেলের মাধ্যমে চাষীদের কাছে চাষের জন্য জল পৌঁছে দিতে পারেনি। ২ লক্ষ ৩ হাজার কোটি টাকা দেনা করে নাগরিকদের জন্য বামেরা কিছুই করেনি। দেনার টাকা নেতাদের পকেটে ঢুকেছে।যদি বামেরা উন্নয়ন করত তাহলে আমাদের ছূটে আসতে হত না। স্বাধীনতার পর কোন মুখ্যমন্ত্রী এতো কম সময় রাজ্যের উন্নয়নে কাজ করেননি। যা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ধৈর্য্য ধরুন, আস্থা রাখুন, উন্নয়নের গতি সব জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে। জঙ্গলমহলকে উন্নয়নে ১ নম্বরে নিয়ে আসতে হবে। ধীরে ধীরে সমস্ত প্রকল্পের কাজ হবে।

এরপর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে নেমে সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, যারা বলেছিলেন তৃণমূলকে হ্যারিকেন দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে খুঁজতে হবে, তারা তার আগে দেখুক তাদের হ্যারিকেনে তেল আছে কিনা!যারা বলছেন তারা মানুষের জীবনের উন্নয়নের কথা বলছেন না, জাতপাত, ধর্ম নিয়ে রাজনীতির কথা বলছেন।তাদের তৃণমূলকে নিয়ে ভাবতে হবে না। যারা বলছে সেই বিজেপিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে কটাক্ষ করেন তিনি। সবশেষে তাঁর সংযোজন-নরেন্দ্র মোদী আচ্ছে দিনের কথা বলেন, আসলে মানুষের আচ্ছে দিন আসেনি, আচ্ছে দিন এসেছে বিজেপি নেতাদের।

ছবিঃ রামপ্রসাদ সাউ      


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 + 2 =