নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রশংসায় মন্ত্রী থেকে রাজ্যপাল সকলেই

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

Published on: জানু ২৮, ২০১৮ @ ২৩:০৬

এসপিটি নিউজ, নরেন্দ্রপুর, ২৮ জানুয়ারিঃ দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন সবসময় এক উল্ল্যেখযোগ্য নাম। সেই প্রতিষ্ঠানের ‘ত্রয়ী উৎসব’ পালনে হাজির হয়ে মন্ত্রী থেকে রাজ্যপাল সকলেই প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন।উপস্থিত এক আমলা তো আবার তাদের কাছে প্রশাসনিক স্তরে পরীক্ষায় বসার জন্য প্রতিষ্ঠান খলার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার আর্জি জানালেন। সব মিলিয়ে রবিবার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান এক পরিপূর্ণতা লাভ করে।

হাজারো আবাসিক বিদ্যালয়ের মধ্যে নরেন্দ্র রামকৃষ্ণ মিশন দেশের গর্ব। রবিবার নরেন্দ্রপুর মিশনে ‘ত্রয়ী উৎসব’-এ এসে একথা বললেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। নরেন্দ্রপুর মিশন আশ্রমের প্ল্যাটিনাম জুবিলি, বিদ্যালয়ের হীরক জয়ন্তী এবং বিদ্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনিক্যাল সেন্টারের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব পালন হিসেবে নরেন্দ্রপুর মিশনে ‘ত্রয়ী উৎসব’-এর আয়োজন করা হয়েছে।২৬ জানুয়ারি থেকে উৎসব শুরু হয়েছে। আগামিকাল শেষ হবে।

রবিবার নরেন্দ্রপুর মিশন বিদ্যালয়ের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে কৃতী ছাত্রদের পুরস্কার বিতরন করা হয়েছে। রাজ্যপাল ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র শোভন চ্যাটার্জী, রাজ্যের অতিরিক্ত সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বামী সুবিরানন্দ মহারাজ, স্বামী সর্বালোকানন্দজী মহারাজ, রাজপুর-সোনারপুরের পুরপ্রধান পল্লব দাস, উপ-পুরপ্রধান শান্তা সরকার।

রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী আরও বলেন, স্বামী বিবেকানন্দের নির্দেশিত পথে মিশনে শিক্ষা দেওয়া হয়। শুধু প্রথাগত শিক্ষাই নয়, এখানকার ছাত্ররা মানুষ গড়ার শিক্ষাও পায়। তাই এখানে শিক্ষিত ছাত্ররা সমাজের ভিত শক্ত করে। মন্ত্রী শোভন চটার্জী বলেন, মিশন একটা গর্বের জায়গা। এই মিশনের কোনও অসুবিধা হলে তা দূর করতে সব সময়ই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে আমরা প্রস্তুত।

এদিন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার পক্ষ থেকে পুরসভার অন্তর্গত মিশনের প্রায় ১১৫ একর জায়গার মিউটেশন ও হোল্ডিং নম্বর দিয়ে ঐ জায়গার অ্যাসেসমেন্ট সার্টিফিকেট মিশন কতৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মিশনের এই জায়গাকে কর মুক্ত হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

রাজ্যপাল, মেয়র ও পুরপ্রধান ও উপ-পুরপ্রধান মিলে এদিনের মঞ্চে সেই গুরুত্বপূর্ণ কাগজ মিশনের মহারাজের হাতে তুলে দেন। মিশনের প্রাক্তনী ও রাজ্যের অতিরিক্ত সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যে মিশন কতৃপক্ষের কাছে প্রশাসনিক স্তরে পরীক্ষায় বসার জন্য প্রতিষ্ঠান খোলার বিবেচনা করার কথা বলেন। মহারাজরা বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে জানান।

Published on: জানু ২৮, ২০১৮ @ ২৩:০৬


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 21 = 27