নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খুন, তদন্তে কিনারা করতে এই প্রশ্নগুলির জবাব খুঁজছে তদন্তকারীরা

Main রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ফেব্রু ৯, ২০১৯ @ ২৩:৪২

এসপিটি নিউজ, কৃষ্ণগঞ্জ, ৯ ফেব্রুয়ারিঃ সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনে এসে ভর সন্ধ্যায় আততায়ীর গুলিতে খুন হয়ে গেলেন নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস।পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে গুলি করে পালায় আততায়ীরা।এই ঘটনার পর তৃণমূল অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।

তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, “বিজেপি অনেক দিন ধরেই এই সুযোগ খুঁজছিল। তারা সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। এর ফলে সত্যজিতের মতো একজন দক্ষ নেতাকে খুন করে বিজেপি নিজেদের রাস্তা অনেক সহজ হয়ে গেল। আসলে বিজেপি খুনের রাজনীতি করে, বিভেদের রাজনীতি করে। এটা তারই ফল। মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে।”

নদিয়ার দায়িত্বে থাকা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মন্ডল অভিযোগ করেন, “এই খুনের পিছনে বিজেপির হাত আছে। সামনে লোকসভা ভোট। বিজেপি হিসেব কষেই এই কাজ ঘটিয়েছে।” আগামিকাল বেলা দশটা নাগাদ অনুব্রত মন্ডল ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।

বিজেপি প্রদেশ সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই খুনের ঘটনায় তৃণমূএর তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে জানান,”ঐ এলাকায় মাটি মাফিয়াদের দাপাদাপি আছে। যার সঙ্গে তৃণমূলের যোগ আছে। এই ঘটনা তারই জেরে হয়েছে। এখানে বিজেপির কোনও যোগ নেই। যতদূর জানি এলাকায় সত্যজিতবাবু খুবই প্রভাবশালী নেতা।একজন বিধায়কের খুনের ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমরাও চাই তদন্ত হোক। দোষী প্রকাশ্যে আসুক। প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত হোক। ওই এলাকার সমস্ত তৃণমূল নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।যেদিন থেকে অনুব্রত মন্ডল নদিয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন সেদিন থেকেই নদিয়ায় এমনটা শুরু হয়েছে। বীরভূমেও তৃণমূলের কেউ খুন হলে বিজেপিকে দোষারোপ করা হত।কিন্তু বাড়ির লোকই পরে বলেছে খুন করেছে দলের লোকেরাই।”ইতিমধ্যে এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ দুইজনকে আটক করেছেন।

কিন্তু এই খুনের ঘটনার পর উঠেছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন।

  • প্রশ্ন ১-ঘটনার সময় লোকজনের সংখ্যা কম ছিল, তাহলে আততায়ীকে কেন চিহ্নিত করা সম্ভব হল না?
  • প্রশ্ন ২- অনুষ্ঠানে আরও দুইজন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হাজির ছিলেন। তারা চলে যাওয়ার পরই বিধায়ককে গুলি করা হল। তবে কি আততায়ীরা শুধু এই বিধায়ককেই গুলি করার জন্য অপেক্ষা করছিল?
  • প্রশ্ন ৩-একজন বিধায়ককে এভাবে হত্যা করা হল, অথচ সেখানে কোনও নিরাপত্তা রক্ষী ছিলেন না? এটা কেন হল?
  • প্রশ্ন ৪-অতটুকু জায়গায় একজন জনপ্রতিনিধিকে গুলি করে আততায়ী আবার আগ্নেয়াস্ত্রটি মাঠের মধ্যেই ফেলে রেখে চলে গেল। সেটাও কেউ লক্ষ্য করল না। এটাও কি বিশ্বাসযোগ্য?
  • প্রশ্ন ৫-জানা গেছে, বিধায়ককে পিছন দিক থেকে গুলি করা হয়েছে। তাহলে যে ক্লাবের অনুষ্ঠান ছিল তাদের একজন সদস্যও কি বিধায়কের পিছনে ছিল না? তাদের একজনও কি আততায়ীকে দেখতে পেল না? এটাও কি কখনও বিশ্বাস করা যায়?

এই প্রশ্নগুলির উত্তর মিললেই বেরিয়ে আসতে পারে তদন্তের কিনারা। পুলিশ ও সিআইডি সমান্তরালভাবে সেই প্রক্রিয়াই জারি রেখেছে।

Published on: ফেব্রু ৯, ২০১৯ @ ২৩:৪২

 

 

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 + 6 =