দুজনেই পুলিশ কর্মী,আগুনে পুড়ে মৃত্যু স্ত্রীর ,স্বামী গ্রেফতার

রাজ্য
শেয়ার করুন

 

দুর্গাপুর,৩ ডিসেম্বর :- দুজনেই পুলিশ কর্মী।আর পুলিশে চাকরি করতে করতেই দু’জনের মন দেওয়া-নেওয়া।তারপরেই দু’জনে ঘর বাঁধার সিদ্ধান্ত নেয় আজ থেকে প্রায় ৭ বছর আগে।সঞ্জীব দত্ত ও কনিকা দত্ত দুজনেই দুর্গাপুর থানায় পুলিশ লাইনের কনস্টেবল পদে আসীন ছিলেন।হটাত কনিকার অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হওয়ার জেরে শনিবার রাতে কনিকার বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্গাপুর থানার পুলিশ সঞ্জীবকে গ্রেফতার করে।দুর্গাপুর থানার পুলিস লাইনে অস্ত্র বিভাগের এএসআই পদে কর্মরত পুলিশ কর্মী সঞ্জীব দত্ত কে বধূহত্যর অভিযোগে রবিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক সঞ্জীব দত্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,২০ নভেম্বর পুলিস কর্মী সঞ্জীব দত্তের স্ত্রী কনিকা মন্ডল বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয়।তাকে বাঁচাতে গিয়ে হাত পুড়ে যায় সঞ্জীব বাবুর।তাঁর পর কনিকাদেবীকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হয়।প্রায় ১২ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জার পরে গত শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়।অন্যদিকে স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ সঞ্জীব দত্ত দুর্গাপুর হাসপাতাল থেকে শুক্রবার ছুটি বনিয়ে বাড়ি ফেরেন।কনিকা দত্ত (৩২ বছর)এর বাপের বাড়ি দুর্গাপুর থানা এলাকার পারুলিয়া তে।তার বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে সঞ্জীব বাবুকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় শনিবার রাতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,সঞ্জীব বাবুর স্ত্রী কনিকা মন্ডল (দত্ত)।তিনিও দুর্গাপুর পুলিশ লাইনে কনস্টবল পদে কর্মরত ছিলেন।তাঁর সাথে মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদীঘীর বাসিন্দা সঞ্জীবের বিয়ের পর থেকে দুজনের দুজনের প্রতি খুব প্রেম ছিল বলেও জানান সঞ্জীববাবুর মা।তিনি বড় ছেলে র কাছে মুর্শিদাবাদ এই থাকেন।ছোট ছেলে ও বৌমা অগ্নিদগ্ধ শুনে এখন সঞ্জীবের এস.এন.ব্যানার্জী র বাড়িতে একা।দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের বিচারক সঞ্জীব দত্তের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।কিন্তু স্বাবলম্বী কনিকা দেবী কে্ন আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন।সুত্রের খবর সঞ্জীববাবু বর্তমানে অন্য কোনো মহিলার সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন এমন কারণেই এই ঘটনা।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 + 4 =