দিলীপকে আক্রমণ করে রাজ্যের মন্ত্রী বললেন- ‘বাংলায় ৪২এ ৪২ হচ্ছে দেখে ওনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে, জন্ডিস হয়ে গেছে’

রাজ্য লোকসভা ভোট 2019
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা– বাপ্পা মন্ডল

ছবি-বাপন ঘোষ

Published on: এপ্রি ৮, ২০১৯ @ ২২:৩৯

এসপিটি নিউজ, পিংলা, ৮ এপ্রিলঃ কোনও বিদ্রুপ-কটাক্ষ নয়, নয় কোনও আক্রমনও। শুধুই উন্নয়নের কথা- এভাবেই সোমবার পিংলায় নিজের নির্বাচনী প্রচার সারলেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেব। তবে তিনি কোনও আক্রমণ না করলেও তাঁর দলের রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র কিন্তু রীতিমতো ঝাঁঝালো সুরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে তাঁর ভঙ্গিতেই আক্রমণ করলেন।

দিলীপকে বিঁধলেন তৃণমূলের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র

মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র দিলীপ ঘোষকে আক্র্মন করে বলেন- ” ভোট যত এগিয়ে আসছে বাংলায় ৪২ এ ৪২ হচ্ছে দেখে ওনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে | জন্ডিস হয়ে গেছে | তাঁদের দল উগ্রপন্থা , হিংসাকে প্রশ্রয় ও মদত দেয় | বাংলার রাজনীতিতে এসবের কোনো ঠাঁই নেই| ”

“ওদের মানুষ উপযুক্ত জবাব দেবে”

তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি মেদিনীপুরের বিজেপির প্রার্থী দিলীপ ঘোষ ও ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষের তীব্র সমালোচনা করে বলেন- “ওদের মানুষ উপযুক্ত জবাব দেবে। ২৩শে মে ওরা তা জানতে পারবেন। ভারতী ঘোষ পুলিশ সুপার থাকাকালীন কি করেছে তা জেলার মানুষ ভালোভাবেই জানেন।”

“বিজেপির শাসনকালে দেশে সবথেকে বেশি খারাপ সময় গেছে সেনাবাহিনীর”

দেব বলেন- ” যে দল সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে মানুষের কাছে ভোট চাইছে সেই বিজেপির শাসনকালে দেশে সবথেকে বেশি খারাপ সময় গেছে সেনাবাহিনীর। সবথেকে বেশি সেনা জওয়ানকে শহীদ হতে হয়েছে। ”

বিজেপির হাতে দেশও সুরক্ষিত নয় আর মহাকাশও সুরক্ষিত নয়- এই অভিযোগ করে তৃণমূল প্রার্থী প্রশ্ন তোলেন, আপনারা বেকারত্ব নিয়ে কি করেছেন ? দারিদ্রতা দূর করতে কি করেছেন ? কৃষক , ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য কি করেছেন? ‘

অন্য রাজ্যের সঙ্গে তুলনা টানলেন দেব

বাংলা সিনেমার এই ব্যস্ত নায়ক শ্যুটিং-এর কাজে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরেছেন। সেই অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে দেব বলেন –  ” অন্য রাজ্যের এমন অনেক গ্রাম আছে যেখানে এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। রাস্তা ভালো নয়। পানীয় জল আনতে বহু দূর যেতে হয়।  বাংলায় এমন কোনো গ্রাম নেই যেখানে গেলে এই চিত্র ধরা পড়বে। ”

জাতপাতের রাজনীতি, ধর্মের রাজনীতি, কুৎসা, হিংসার রাজনীতি তিনি পছন্দ করেন না। তাঁর কাছে- “তিনি ভারতীয় এটাই  সবথেকে বড়  ধর্ম। যতদিন না একটা দেশ   ধর্ম , জাতপাত ,  হিংসা , ভেদাভেদ এসব থেকে বেরিয়ে আসতে না পারবে , এসবকে কাজে লাগিয়ে ভোট চাইতে না পারবে ততদিন দেশ এগোবে না। পিছিয়ে পড়বে। এজন্যই ব্রিটিশ রাজত্বের ২০০ বছর আর স্বাধীনতা লাভের ৭০ বছরে দেশ সেই জায়গায় পৌঁছতে পারেনি যেখানে অন্য দেশ পৌঁছে গেছে।”

Published on: এপ্রি ৮, ২০১৯ @ ২২:৩৯


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 50 = 54