সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল ছবি-বাপন ঘোষ
Published on: অক্টো ১২, ২০১৮ @ ২০:১৬
এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ১২ অক্টোবরঃ অন্ধ্রপ্রদেশ উড়িষ্যার পর ‘তিতলি’ হানা দিল পশ্চিমবঙ্গেও। শুক্রবার দুপুর নাগাদ আচমকা এক বিধ্বংসী ঝড়ে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম দুই জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা কার্যত লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। মৃত্যু হয় একজনের। বিহু পুজো মণ্ডপ ভেঙে মাটিতে উপড়ে পড়ে যায়। রাস্তা দিয়ে যাওয়া প্রাইভেট গাড়ি, মাঠে চড়ে বেড়ানো গরুও উড়ে গেল ঝড়ে। এই ঝড়ের স্থায়ীত্ব ছিল মাত্র তিন মিনিট।
শুক্রবার দুপুরের পর থেকে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয় পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলায়। মূলত ঝাড়গ্রাম জেলার রোহিনী, সাঁকরাইল, গোপীবল্লভপুর, ঝাড়গ্রাম সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তিতলি’র তাণ্ডব শুরু হয়। ঝড় থামতেই শুরু হয় বৃষ্টি।ঝড়ে প্রায় ৫০০ টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। বেশ কিছু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। একাধিক দুর্গা পুজোর মণ্ডপ ভেঙে পড়েছে। গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে।ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষারানী ও সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস জানান, ঝড়-বৃষ্টিতে জেলায় ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসন সবসময় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে।
একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ী, খড়্গপুর, শালবনী, মেদিনীপুর, সবং সহ আরও বেশ কিছু এলাকা।ঝড়ের তীব্রতা এত তীব্র ছিল যার ফলে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে চলাচলকারী গাড়ি, ট্রাক্টরকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে দূরে ফেলে দেয়। মাঠে চড়ে বেড়ানো গরু-ছাগলকেও উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে বহু দূরে ফেলে দেয়।ঝড়ের সময় ভয় পেয়ে দৌড়ে পালানোর সময় খড়্গপুর লোকাল থানার কপোতিয়ার বাসিন্দা ইলিয়াস মল্লিক(৩৭) মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মারা যান।
শালবনী থানার সাতপাটি গ্রামে প্রায় ৫০টি বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক পি মোহন গান্ধী জানান, এ ব্যাপারে আমাদের কাছে খবর এসেছে। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। প্রয়োজনে ত্রাণ শিবির খোলা হতে পারে বলে তিনি জানান।
Published on: অক্টো ১২, ২০১৮ @ ২০:১৬