ড্রোন ক্যামেরায় রাতের গঙ্গাসাগর, হাইটেক প্রযুক্তির সঙ্গে ঐতিহ্য-বিশ্বের দরবারে এ যেন এক “অনিন্দ্যসুন্দর” গঙ্গাসাগর মেলা

দেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

Published on: জানু ১১, ২০১৮ @ ১৮:১৫

এসপিটি নিউজ, গঙ্গাসাগর, ১১ জানুয়ারিঃ বাংলা পথ দেখায় ভারতকে। এবারের গঙ্গাসাগর মেলা যেন তারই প্রমাণ তুলে ধরছে। হাইটেক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে গঙ্গাসাগর মেলা তার ঐতিহ্যকে আধুনিক বিশ্বের কাছে অনেকখানি এগিয়ে দিল।ড্রোন ক্যামেরায় ধরা পড়ল রাতের গঙ্গাসাগর মেলার ছবি।যা এক লহমায় দেশের অন্য যে কোনও প্রাচীন মেলাকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিল।বিশ্বের দরবারে এ যেন এক “অনিন্দ্যসুন্দর” গঙ্গাসাগর মেলা।এর মুলে অবশ্যই রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরলস প্রয়াস। সেই প্রয়াসেরই ফসল তুলছে আজকের গঙ্গাসাগর মেলা। যার সার্বিক দায়িত্বে আছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও।

এবারের মেলা প্রাঙ্গনে হাইটেক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার চেষ্টা চালিয়ে যেচ্ছে রাজ্য সরকার। মেলা প্রাঙ্গনে সিসিটিভি, এলইডি স্ক্রিন সহ একাধিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ক্রা হয়েছে। সব থেকে উল্লেখযোগ্য হল এবারের মেলায় ব্যবহার কার হচ্ছে ১৬টি আই-স্যাট ফোন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নেট বন্ধ হয়ে গেলে তখন আই-স্যাটের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা রক্ষা করা হবে।এবার মেলায় মোট ১৬টি আই-স্যাট ফোন ব্যবহার করা হচ্ছে। সাগর বিচ, মেলার অফিসে ৪টি করে, বেণুবন-নামখানাতেও ২টি করে আই-স্যাট ফোন থাকছে। এগুলি তদরকের দায়িত্বে থাকছে বিএসএনএল।

কচুবেড়িয়া থেকে যেহেতু বেশিরভাগ তীর্থযাত্রীরা আসছেন সেহেতু সেখান থেকে রাজ্য সরকার মোট ১,২৫৮টি বাসের ব্যবস্থা করেছে। নামখানা থেকে ১০টি ভেসেল ও ১০০টি লঞ্চ যাত্রীদের সহায়তায় রাখা হয়েছে।

আগামী কাল থেকেই পুরোদমে শুরু হয়ে যাচ্ছে মেলা। ইতিমধ্যেই ৮০ ভাগ তীর্থযাত্রী মেলায় চলে এসেছেন।কচুবেড়িয়ার দিক থেকে আজ সারা দিন ধরেই কাতারে কাতারে তীর্থযাত্রীরা গঙ্গসাগর মেলা প্রাঙ্গনের দিকে এগিয়ে চলেছে। রয়েছে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী। ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির স্নানের আগে বাকি সব তীর্থযাত্রী চলে আসবেন বলে মনে করছে প্রশাসন। মেলায় বাজেটও অন্যবারের তুলনায় অনেকটাই বাড়িয়ে ৭০ কোটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে তিনি যেভাবে মেলার সার্বিক দায়িত্ব পালন করে চলেছেন তা রাজ্য প্রশাসনের উপর তলার কর্তাদের এখনও পর্যন্ত সন্তুষ্ট রাখতে পেরেছে।

Published on: জানু ১১, ২০১৮ @ ১৮:১৫


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 4 = 4