জানেন কি ! ব্যান্ডেল জংশন এখন শুধু ভারত নয় এশিয়ার সবচেয়ে বড় রেলওয়ে স্টেশন, এই সিস্টেম চালুর জন্য

Main দেশ ভ্রমণ রাজ্য রেল
শেয়ার করুন

Published on: নভে ১০, ২০২২ @ ১২:৪৬

Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১০ নভেম্বর: সারা দেশের মধ্যে সেরার মর্যাদা অর্জন করেছে পশ্চিমবঙ্গের ব্যান্ডেল জংশন। এই রেলওয়ে স্টেশনটি এখন দেশের সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম চালিত স্টেশন। বলা হচ্ছে, দেশের মধ্যে তো বটেই গোটা এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড়। এমনকি, বিশ্বে বৃহত্তম একটি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে ব্যান্ডেল ভারতীয় রেলের মানচিত্রে বিশেষস্থান দখল করে নিতে পেরেছে।

এই আধুনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম ৩০ মে থেকে চালু

সম্প্রতি ভারতীয় রেল মন্ত্রক থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে গোটা বিষয়টি সুন্দরভাবে উপস্থাপিত করা হয়েছে। ভারতীয় রেল পরিবর্তনের মাধ্যমে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। আর সেই সৌজন্যে সে নানা ধরনের সম্মান অর্জন করে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের ব্যান্ডেল জংশন পূর্ব রেলওয়ের অন্তর্ভুক্ত একটি রেলওয়ে স্টেশন। সেখানে ইন্টারলকিং সিস্টেমকে আধুনিকতার মোড়কে মুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এখানে আগের ম্যানুয়াল ইন্টারলকিং-এর বদলে মর্ডান ইন্টারলকিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে।

এই মর্ডান ইন্টারলকিং সিস্টেমের দ্বারা স্টেশনের দুই দিক ১০০২ রুট উপলব্ধ হয়ে গেছে, যেখানে ট্রেনের আসা-যাওয়া সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রিত করা হচ্ছে। এই আধুনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমকে ৩০ মে, ২০২২ তারিখে দেশকে সমর্পিত করা হয়েছে।

শুধু ভারত নয়, এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় ইন্টারলকিং সিস্টেম-জিএম

পূর্ব রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা জানিয়েছেন, “পূর্ব রেলওয়ের এক বড় উদ্যোগ। আর যে উদ্যোগ যেখানে কার্যকর করা হয়েছে , তা আমাদের কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি।এটা আমাদের কাছে অনেক বড় প্রকল্প এবং চ্যালেঞ্জ ছিল। ব্যান্ডেল জংশন সবচেয়ে বড় ইয়ার্ডস। এখানে চার দিক থেকে লাইন আসে। পূর্ব রেলওয়ে উদ্যোগ নিয়ে তাকে সম্পূর্ণভাবে কার্যকর করেছে। ৩০ মে তারিখে নতুন ইন্টারলকিং সিস্টেম চালু হয়েছে, এটি শুধুমাত্র ভারতীয় রেলওয়ের উপরই নয়, এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় ইন্টারলকিং। এমনকি, বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম একটি।”

এত সহজ ছিল না এই কাজ

এই প্রজেক্টে কাজ করা আধিকারিক এবং কর্মচারীদের কাছে এত সহজ ছিল না।পূর্ব রেলওইয়ে দেশের ব্যস্ততম রেলওয়ের মধ্যে একটি। যেখানে যাত্রীবাহী ট্রেনের পাশপাশি খনিজ স্মপদে পূর্ণ পন্যবাহী গাড়ির লাগাত্র আসা-যাওয়া চলতে থাকে। এজন্য রেল কর্মচারীদের এখানে ২৪ ঘণ্টা ব্যস্ত থাকতে হয়। এই পরিস্থিতিতে রেলের পুরো ম্যানুয়াল সিস্টেমকে পরিবর্তন করে ইলেকট্রনিক –এ  নিয়ে আসা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের ছিল। আজ এই আধুনিক প্রণালীর মাধ্যমে রেল কর্মচারীরা কন্ট্রোল রুমে বসে প্যানেলের মাধ্যমে তাদের কাজের মূল্যায়ণ মিলছে। কোন গাড়ি কোট ট্র্যাক দিয়ে যাবে তা এখন শুধু প্যানেল কন্ট্রোল-এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত করতে পারছেন।

আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি বিকল্প

রেল এখন স্বীকার করছে যে কর্মচারীদের কাছে আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি বিকল্প রয়েছে। যা আগে তাদের অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিত। এর ফলে এখন রেলযাত্রী এবং পন্যবাহী গাড়ি এর লাভ উঠাতে শুরু করেছে।ভারতীয় রেল এখন আধুনিকীকরণের কাজ করছে। সমস্ত ম্যানুয়াল প্রণালীকে আধুনিক করার কাজ শুরু হয়েছে। এখন ভারতীয় রেল প্রতিদিন নয়া ভারতীয় রেল রূপে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে।

Published on: নভে ১০, ২০২২ @ ১২:৪৬


শেয়ার করুন