- ভারতী ঘোষের দাবি- “মাওবাদীদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে হাজার হাজার ল্যান্ডমাইন নিষ্ক্রিয় করে মুখ্যমন্ত্রীকে শান্তির জঙ্গলমহল দিয়েছি আমি”
- “পুলিশ সুপার থাকার সময় মুখ্যমন্ত্রী আমায় কিছু দেয়নি। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়েছি।”
- ভারতীর হুঙ্কার- ” রাজ্য পুলিশ দিয়ে নির্বাচন হচ্ছে না। হচ্ছে কেন্দ্র বাহিনী দিয়ে। আপনারা তৃণমূলের গুন্ডাদের ভয় পাবেন না।”
- তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভারতীর তোপ- “আমি তৃণমূল নেতাদের মতো উন্নয়নের টাকা চুরি করি না।”
সংবাদদাতা-বাপ্পা মন্ডল
ছবি-বাপন ঘোষ
Published on: এপ্রি ২, ২০১৯ @ ০৮:৩৬
এসপিটি নিউজ, সবং, ২ এপ্রিলঃ যেদিন থেকে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্ত শুরু হয় সেদিন থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন ঘোর মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী।এবার নির্বাচনে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়ে এবার সরাসরি আক্রমণ শুরু করে দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। একদিন যে পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মা’ বলে সম্বোধন করেছিলেন আজ তাঁর মুখেই বিস্ফোরক মন্তব্য।দাবি করলেন-“জঙ্গলমহলে আজ যে শান্তি তা ফিরিয়ে এনেছেন তিনি, মুখ্যমন্ত্রী নন।সবটাই তাঁরই কৃতিত্ব।” সোমবার সবন-এ প্রচারে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন ভারতী।
জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরিয়ে আনার গোটা কৃতিত্বই তাঁর-সবং-এ দাবি করলেন প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ
1) ২০১১ সালে মা-মাটি-মানুষের সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত জায়গাতেই গিয়ে বলেছেন যে জঙ্গলমহল হাসছে পাহাড় হাসছে। আজ জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরে এসেছে। জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে তৃণমূলের সরকার।
2) ২০১৯ সালে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই দাবিকে একেবারে নস্যাৎ করে দিলেন বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ।জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরিয়ে আনার গোটা কৃতিত্বই দাবি করলে তিনি। করলেন রীতিমতো বিস্ফোরক এক মন্তব্য-বললেন-” পুলিশ সুপার থাকার সময় মুখ্যমন্ত্রী আমায় কিছু দেয়নি। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়েছি। জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরিয়ে দিয়েছি। মাওবাদীদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে হাজার হাজার ল্যান্ডমাইন নিষ্ক্রিয় করে মুখ্যমন্ত্রীকে শান্তির জঙ্গলমহল দিয়েছি আমি।”
“মুখ্যমন্ত্রী আমাকে দিয়েছেন শুধু বঞ্চনা”
3) “মুখ্যমন্ত্রী আমাকে দিয়েছেন শুধু বঞ্চনা। যাতে আমি বিজেপিতে ঢুকতে না পারি সেই চেষ্টা করেছেন। তবে ওনার সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। বিজেপি দলে আমি যোগ দিয়েছি। বিজেপি নেতৃত্ব আমাকে গ্রহণ করেছেন এবং যোগ্য মনে করে আমাকে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করেছেন।”
4) “এই লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে আশীর্বাদ করবেন। আমি নির্বাচিত হলে এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে উন্নয়ন করব। উন্নয়নের টাকা চুরি করে আমি খাব না, আমি তৃণমূল নেতাদের মতো উন্নয়নের টাকা চুরি করি না।”
5) মানস ভুঁইয়ার বিষয়ে তিনি অবশ্য বেশি কিছু বলেননি। শুধু বলেন-মানস ভুঁইয়া হেরে গিয়েছেন। তাই তিনি আর এই কেন্দ্রে গুরুত্বপূর্ণ নন। ওর সম্পর্কে আমি বেশি কিছু বলছি না। একই সঙ্গে ভারতীর হুঙ্কার- ” রাজ্য পুলিশ দিয়ে নির্বাচন হচ্ছে না। হচ্ছে কেন্দ্র বাহিনী দিয়ে। আপনারা তৃণমূলের গুন্ডাদের ভয় পাবেন না। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। আমি আপনাদের পাশে আছি। যে কোনও প্রয়োজন হলে আপনারা আমাকে ফোন করবেন। আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাব। তৃণমূল আমার জয় আটকাতে পারবে না। তাই আমার উপর ওরা হামলা শুরু করেছে। এই হামলার খেসারত দিতে হবে ওদের।”
“ভারতী ঘোষকে কোনও গুরুত্বই দিচ্ছি না”
6) পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অজিত মাইতি ভারতী ঘোষের এই বিস্ফোরক মন্তব্য সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন – “পুলিশ সুপার হয়ে দাদাগিরি করার খেসারত দিতে হয়েছে ভারতী ঘোষকে আরও খেসারত দিতে হবে। ঘাটালের মানুষ ওকে প্রত্যাখ্যান করবে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেব গতবারের চেয়ে আরও বেশি ভোটে জিতবে। আমরা ভারতী ঘোষকে কোনও গুরুত্বই দিচ্ছি না।”
Published on: এপ্রি ২, ২০১৯ @ ০৮:৩৬