ছোট আঙারিয়ার তপন-সুকুরকে জেলে পাঠানোর চ্যালেঞ্জ শুভেন্দু অধিকারীর

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল                   ছবি-রামপ্রসাদ সাউ

Published on: জানু ৪, ২০১৮ @ ২২:১৮

এসপিটি নিউজ, গড়বেতা, ৪ জানুয়ারিঃ ছোট আঙারিয়া গণহত্যা কাণ্ডের নৃশংস ঘটনার কথা আজও কেউ ভুলতে পারে না। আজ বৃহস্পতিবার গড়বেতার ছোট আঙারিয়া গ্রামে শহীদদের স্মৃতি তর্পন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে দাঁড়িয়ে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এই মামলার প্রধান দুই অভিযুক্ত তপন ঘোষ ও সুকুর আলিকে উদ্দেশ্য করে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, “ওরা আমাকে অনেক জ্বালিয়েছে। জামিনে ছাড়া পেলেও ওদের জেলে পাঠাবো।”

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, সভাধিপতি উত্তরা হাজরা, বিধায়ক আশীষ চক্রবর্তী, দীনেন রায়, অজিত মাইতি, রমাপ্রসাদ গিরি প্রমুখ। এদিন প্রথমে পরিবহমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী তিলডাঙা থেকে ছোট আঙারিয়া পর্যন্ত পাকা রাস্তার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর ছোট আঙারিয়া গ্রামে তৈরি শহীদ বেদীতে ফুলের মালা দিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। তিনি ছোট আঙারিয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনের মাঠে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ২০০১ সালের ৪ জানুয়ারি গড়বেতার ছোট আঙারিয়া গ্রামে বক্তার মণ্ডলের বাড়িতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী মুক্তার খাঁ, রবিয়াল ভাঙ্গি, হায়দর মণ্ডল, জয়ন্ত পাত্র ও মুক্ত পাত্র (ভোঁদা)কে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মেরেছিল সিপিএমের হার্মাদ নেতা তপন ঘোষ ও সুকুর আলির নেতৃত্বে সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনী। যাদের মৃতদেহ আজও পাওয়া যায়নি। সিবিআই তদন্ত করেছিল। কিন্তু বক্তার মণ্ডোল সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর বন্দুকের নলের সামনে সঠিকভাবে সাক্ষ্য দিতে পারেনি। যার ফলে দু’বছর জেলে থাকার পর তপন ঘোষ ও সুকুর আলি জামিনে ছাড়া পায়। রাজ্যে পরিবর্তনের পর ফের মেদিনীপুর আদালতে ছোট আঙারিয়া গণহত্যা মামলা শুরু হয়েছে।

শুভেন্দু বলেন, ওরা আমাকে অনেক জ্বালিয়েছে। জামিনে ছাড়া পেলেও ওদের জেলে পাঠাবো। জ্যোতিবাবুর পুলিশ তপন ঘোষ ও সুকুর আলিকে সিবিআই-এর খাতায় ফেরার দেখিয়েছিল। কিন্তু ২০১০ সালের খেজুরি দখল করতে গিয়ে ফেরার সময় এগরায় ধরা পড়ে তপন ঘোষ ও সুকুর আলি। ধরা পড়ার পর নাম পরিবর্তন করে মুখে গামছা দিয়ে ঢেকেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি তপন-সুকুর।

এদিন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ছোট আঙারিয়া থেকে হাওড়া, ছোট আঙারিয়া থেকে নন্দীগ্রাম দুটি সরকারি বাস পরিষেবা চালু করার কথা ঘোষণা করেন। সেইসঙ্গে গড়বেতা বাসস্ট্যাণ্ডকে নতুন করে সাজাতে ও গড়বেতাকে আলোকময় করে তুলতে তিনি সাহায্য করার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, গড়বেতায় পুরনো সেই কালো দিন যেন ফিরে না আসে। গড়বেয়তায় যে শান্তি আছে সেই শান্তি বজায় রাখতে হবে। রজ্য সরকারের সাফল্য তিনি তুলে ধরেন। পাশাপাশি, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম-বিজেপি যাতে একটি আসনও না পায় সেদিকে দলীয় কর্মীদের লক্ষ রাখতে আহ্বান জানান।

সবশেষে তিনি শহীদ পরিবারগুলির হাতে একটি করে শাল ও কিছু আর্থিক সাহায্য তুলে দেন।

Published on: জানু ৪, ২০১৮ @ ২২:১৮


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 77 = 80