চোখের নিমেষে পুড়ে ছাই দোকানপাট সহ ঘরের সমস্ত কিছু, এক বজ্রপাতেই সর্বস্বান্ত তিনভাই

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতাকৃষ্ণা দাস

Published on: সেপ্টে ১০, ২০১৮ @ ১৭:০১

এসপিটি নিউজ, শিলিগুড়ি, ১০ সেপ্টেম্বরঃ সবে মাত্র ঘুম ভেঙেছে বাবার। চোখের নিমেষে তিনি দেখলেন আগুনে পুড়ে যাচ্ছে দোকান। চেষ্টা করেও কাজ হল না। চোখের নিমেষে আরও তিনটি দোকান-ঘর পুড়ে খাক হয়ে গেল। পুড়ে গেল পুজোর ব্যবসার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে তুলে আনা নগদ দেড় লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকার জিনিসপত্র।ভস্মীভূত হয়ে গেল আলামারীতে গচ্ছিত রাখা সোনার গয়ানাও। আচমকা বজ্রপাতে সব কিছু পুড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের তিনভাই সহ গোটা পরিবার সর্বস্বান্ত হয়ে গেল-কথাগুলি বলতে বলতে ভেঙে পড়েন শিলিগুড়ি ঘোঘোমালি বাজার এলাকার ব্যবসায়ী শোভন পাল।

গত কয়েকদিন ধরেই অসহ্য গরমে নাজেহাল শিলিগুড়ির মানুষ। এরই মধ্যে রবিবার রাত থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। সেই সঙ্গে বজ্রপাত। সোমবার ভোর চারটে নাগাদ এমনই এক বজ্রপাতে শিলিগুড়ির ঘোঘোমালি এলাকায় ভস্মীভূত হয়ে যায় কয়েকটি দোকান সহ বাড়ির সমস্ত জিনিস। ব্যবসায়ী শোভ পাল জানান, ঘুম ভাঙতেই বাবা দেখেন আমাদের মিষ্টির দোকান আগুনে পুড়ে যাচ্ছে। তড়িঘড়ি দমকলে খবর দিয়ে আমরা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করি। কিন্তু আমাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। পুড়ে ছাড়খার হয়ে যায় আরও তিনটি দোকান।

sdr

দমকলের ঈঞ্জিন যখন পৌঁছয় তখন পাশের মিষ্টির দোকান, লন্ড্রির দোকান ও জুতোর গুদামঘর সহ দোকানটি সম্পূর্ণভাবেই ভস্মীভূত হয়ে যায়। মিষ্ট্রি দোকানটি তাঁর দাদা সুজন পালের। লন্ড্রি তাঁর ছোট ভাই সঞ্জীব পালের। আর জুতোর ব্যবসা তাঁর নিজের। সামনে পুজো-তাই বেশি করে দোকানে জুতো তোলার জন্য বাঙ্ক থেকে দেড় লক্ষ টাকা ঘরে এনে রেখেছিলাম। আলমারিতেই রাখা ছিল সেই টাকা। ছিল বাড়ির মহিলাদের সোনার গয়নাও। কিন্তু বাজ পড়ে দোকানের পাশাপাশি ঘরের আলমারির ভিতর রাখা নগদ ওই লক্ষাধিক টাকা সহ সোনার গয়না, জামা-কাপড় সমস্ত কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেল। ঘরের আসবাবপত্র সহ সিলিং ফ্যান টিভি থেকে শুরু করে আলামারির ভেতরে রাখা নগদ দেড় লক্ষ টাকা সোনার গয়না সহ সমস্ত  জিনিষপত্র সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। পুড়ে খাক হয়ে যায় দুটি বাইক। আরও একটি বাইক আংশিক পুড়ে যায়।

এই ব্যবসায়ী পরিবারের আক্ষেপ- দোকানগুলি ছিল টিন আর কাঠের। তার উপর দোকানের কোনও বিমা না করিয়ে রাখার জন্য তাদের উপর যেন সত্যিই এক ভয়াবহ বজ্রপাত নেমে এসেছে। কিভাবে যে এই বিপদ থেকে তাদের উদ্ধার মিলবে তা ভেবেই দিশেহারা হয়ে পড়েছে তিন ভাই আর তাদের পরিবারের সদস্যরা।

Published on: সেপ্টে ১০, ২০১৮ @ ১৭:০১

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 + 4 =