ঘরে জঙ্গি রেখে শান্তির নাটক- সামনে চলে এল পাকিস্তানের বেইমানি রূপ

দেশ বিদেশ
শেয়ার করুন

লেখক-অনিরুদ্ধ পাল

প্রধান সম্পাদক, সংবাদ প্রভাকর টাইমস

 Published on: ফেব্রু ২৮, ২০১৯ @ ১২:২৫

এসপিটি স্পেশালঃ একটি স্বাধীন দেশ যেভাবে জঙ্গিদের বাঁচানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে তা পাকিস্তানকে না দেখলে বোঝা যাবে না।শুধুমাত্র জঙ্গিদের জন্য তারা গোটা দেশের সেনাদের নামিয়ে দিয়েছে। তারা আন্তর্জাতিক সমস্ত বিধি-নিয়ম ভঙ্গ করেই চলেছে। ঘরের ভিতর যত্নে পালন করে চলেছে জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদীদের মতো আততায়ীদের। যাদের কাজই হল নিরীহ মানুষদের আর দেশের সুরক্ষায় নিয়োজিত রক্ষীদের শেষ করা হত্যা করা।আর এদের জন্য পাকিস্তান সমানে তাদের মদত করে চলেছে। আর সেই জঙ্গিদের ঘাঁটি ধ্বংস করলেই পাকিস্তান নিজের “বেইমানি” চেহারাটা সামনে নিয়ে আসছে।

পাকিস্তান অতীতেও এমনটা করেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। পাকিস্তান দাবি করেছে- ভারত আমাদের সীমানায় ঢুকে পড়েছিল তাই আমরাও তাদের সীমানায় ঢুকে আমাদের ক্ষমতা দেখিয়ে এসেছি।

ভারতীয় বায়ুসেনা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভিতর ঢুকে তাদের জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে এসেছে। সেখানকার সেদেশের মানুষ কিংবা পাকিস্তানি সেনাদের কিন্তু হত্যা করে আসেনি। আমাদের টার্গেট জঙ্গি। সেকথা ভারত বারবারেই বলে আসছে। তোমরা পাকিস্তান যা পারো না বা বলা ভালো করতে চাইছো না আমরা সেটাই করেছি এবং করছি আর আগামিদিনেও তা করে যাব। আর পাকিস্তান তোমরা “পাক্কা শয়তানের” মতো কাজ করে চলেছো। তোমরা যে মস্ত বড় বেইমান তার নমুনা নীচের এই যুক্তিগুলি দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করছি।

এই মুহূর্তে তোমাদের অনেক বেইমানি রূপ সামনে এসেছে। তার ভিতর তোমাদের চারটি বেইমানি রূপ এখানে তুলে ধরলাম-

বেইমানি ১- তোমাদের পাঞ্জাব প্রদেশের যে জায়গায় জৈশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর রয়েছে সেই বিশাল প্রাসাদের ন্যায় অট্টালিকাকে তোমরা বিশ্বের সামনে তুলে ধরে তাকে মাদ্রাসা আর চ্যারিটেবল কার্যালয় হিসেবে তুলে ধরে সবার চোখে ধুলো দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছো। তোমরা বলতে চাইছো সবাইকে বোঝাতে চাইছো ওটা জৈশের কিংবা কোনও জঙ্গি ঘাঁটি নয়। ওখানে নাকি ৭০০ ছাত্রদের মাদ্রাসার শিক্ষা দেওয়া হয়। দাতব্য কাজকর্ম হয়। আনে বাঃ, পাকিস্তান! আর কত চলবে তোমাদের এই নাটকবাজ- শয়তানি? কেন তোমাদের এত নাটকবাজি? কেন তোমাদের এই শয়তানি?তোমাদের এই নাটক যে আজ গোটা বিশ্ব বুঝে গিয়েছে। তোমাদের দেশে কি তাহলে- যে সমস্ত মাদ্রাসা আছে সেখানেও কি এসব জঙ্গি কাজকর্ম হয় এখন তো এই প্রশ্নের উত্তর চাইছে সবাই।

বেইমানি ২- পাকিস্তান তোমরা বলছো প্রমাণ দিতে। আরে ভাই, আর কত তোমারা প্রমাণ চাও। নিজের দেশে জৈশ-ই-মহম্মদ, আল-কায়দা, হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আর ওসামা বিন লাদেন, হাফিজ সঈদ, মাসুদ আজহার, দাউদ ইব্রাহিমের মতো টেরোরিস্টদের আশ্রয় দিয়ে তাদের সব রকমের সুবিধা দিয়ে চলেছো হাফি্জ সঈদকে তোমরা মন্ত্রী বানিয়েছো। যে কিনা মুম্বই জঙ্গি হামলার মূল ষড়যন্ত্রী ছিল এই সব মানুষরা তোমাদের প্রশ্রয়ে আজ লাগামছাড়া বেপরোয়া শয়তানের নবাব হয়ে উঠেছে রক্তের হোলি খেলায় মেতেছে। আর তোমরা তাদের আড়াল করে ভারতের কাছে হিন্দুস্তানের কাছে প্রমাণ চাইছো। আরে তোমরা যে বেইমান তা জানতে বিশ্বের কারও অজানা নেই। নিজেদের শুধরোও পাকিস্তান। তোমাদের মতো নির্লজ্জ-বেহায়াদের সঙ্গে সত্যিই কি শান্তির আলোচনায় বসা যায়? তোমাদের মতো “বেইমান”কে কি বিশ্বাস করা উচিত? আগে এই প্রশ্নগুলির জবাব দাও “বেইমান” পাকিস্তান।

বেইমানি ৩- প্রকাশ্যে তোমাদের সেনা মুখপাত্র আসিফ গফুর জানিয়ে দিলেন -পাকিস্তানি সেনা দুই ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটকে বন্দি বানিয়েছে। দুইজন পাইলটকে তোমরা গ্রেফতার করেছো বলে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে বস্লে। এদের একজনকে জখম অবস্থায় নাকি তোমরা হাসপাতালে পাঠিয়েছো নাকি যমের দুয়ারে তা তোমাদের বলতেই হবে। আর অপর একজনকে তোমরা নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞসাবাদ করছো। এরই মধ্যে তোমরা আমাদের একজন বীর সেনাকে প্রকশ্যে নিয়ে এসে নিজেদের বেইমানি আবারও প্রমাণ করে দিলে। সেই উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন ভর্তমানকে দেখা গেল রক্তাক্ত অবস্থায়। তাঁর গলায় কাপড় দিয়ে বেঁধে টেনে নিয়ে যাচ্ছো। আরে বেইমান পাকিস্তানি নপুংসক সেনা- সাহস থাকে তো সামনে এসে লড়ে দেখাও। দেখব তোমাদের হিম্মত। তোমরা তো জঙ্গিদের পা চাটা কুত্তা হয়ে চামচেগিরি করে চলেছো। তোমরা যুদ্ধবন্দি আইন মোতাবেক জেনিভা চুক্তি পর্যন্ত লঙ্ঘন করে নিজেদের আরও বড় বিপদ ডেকে এনেছো।

বেইমানি ৪- এরপর তোমরা সম্পূর্ণ ইউ-টার্ন নিয়ে পালটি খেয়ে বলে দিলে -তোমরা একজন ভারতীয় পাইলটকে গ্রেফতার করেছো। আরে ভাই, বাঃ। এও কি তোমাদের আর এক ধরনের বেইমানি? এটা কি নতুন পাকিস্তানের নতুন ধরনের বেইমানি। হিন্দুস্তানের মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুললে তার কেমন শিক্ষা পেতে হয়ে সেটা তোমাদের মতো বেইমানরা ভালোমতোই জানে। তবু তোমরা শিক্ষা নাও না। আসলে তোমরা হলে বড় ধরনের বেইমান। পাকিস্তান তোমাদের নিজেদের চেহারাটা একবার আয়নায় দেখো। তোমরা যদি মনে করে থাকো একজন ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটকে গুম করে দিয়ে শান্তিবাদী সাজার নাটক করে যাবে তাতে কিন্তু কোনওলাভ হবে না। গোটা হিন্দুস্তান ওই দুই ভারতীয় সেনার পাশে আছে । তোমাদের মতো বেইমানদের সেই শক্তি নেই তাদের উপর অত্যাচার চালানোর। গোটা ভারত তোমাদের বেইমানি রূপকে ছিন্নভিন্ন করে দিতে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত হয়ে আছে।

এসপিটি স্পেশালঃ একটি স্বাধীন দেশ যেভাবে জঙ্গিদের বাঁচানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে তা পাকিস্তানকে না দেখলে বোঝা যাবে না।শুধুমাত্র জঙ্গিদের জন্য তারা গোটা দেশের সেনাদের নামিয়ে দিয়েছে। তারা আন্তর্জাতিক সমস্ত বিধি-নিয়ম ভঙ্গ করেই চলেছে। ঘরের ভিতর যত্নে পালন করে চলেছে জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদীদের মতো আততায়ীদের। যাদের কাজই হল নিরীহ মানুষদের আর দেশের সুরক্ষায় নিয়োজিত রক্ষীদের শেষ করা হত্যা করা।আর এদের জন্য পাকিস্তান সমানে তাদের মদত করে চলেছে। আর সেই জঙ্গিদের ঘাঁটি ধ্বংস করলেই পাকিস্তান নিজের “বেইমানি” চেহারাটা সামনে নিয়ে আসছে।

পাকিস্তান অতীতেও এমনটা করেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। পাকিস্তান দাবি করেছে- ভারত আমাদের সীমানায় ঢুকে পড়েছিল তাই আমরাও তাদের সীমানায় ঢুকে আমাদের ক্ষমতা দেখিয়ে এসেছি।

ভারতীয় বায়ুসেনা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভিতর ঢুকে তাদের জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে এসেছে। সেখানকার সেদেশের মানুষ কিংবা পাকিস্তানি সেনাদের কিন্তু হত্যা করে আসেনি। আমাদের টার্গেট জঙ্গি। সেকথা ভারত বারবারেই বলে আসছে। তোমরা পাকিস্তান যা পারো না বা বলা ভালো করতে চাইছো না আমরা সেটাই করেছি এবং করছি আর আগামিদিনেও তা করে যাব। আর পাকিস্তান তোমরা “পাক্কা শয়তানের” মতো কাজ করে চলেছো। তোমরা যে মস্ত বড় বেইমান তার নমুনা নীচের এই যুক্তিগুলি দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করছি।

এই মুহূর্তে তোমাদের অনেক বেইমানি রূপ সামনে এসেছে। তার ভিতর তোমাদের চারটি বেইমানি রূপ এখানে তুলে ধরলাম-

বেইমানি ১- তোমাদের পাঞ্জাব প্রদেশের যে জায়গায় জৈশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর রয়েছে সেই বিশাল প্রাসাদের ন্যায় অট্টালিকাকে তোমরা বিশ্বের সামনে তুলে ধরে তাকে মাদ্রাসা আর চ্যারিটেবল কার্যালয় হিসেবে তুলে ধরে সবার চোখে ধুলো দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছো। তোমরা বলতে চাইছো সবাইকে বোঝাতে চাইছো ওটা জৈশের কিংবা কোনও জঙ্গি ঘাঁটি নয়। ওখানে নাকি ৭০০ ছাত্রদের মাদ্রাসার শিক্ষা দেওয়া হয়। দাতব্য কাজকর্ম হয়। আনে বাঃ, পাকিস্তান! আর কত চলবে তোমাদের এই নাটকবাজ- শয়তানি? কেন তোমাদের এত নাটকবাজি? কেন তোমাদের এই শয়তানি?তোমাদের এই নাটক যে আজ গোটা বিশ্ব বুঝে গিয়েছে। তোমাদের দেশে কি তাহলে- যে সমস্ত মাদ্রাসা আছে সেখানেও কি এসব জঙ্গি কাজকর্ম হয় এখন তো এই প্রশ্নের উত্তর চাইছে সবাই।

বেইমানি ২- পাকিস্তান তোমরা বলছো প্রমাণ দিতে। আরে ভাই, আর কত তোমারা প্রমাণ চাও। নিজের দেশে জৈশ-ই-মহম্মদ, আল-কায়দা, হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আর ওসামা বিন লাদেন, হাফিজ সঈদ, মাসুদ আজহার, দাউদ ইব্রাহিমের মতো টেরোরিস্টদের আশ্রয় দিয়ে তাদের সব রকমের সুবিধা দিয়ে চলেছো হাফি্জ সঈদকে তোমরা মন্ত্রী বানিয়েছো। যে কিনা মুম্বই জঙ্গি হামলার মূল ষড়যন্ত্রী ছিল এই সব মানুষরা তোমাদের প্রশ্রয়ে আজ লাগামছাড়া বেপরোয়া শয়তানের নবাব হয়ে উঠেছে রক্তের হোলি খেলায় মেতেছে। আর তোমরা তাদের আড়াল করে ভারতের কাছে হিন্দুস্তানের কাছে প্রমাণ চাইছো। আরে তোমরা যে বেইমান তা জানতে বিশ্বের কারও অজানা নেই। নিজেদের শুধরোও পাকিস্তান। তোমাদের মতো নির্লজ্জ-বেহায়াদের সঙ্গে সত্যিই কি শান্তির আলোচনায় বসা যায়? তোমাদের মতো “বেইমান”কে কি বিশ্বাস করা উচিত? আগে এই প্রশ্নগুলির জবাব দাও “বেইমান” পাকিস্তান।

বেইমানি ৩- প্রকাশ্যে তোমাদের সেনা মুখপাত্র আসিফ গফুর জানিয়ে দিলেন -পাকিস্তানি সেনা দুই ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটকে বন্দি বানিয়েছে। দুইজন পাইলটকে তোমরা গ্রেফতার করেছো বলে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে বস্লে। এদের একজনকে জখম অবস্থায় নাকি তোমরা হাসপাতালে পাঠিয়েছো নাকি যমের দুয়ারে তা তোমাদের বলতেই হবে। আর অপর একজনকে তোমরা নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞসাবাদ করছো। এরই মধ্যে তোমরা আমাদের একজন বীর সেনাকে প্রকশ্যে নিয়ে এসে নিজেদের বেইমানি আবারও প্রমাণ করে দিলে। সেই উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন ভর্তমানকে দেখা গেল রক্তাক্ত অবস্থায়। তাঁর গলায় কাপড় দিয়ে বেঁধে টেনে নিয়ে যাচ্ছো। আরে বেইমান পাকিস্তানি নপুংসক সেনা- সাহস থাকে তো সামনে এসে লড়ে দেখাও। দেখব তোমাদের হিম্মত। তোমরা তো জঙ্গিদের পা চাটা কুত্তা হয়ে চামচেগিরি করে চলেছো। তোমরা যুদ্ধবন্দি আইন মোতাবেক জেনিভা চুক্তি পর্যন্ত লঙ্ঘন করে নিজেদের আরও বড় বিপদ ডেকে এনেছো।

বেইমানি ৪- এরপর তোমরা সম্পূর্ণ ইউ-টার্ন নিয়ে পালটি খেয়ে বলে দিলে -তোমরা একজন ভারতীয় পাইলটকে গ্রেফতার করেছো। আরে ভাই, বাঃ। এও কি তোমাদের আর এক ধরনের বেইমানি? এটা কি নতুন পাকিস্তানের নতুন ধরনের বেইমানি। হিন্দুস্তানের মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুললে তার কেমন শিক্ষা পেতে হয়ে সেটা তোমাদের মতো বেইমানরা ভালোমতোই জানে। তবু তোমরা শিক্ষা নাও না। আসলে তোমরা হলে বড় ধরনের বেইমান। পাকিস্তান তোমাদের নিজেদের চেহারাটা একবার আয়নায় দেখো। তোমরা যদি মনে করে থাকো একজন ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটকে গুম করে দিয়ে শান্তিবাদী সাজার নাটক করে যাবে তাতে কিন্তু কোনওলাভ হবে না। গোটা হিন্দুস্তান ওই দুই ভারতীয় সেনার পাশে আছে । তোমাদের মতো বেইমানদের সেই শক্তি নেই তাদের উপর অত্যাচার চালানোর। গোটা ভারত তোমাদের বেইমানি রূপকে ছিন্নভিন্ন করে দিতে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত হয়ে আছে।

এসপিটি স্পেশালঃ একটি স্বাধীন দেশ যেভাবে জঙ্গিদের বাঁচানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে তা পাকিস্তানকে না দেখলে বোঝা যাবে না।শুধুমাত্র জঙ্গিদের জন্য তারা গোটা দেশের সেনাদের নামিয়ে দিয়েছে। তারা আন্তর্জাতিক সমস্ত বিধি-নিয়ম ভঙ্গ করেই চলেছে। ঘরের ভিতর যত্নে পালন করে চলেছে জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদীদের মতো আততায়ীদের। যাদের কাজই হল নিরীহ মানুষদের আর দেশের সুরক্ষায় নিয়োজিত রক্ষীদের শেষ করা হত্যা করা।আর এদের জন্য পাকিস্তান সমানে তাদের মদত করে চলেছে। আর সেই জঙ্গিদের ঘাঁটি ধ্বংস করলেই পাকিস্তান নিজের “বেইমানি” চেহারাটা সামনে নিয়ে আসছে।

পাকিস্তান অতীতেও এমনটা করেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। পাকিস্তান দাবি করেছে- ভারত আমাদের সীমানায় ঢুকে পড়েছিল তাই আমরাও তাদের সীমানায় ঢুকে আমাদের ক্ষমতা দেখিয়ে এসেছি।

ভারতীয় বায়ুসেনা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভিতর ঢুকে তাদের জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে এসেছে। সেখানকার সেদেশের মানুষ কিংবা পাকিস্তানি সেনাদের কিন্তু হত্যা করে আসেনি। আমাদের টার্গেট জঙ্গি। সেকথা ভারত বারবারেই বলে আসছে। তোমরা পাকিস্তান যা পারো না বা বলা ভালো করতে চাইছো না আমরা সেটাই করেছি এবং করছি আর আগামিদিনেও তা করে যাব। আর পাকিস্তান তোমরা “পাক্কা শয়তানের” মতো কাজ করে চলেছো। তোমরা যে মস্ত বড় বেইমান তার নমুনা নীচের এই যুক্তিগুলি দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করছি।

এই মুহূর্তে তোমাদের অনেক বেইমানি রূপ সামনে এসেছে। তার ভিতর তোমাদের চারটি বেইমানি রূপ এখানে তুলে ধরলাম-

বেইমানি ১- তোমাদের পাঞ্জাব প্রদেশের যে জায়গায় জৈশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর রয়েছে সেই বিশাল প্রাসাদের ন্যায় অট্টালিকাকে তোমরা বিশ্বের সামনে তুলে ধরে তাকে মাদ্রাসা আর চ্যারিটেবল কার্যালয় হিসেবে তুলে ধরে সবার চোখে ধুলো দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছো। তোমরা বলতে চাইছো সবাইকে বোঝাতে চাইছো ওটা জৈশের কিংবা কোনও জঙ্গি ঘাঁটি নয়। ওখানে নাকি ৭০০ ছাত্রদের মাদ্রাসার শিক্ষা দেওয়া হয়। দাতব্য কাজকর্ম হয়। আনে বাঃ, পাকিস্তান! আর কত চলবে তোমাদের এই নাটকবাজ- শয়তানি? কেন তোমাদের এত নাটকবাজি? কেন তোমাদের এই শয়তানি?তোমাদের এই নাটক যে আজ গোটা বিশ্ব বুঝে গিয়েছে। তোমাদের দেশে কি তাহলে- যে সমস্ত মাদ্রাসা আছে সেখানেও কি এসব জঙ্গি কাজকর্ম হয় এখন তো এই প্রশ্নের উত্তর চাইছে সবাই।

বেইমানি ২- পাকিস্তান তোমরা বলছো প্রমাণ দিতে। আরে ভাই, আর কত তোমারা প্রমাণ চাও। নিজের দেশে জৈশ-ই-মহম্মদ, আল-কায়দা, হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আর ওসামা বিন লাদেন, হাফিজ সঈদ, মাসুদ আজহার, দাউদ ইব্রাহিমের মতো টেরোরিস্টদের আশ্রয় দিয়ে তাদের সব রকমের সুবিধা দিয়ে চলেছো হাফি্জ সঈদকে তোমরা মন্ত্রী বানিয়েছো। যে কিনা মুম্বই জঙ্গি হামলার মূল ষড়যন্ত্রী ছিল এই সব মানুষরা তোমাদের প্রশ্রয়ে আজ লাগামছাড়া বেপরোয়া শয়তানের নবাব হয়ে উঠেছে রক্তের হোলি খেলায় মেতেছে। আর তোমরা তাদের আড়াল করে ভারতের কাছে হিন্দুস্তানের কাছে প্রমাণ চাইছো। আরে তোমরা যে বেইমান তা জানতে বিশ্বের কারও অজানা নেই। নিজেদের শুধরোও পাকিস্তান। তোমাদের মতো নির্লজ্জ-বেহায়াদের সঙ্গে সত্যিই কি শান্তির আলোচনায় বসা যায়? তোমাদের মতো “বেইমান”কে কি বিশ্বাস করা উচিত? আগে এই প্রশ্নগুলির জবাব দাও “বেইমান” পাকিস্তান।

বেইমানি ৩- প্রকাশ্যে তোমাদের সেনা মুখপাত্র আসিফ গফুর জানিয়ে দিলেন -পাকিস্তানি সেনা দুই ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটকে বন্দি বানিয়েছে। দুইজন পাইলটকে তোমরা গ্রেফতার করেছো বলে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে বস্লে। এদের একজনকে জখম অবস্থায় নাকি তোমরা হাসপাতালে পাঠিয়েছো নাকি যমের দুয়ারে তা তোমাদের বলতেই হবে। আর অপর একজনকে তোমরা নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞসাবাদ করছো। এরই মধ্যে তোমরা আমাদের একজন বীর সেনাকে প্রকশ্যে নিয়ে এসে নিজেদের বেইমানি আবারও প্রমাণ করে দিলে। সেই উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন ভর্তমানকে দেখা গেল রক্তাক্ত অবস্থায়। তাঁর গলায় কাপড় দিয়ে বেঁধে টেনে নিয়ে যাচ্ছো। আরে বেইমান পাকিস্তানি নপুংসক সেনা- সাহস থাকে তো সামনে এসে লড়ে দেখাও। দেখব তোমাদের হিম্মত। তোমরা তো জঙ্গিদের পা চাটা কুত্তা হয়ে চামচেগিরি করে চলেছো। তোমরা যুদ্ধবন্দি আইন মোতাবেক জেনিভা চুক্তি পর্যন্ত লঙ্ঘন করে নিজেদের আরও বড় বিপদ ডেকে এনেছো।

বেইমানি ৪- এরপর তোমরা সম্পূর্ণ ইউ-টার্ন নিয়ে পালটি খেয়ে বলে দিলে -তোমরা একজন ভারতীয় পাইলটকে গ্রেফতার করেছো। আরে ভাই, বাঃ। এও কি তোমাদের আর এক ধরনের বেইমানি? এটা কি নতুন পাকিস্তানের নতুন ধরনের বেইমানি। হিন্দুস্তানের মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুললে তার কেমন শিক্ষা পেতে হয়ে সেটা তোমাদের মতো বেইমানরা ভালোমতোই জানে। তবু তোমরা শিক্ষা নাও না। আসলে তোমরা হলে বড় ধরনের বেইমান। পাকিস্তান তোমাদের নিজেদের চেহারাটা একবার আয়নায় দেখো। তোমরা যদি মনে করে থাকো একজন ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটকে গুম করে দিয়ে শান্তিবাদী সাজার নাটক করে যাবে তাতে কিন্তু কোনওলাভ হবে না। গোটা হিন্দুস্তান ওই দুই ভারতীয় সেনার পাশে আছে । তোমাদের মতো বেইমানদের সেই শক্তি নেই তাদের উপর অত্যাচার চালানোর। গোটা ভারত তোমাদের বেইমানি রূপকে ছিন্নভিন্ন করে দিতে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত হয়ে আছে।

Published on: ফেব্রু ২৮, ২০১৯ @ ১২:২৫


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

30 − 23 =