কিভাবে হল পূর্ণবয়স্ক দুটি হাতির মৃত্যু, দায় এড়াতে পারবে মেদিনীপুর বন দফতর-বলছেন প্রাণী বিশেষজ্ঞরা

দেশ বন্যপ্রাণ রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মন্ডল                                          ছবি-বাপন ঘোষ

Published on: জানু ১২, ২০১৯ @ ১১:৪৯

এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ১২ জানুয়ারিঃ বন দফতরের উচিত এখনই সবার আগে তাদের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিভাগকে আরও বেশি করে প্রশিক্ষিত করে তোলা। হয়তো অন্যান্য জেলাগুলিকেও করা দরকার। কিন্তু সবার আগে পশ্চিম মেদিনীপুর এই কারণে দরকার- তা হল, এই জেলা জুড়ে যে বিস্তীর্ণ জঙ্গল এলাকা আছে সেখানে ছড়িয়ে অনেক বন্যপ্রাণ। তার মধ্যে বেশি আছে হাতি। প্রায়সময়ই এই জেলায় হাতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চলেছে। বাঘের পাশাপাশি সারা বিশ্বে যখন হাতি সংরক্ষণের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে তখন পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলিতে কিছু “অপদার্থ” যারা নিজেদের বন দফতরের লোক বলে জাহির করে থাকে তাদের গাফিলতি বলুন আর ব্যর্থতাই বলুন তার বলি হতে হচ্ছে একের পর এক বন্যপ্রাণীকে। শনিবার সাত সকালে যেমনটা হল গুড়গুড়িপাল থানার নেপুরার কাছে একটি মাঠে দুটি পূর্ণবয়স্ক হাতির মৃত্যুতে।

গত কয়েকদিন ধরে ২০ থেকে ২৫ টি হাতির একটি দল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নেপুরা গ্রামসহ গুড়গুড়িপাল থানার বিস্তীর্ণ এলাকায়। এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে দুটি দাঁতালের মৃত্যু ঘিরে বনদফতর ও বিদ্যুৎ দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠল ফের। মাঠের মধ্যে ঝুলে থাকা হাইভোল্টেজ ইলেকট্রিক তারের থেকে শর্ট লেগে মৃত্যু হয়েছে হাতি দুটি্র-প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই ধারনা বন দফতরের।যথারীতি মৃত হাতি দুটিকে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

হাতির মৃত্যুর পর এর আগেও যেমনটা হয়েছে এবারেও তার ব্যতিক্রম দেখা যায়নি তথাকথিত এই বন দফতরের আধিকারিক আর কর্মীদের মধ্যে। জীবিত প্রাণীকে কিভাবে বাঁচিয়ে রাখতে হয় কিভাবে তাদের রক্ষা করতে সেই পাঠ তারা কতটা পারে তা নিয়ে সন্দেহের প্রশ্ন নিজেরাই তুলে দিয়েছে। তবে একটা বিষয়ে এই তথাকথিত বন দফতর আবারও দেখাল- মরা হাতি কিংবা মৃত বন্যপ্রাণীকে নিয়ে ছোটাছুটি করতে তারা  কতটা তৎপর হতে পারে, আগেও তা দেখা গেছে এদিনও কিন্তু তার ব্যতিক্রম হয়নি।

যে হারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বন দফতরের “অপদার্থতা” ক্রমেই প্রকাশ পেয়ে চলেছে তা নিয়ে এখনই সজাগ হওয়া প্রয়োজন বিশ্ব বন্যপ্রাণ সংস্থা কিংবা ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ অর্গানাইজেশন-কেন- মনে করছেন প্রাণী বিশেষজ্ঞ্ররা। তারা মনে করেন- চাকরির পরীক্ষা দিয়ে শুধু মাসের মাইনে পাওয়ার জন্য এই দফতরে ঢুকলে তাদের কাছ থেকে এর থেকে বেশি কিছু আশা করাই অন্যায় হবে। এরা তো জানেই না কিভাবে লোকালয়ে ঢুকে যাওয়া হাতির দল কিংবা কোনও বন্যপ্রাণ সে বাঘ কিংবা হায়না হোক তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে এরা গ্রামের মানুষদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। আর তারপর যা হওয়ার তাই হচ্ছে। এভাবে অসহায় অবলা নিরীহ বন্যপ্রাণীগুলিকে হারাতে হচ্ছে। তারা তো এইসব “অপদার্থ” বন দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবিতে সরব হয়েছে। নিচের ছবিগুলির দিকে তাকালেই বুঝবেন বন দফতরের এই আধিকারিক থেকে শুরু করে কর্মীরা মৃত বন্যপ্রাণের প্রতি কর দায়িত্বশীল। কত সজাগ। আর তাকিয়ে দেখুন সেই মানুষগুলিকে যারা হাতির হামলায় জেরবার। যারা হাতিকে সহ্যই করতে পারে না। তাদের হাতের মোবাইল ক্যামেরাদর দিকে লক্ষ্য রাখুন, ছবি তোলার ধুম লেগে গেছে। শেয়ার করতে হবে না।  ছবিগুলি দেখুনঃ

Published on: জানু ১২, ২০১৯ @ ১১:৪৯

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 6 = 3