কাশ্মীরের পুলওয়ামায় গাড়ি বোমা হামলায় জঙ্গিরা ওড়াল সিআরপিএফ বাস, নিহতের সংখ্যা ৪৪, দায় স্বীকার জৈশের

দেশ বিদেশ
শেয়ার করুন

Published on: ফেব্রু ১৪, ২০১৯ @ ২০:২৯

এসপিটি নিউজ, শ্রীনগর, ১৪ ফেব্রুয়ারিঃ সাম্প্রতিককালে সব চেয়ে বড় জঙ্গিহানার ঘটনা ঘটল জম্মু-কাশ্মীরে। জঙ্গিরা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে গাড়ি বোমা হামলা চালিয়ে সিআরপিএফ-এর বাসে বিস্ফোরণ ঘটাল। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ১২জন জওয়ান। এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪।মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়েতে এই ঘটনা ঘটেছে।

এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আজ বিকেল আনুমানিক ৩টে বেজে ১৫মিনিটে জঙ্গিরা সিআরপিএফ বাসে এই আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে। পুলিশের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জঙ্গিরা এই আত্মঘাতী হামলায় একটি গাড়িকে হাতিয়ার করে। তার ভিতরেই রাখা ছিল শক্তিশালী বিস্ফোরক। সেই গাড়ি বোমা দিয়েই জঙ্গিরা সিআরপিএফ বাসে হামলা চালায়। রিমোর্ট কন্ট্রোলের সাহায্যে উড়িয়ে দেয় বাসটি। বিস্ফোরণে প্রথমে বারোজন সিআরপিএফ জওয়ান ঘটনাস্থলেই নিহত হওয়ার খবর মিললেও পরে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৪ এবং আরো ৪৪জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সেনাবাহিনীর ৯২ বেসামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।তবে অনেকের মৃতদেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।

বিস্ফোরণের পর হাইওয়েতে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। গোটা এলাকা বন্ধ করে বন্ধ করে দিয়ে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।

এই ঘটনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ডিজি সিআরপিএফ আরআর ভাটনাগর এবং জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল  সত্যপাল মালিকের সঙ্গে কথা বলেছেন। বিস্ফোরণে তিন অন্য গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদ। বিস্ফোরণের পর অবন্তীপোরা থেকে বীজবেহাড়া পর্যন্ত সমস্ত যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তল্লাশি। জানা গেছে, এই আত্মঘাতী আদিল আহমেদ ওরফে ওয়াকাস-হামলা জৈশ-ই-মহম্মদ করলেও এর গোটা ছক তৈরি করে আফজল গুরুর স্কোয়াড। হামলার কিছু সময় আগে আদিলের একটি ভিডিও আফজল গুরুর স্কোয়াড মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়।

জানা গেছে, এদিন জম্মু থেকে শ্রীনগর আসছিল প্রায় আড়াই হাজার জওয়ান। বাস ছিল ৪০টি। বিকেল তিনটে ১৫ মিনিট নাগাদ যখন বাস দক্ষিণ কাশ্মীরের শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়কের উপর গৌরীপোরা অবন্তিপোরার কাছে পৌঁছয় তখনই আচমকা একটি কার এসে বাসটিকে ধাক্কা মারে। আর তখনই সেখানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকা। গোটা বাসটাই পুড়ে খাক হয়ে যায়।

এই সময় অন্য বাসগুলি পর পর দাঁড়িয়ে যায়। সেই বাস থেকে যখন একে একে জওয়ানরা নেমে পজিশন নিতে শুরু করে তখন লিকিয়ে থাকা জঙ্গিরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। সংখ্যা অনেক বেশি থাকা জওয়ানদের গুলিতে ভয় পেয়ে সেখান থেকে পালাতে বাধ্য হয় জঙ্গিরা। এই ঘটনায় আত্মঘাতী জঙ্গি মারা গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Published on: ফেব্রু ১৪, ২০১৯ @ ২০:২৯


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 31 = 40