জলের তোড়ে ও কচুরিপানার ধাক্কায় পলাশপাই খালের উপর ‘গর্বে’র কাঠের কন্যাশ্রী সেতুটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে। ফলে এই এলাকার ৩০টি গ্রামের সঙ্গে যোগযাগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
Published on: আগ ২৩, ২০২০ @ ২১:১৯
Reporter: Biswajit Pande
এসপিটি নিউজ, পশ্চিম মেদিনীপু্ ২৩ আগস্ট: রীতিমতো ঘটা করে নীল-সাদা রঙ করে কাঠের একটি সেতু তৈরি করা হয়েছিল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর দুই নম্বর ব্লকের পলাশপাই খালের উপর এই সেতু নিয়ে সেদিন গর্ব করেছিলেন স্থানীয় মানুষজন। বলেছিলেন- ‘আমাদের বহুদিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। অথচ দুই বছর যেতে না যেতেই সেই ‘গর্বে’র নীল-সাদা রঙের কাঠের কন্যাশ্রী সেতুটি আজ জলের তোড়ে ও কচুরিপানার ধাক্কায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল।
কন্যাশ্রী সেতু একদিন যারা গর্ব করেছিল তারাই তুলল কিছু প্রশ্ন
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, টানা বৃষ্টিতে খালে জল বেড়েছে। সেই জলের তোড়ে ও কচুরিপানার ধাক্কায় পলাশপাই খালের উপর তাদের গর্বের কাঠের কন্যাশ্রী সেতুটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে। সেতু ভেঙে পড়ায় এই এলাকার ৩০টি গ্রামের সঙ্গে যোগযাগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।এর ফলে এক মহা সংকট দেখে দিয়েছে। সামান্য একটি খালের জলের কি এমন তোড় থাকতে পারে কিংবা সেখানে কচুরিপানার কি এমন জোড় থাকতে পারে যার জন্য একটি কাঠের সেতু মাত্র দুই বছরের মধ্যেই এভাবে ভেঙে পড়তে পারে- তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসীরা। তাদের মধ্যে এদিন অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন- তবে কি এই সেতু নির্মাণে কোথাও কোনও ভুল ছিল? আর তা যদি থাকে তাহলে সেই ভুল কার ছিল? যদিও এই সব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি এদিন।
প্রশাসনের আশ্বাস
এলাকাবাসীর দাবি মেনে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে প্রায় দুই বছর আগে পলাশপাই খালের উপর কন্যাশ্রী সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল। কাঠের ওই সেতুটিকে নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা সেদিন গর্ব করে বলেছিল- ‘আমাদের দীর্ঘদিনের আশা স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তাই আর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আমাদের থাকতে হবে না।’ কিন্তু একটানা বৃষ্টির ফলে দ্রুত গতিতে পলাশপাই নদীতে জল বাড়ছে। সেই সঙ্গে আচমকা ভারী ধরনের কচুরিপানা এসে ধাক্কা মারতেই কাঠের কন্যাশ্রী সেতুটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। জলের স্রোতে ভেসে চলে যায় স্বপ্নের কন্যাশ্রী সেতু। ফলে সেদিনের স্বপ্ন আর গর্ব এখন এলাকাবাসীর কাছে দুঃস্বপ্নের চেহারা নিয়েছে। দাসপুর ব্লক প্রশাসন অবশ্য এলাকাবাসীদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছে- প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
Published on: আগ ২৩, ২০২০ @ ২১:১৯